কুষ্টিয়াঃ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় রায়ডাঙ্গা গ্রামে যান বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।

কিন্তু গ্রামবাসীর তোপের মুখে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে এসেছেন বলে জানা গেছে।

বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কুমারখালী উপজেলায় রায়ডাঙ্গা গ্রামে যান উপাচার্য। তিনি আবরারের কবর জিয়ারত করেছেন। তবে তার বাড়িতে ঢুকতে পারেননি বলে জানা গেছে।

ওই গ্রামে পৌঁছানোর পর স্থানীয়রা গ্রামে ঢুকতে বাধা দেয়। আবরারের বাড়ি ঢোকার মুখে ভিসির গাড়ির সামনে নারীরা শুয়ে পড়েন। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে এক নারী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এর পর বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে চলে আসেন।

তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কুষ্টিয়া সার্কিট হাউসে পৌঁছান বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। সেখান থেকে কুমারখালী উপজেলায় রায়ডাঙ্গা গ্রামে যান তিনি।

রায়ডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে আবরারের কবর জিয়ারত ও তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল ভিসির। এ খবরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য মোতায়েন করা হয়। আবরারের বাড়ির পাশে ও কবরের আশেপাশের এলাকায় অসংখ্য র‌্যাব ও পুলিশ অবস্থান নেয়।

গত রোববার রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ডেকে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। এরপর তাকে শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

বুয়েটের ভিসি কে আবরার কুষ্টিয়া রায়ডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে প্রবেশ করতে দেয়নি এলাকাবাসী। ভিসির উপস্থিতেই বিক্ষুব্ধ জনতা আবরার খুনিদের ফাসির দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন….

Posted by Orpon Mahmud on Wednesday, October 9, 2019

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here