ঢাকা ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা মামলার আসামি ৮ ডিবি পুলিশ

Reporter Name

মাগুরাঃ

মাগুরায় আওয়ামী লীগ নেতা আমিরুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক ওলিয়ার রহমানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে আদালতে।

রবিবার দুপুরে মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আমিরুলের বড় ভাই বাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।

মামলায় আসামি করা হয়েছে ডিবি পুলিশের এসআই ওলিয়ার রহমান, কনস্টেবল বুলবুল, বাহারুল বিশ্বাস, আক্তার বিশ্বাস, তছিয়ার বিশ্বাস, আল আমিন বিশ্বাস, ইয়ামিন বিশ্বাস, সেলিম বিশ্বাস, মাছুম বিশ্বাস, রেজাউল মন্ডল, সাহেব আলী, সবুজ শেখ, খাইরুল মোল্যা, নুরোল শেখ ও আলী মোল্যা।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, ডিবি পুলিশের এসআই ওলিয়ার রহমান, কনস্টেবল বুলবুল আলমসহ সাতজনের ডিবি পুলিশের একটি দল স্থানীয় জামাত-বিএনপি নেতাদের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ছোট ভাই আমিরুল ইসলামকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ৬ আগস্ট বিকেলে ডিবি পুলিশের এসআই ওলিয়ার রহমানসহ সাত পুলিশ সদস্য স্থানীয় বিএনপি নেতা ও মামলার ৩ নম্বর আসামি বাহারুল বিশ্বাসের বাড়িতে যায়। সেখানে মামলার আসামিদের সঙ্গে গোপন ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করে আমিরুলকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই দিন বিকেলে আমিরুল ইসলাম স্থানীয় শ্রীকোল বাজারের একটি চায়ের দোকানে বসেছিল। আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে ধাওয়া করলে আমিরুল প্রাণভয়ে দৌড়ে কুমার নদীতে ঝাঁপ দেয়। এ সময় এসআই ওলিয়ার রহমান নৌকায় করে আমিরুলের কাছে যায়। মাঝনদীতে গিয়ে আমিরুল বাঁচার জন্য তার কাছে সাহায্য চায়। তখন এসআই ওলিয়ার নৌকার লগি দিয়ে আমিরুলের মাথায় আঘাত করে। এরই একপর্যায়ে আমিরুল নদীর পানিতে ডুবে যায়। তার মৃত্যু নিশ্চিত করে আসামিরা ফিরে আসে। এ সময় সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসা মানুষদের গুলির ভয় দেখিয়ে দ্রুত ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পর দিন ৭ আগস্ট খুলনা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে নদী থেকে আমিরুলের লাশ উদ্ধার করে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম জানান, বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট বুলবুল ইসলাম বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে রবিবার এ আদেশ দেন। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে থানায় অন্য কোনো মামলা হয়েছে কিনা জানাতে শ্রীপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট।

৬ আগস্ট বিকেলে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল মোল্লা পুলিশি গ্রেপ্তার এড়াতে কুমার নদে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন। পর দিন ৭ আগস্ট সকালে খুলনা থেকে এসে ডুবুরিরা কুমার নদী থেকে আমিরুলের মরদেহ উদ্ধার করে।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:৫৬:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৯
৩০৯ Time View

আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা মামলার আসামি ৮ ডিবি পুলিশ

আপডেট সময় : ০৬:৫৬:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৯

মাগুরাঃ

মাগুরায় আওয়ামী লীগ নেতা আমিরুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক ওলিয়ার রহমানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে আদালতে।

রবিবার দুপুরে মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আমিরুলের বড় ভাই বাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।

মামলায় আসামি করা হয়েছে ডিবি পুলিশের এসআই ওলিয়ার রহমান, কনস্টেবল বুলবুল, বাহারুল বিশ্বাস, আক্তার বিশ্বাস, তছিয়ার বিশ্বাস, আল আমিন বিশ্বাস, ইয়ামিন বিশ্বাস, সেলিম বিশ্বাস, মাছুম বিশ্বাস, রেজাউল মন্ডল, সাহেব আলী, সবুজ শেখ, খাইরুল মোল্যা, নুরোল শেখ ও আলী মোল্যা।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, ডিবি পুলিশের এসআই ওলিয়ার রহমান, কনস্টেবল বুলবুল আলমসহ সাতজনের ডিবি পুলিশের একটি দল স্থানীয় জামাত-বিএনপি নেতাদের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ছোট ভাই আমিরুল ইসলামকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ৬ আগস্ট বিকেলে ডিবি পুলিশের এসআই ওলিয়ার রহমানসহ সাত পুলিশ সদস্য স্থানীয় বিএনপি নেতা ও মামলার ৩ নম্বর আসামি বাহারুল বিশ্বাসের বাড়িতে যায়। সেখানে মামলার আসামিদের সঙ্গে গোপন ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করে আমিরুলকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই দিন বিকেলে আমিরুল ইসলাম স্থানীয় শ্রীকোল বাজারের একটি চায়ের দোকানে বসেছিল। আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে ধাওয়া করলে আমিরুল প্রাণভয়ে দৌড়ে কুমার নদীতে ঝাঁপ দেয়। এ সময় এসআই ওলিয়ার রহমান নৌকায় করে আমিরুলের কাছে যায়। মাঝনদীতে গিয়ে আমিরুল বাঁচার জন্য তার কাছে সাহায্য চায়। তখন এসআই ওলিয়ার নৌকার লগি দিয়ে আমিরুলের মাথায় আঘাত করে। এরই একপর্যায়ে আমিরুল নদীর পানিতে ডুবে যায়। তার মৃত্যু নিশ্চিত করে আসামিরা ফিরে আসে। এ সময় সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসা মানুষদের গুলির ভয় দেখিয়ে দ্রুত ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পর দিন ৭ আগস্ট খুলনা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে নদী থেকে আমিরুলের লাশ উদ্ধার করে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম জানান, বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট বুলবুল ইসলাম বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে রবিবার এ আদেশ দেন। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে থানায় অন্য কোনো মামলা হয়েছে কিনা জানাতে শ্রীপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট।

৬ আগস্ট বিকেলে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল মোল্লা পুলিশি গ্রেপ্তার এড়াতে কুমার নদে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন। পর দিন ৭ আগস্ট সকালে খুলনা থেকে এসে ডুবুরিরা কুমার নদী থেকে আমিরুলের মরদেহ উদ্ধার করে।