সবুজদেশ ডেক্সঃ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বৈদ্যুতিক তার কিংবা সুইচ থেকে যেকোনো সময় ঘটতে পারে অগ্নিকান্ড। নেই অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থাও। ফলে আতঙ্কিত সেবা নিতে আসা রোগী, স্বজন ও হাসপাতালকর্মীরা। ফায়ারসার্ভিসের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অসহযোগীতায় সচেতনতা মহড়া করতে পারছেন না তারা। আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, কর্মীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে আগ্রহী তারা।

ঝিনাইদহ সদর হাসপতাল। জেলার ২০ লাখ মানুষের ভরসাস্থল। প্রতিদিন হাজারো রোগীর সমাগম হলেও, হাসপাতালে নেই অগ্নি নির্বাপণের কোনো ব্যবস্থা।

যেখানে সেখানে ছড়িয়ে আছে বিদ্যুতের তার। স্টোর রুম, সিঁড়ির নিচে স্তূপ করে রাখা কাগজ ও আবর্জনা। রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলোও অরক্ষিত। সম্প্রতি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল এবং চকবাজারের মতো বড় আগুনের ঘটনায়, আরও বেশি আতঙ্কিত, রোগী, স্বজন ও হাসপাতালের কর্মীরা।

ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলছে, সদর হাসপাতালে আগুনের ঝুঁকি বেশি থাকায়, বারবার সচেতনতামূলক মহড়া করতে চেয়েছে তারা। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতায়, তা সম্ভব হয়নি।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডা. আয়ুব আলী বলছে, অগ্নিকাণ্ড মোকাবেলায়, হাসপাতালের কর্মীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে তারা আগ্রহী। ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথও।

শুধু জেলার এই প্রধান স্বাস্থ্যকেন্দ্রই নয়, ঝিনাদহের ৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও নেই অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here