অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয় চাঁদপুরের সেই ৩ শিশুর!
চাঁদপুরঃ
চাঁদপুরে ইমামের বিশ্রামঘর থেকে মৃত অবস্থায় তার সন্তাসহ যে তিন শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মৃত্যু অক্সিজেনের অভাবে হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ওই তিন শিশুর ময়নাতদন্ত শেষে এ তথ্য জানান তিন সদস্য বিশিষ্ট মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সুজাউদৌল্লা রুবেল।
তিনি বলেন, অতিরিক্ত গরম, আবদ্ধ রুম ও ব্যাটারি থেকে নির্গত কেমিক্যালের কারণে রুমে অক্সিজেনের অভাব হয়ে থাকতে পারে। এতে ওই তিন শিশু শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা গেছে বলে মনে হচ্ছে। শিশুদের দেহের বিভিন্ন অঙ্গ পরীক্ষা করার জন্য সিআইডি কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অফিসে পাঠানো হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া যাবে।
এর আগে, শুক্রবার (৩০ আগস্ট) চাঁদপুরের মতলবের পূর্ব কলাদি জামে ইমাম জামাল উদ্দিনের কক্ষ থেকে তার ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান (০৫), মতলবের ভাঙরপাড় মাদ্রাসার নূরানি তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র মতলবের কাশিমপুর এলাকার ইব্রাহিম পাটওয়ারী (১২) এবং মতলবের উত্তর নলুয়া এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র রিফাত প্রধানিয়ার (১৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির জানান, এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা (ইউডি) হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিআইডি থেকে ক্রাইম সিন অ্যানালাইসিস টিম এবং ফরেনসিক টিম এসে প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করেছে। তারা ঢাকায় গিয়ে সেগুলো পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেবে। সেই সঙ্গে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পর সংশ্লিষ্ট সব বিষয় পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্তে আসা যাবে। এছাড়াও বিষয়টি নিয়ে জেলা পুলিশ, পিবিআই ও সিআইডি পুলিশের টিম কাজ করছে।
এদিকে, শিশু আব্দুল্লাহ আল নোমানকে তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলায় দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। এছাড়া রিফাত ও ইব্রাহিমকে মতলব দক্ষিণ উপজেলায় নিজ নিজ বাড়িতে দাফন করা হবে।