ঢাকা ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদের ছুটিতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ

Reporter Name

ঢাকাঃ

ঈদের ছুটিতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে সমন্বয় করেই বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। নিজস্ব গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন বৃদ্ধি এবং নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহের চ্যালেঞ্জটি সরকার সাফল্যের সঙ্গে মোকাবেলা করছে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং কর্মক্ষেত্রে সফল প্রয়োগ জ্বালানি খাতের নিরাপত্তা আরও জোরদার করবে।

‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর পেট্রোবাবাংলায় আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

নসরুল হামিদ বলেন, ৯ আগস্ট ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শেল ওয়েল থেকে ৫টি গ্যাসক্ষেত্র (তিতাস, হবিগঞ্জ, রশিদপুর, কৈলাশটিলা ও বাখরাবাদ) ক্রয় করে দেশের জ্বালানি খাতকে সুসংহত করেন। দেশের মোট গ্যাস উৎপাদনের ৩৫ ভাগ গ্যাস এখনও এই ৫টি ক্ষেত্র থেকে উৎপাদিত হয়।

তিনি জ্বালানি খাতে কর্মরত কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্বের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, আগামী দিনের জ্বালানি অর্থনীতির কাঠামো বিবেচনা করে পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পেট্রোবাবাংলার মহাব্যবস্থাপক শাহনেওয়াজ পারভেজ। তিনি গত ১০ বছরের অর্জন, আগামীর চাহিদা, ভবিষ্যৎ রোডম্যাপ ও অর্জনের চ্যালেঞ্জগুলো তোলে ধরেন।

প্যানেল বক্তব্যে এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার পত্রিকার সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও কয়লা উত্তোলনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

মূল প্রবন্ধের ওপর প্যানেল বক্তব্যে স্রেডার সদস্য অতিরিক্ত সচিব সিদ্দিক জোবাইর জ্বালানি সাশ্রয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, জ্বালানি পরিকল্পনার সঙ্গে জ্বালানির ভৌত উপাদান, পরিবেশ ও আর্থিক বিষয়াবলীর সমন্বয় থাকা প্রয়োজন।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শহিদুজ্জামান সরকার, বিপিসির চেয়ারম্যান সামছুর রহমান, পেট্রোবাবাংলার চেয়ারম্যান রুহুল আমিন প্রমুখ।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৯:৪১:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০১৯
৩২০ Time View

ঈদের ছুটিতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ

আপডেট সময় : ০৯:৪১:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০১৯

ঢাকাঃ

ঈদের ছুটিতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক পরিবর্তনের সঙ্গে সমন্বয় করেই বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। নিজস্ব গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন বৃদ্ধি এবং নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহের চ্যালেঞ্জটি সরকার সাফল্যের সঙ্গে মোকাবেলা করছে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং কর্মক্ষেত্রে সফল প্রয়োগ জ্বালানি খাতের নিরাপত্তা আরও জোরদার করবে।

‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর পেট্রোবাবাংলায় আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

নসরুল হামিদ বলেন, ৯ আগস্ট ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শেল ওয়েল থেকে ৫টি গ্যাসক্ষেত্র (তিতাস, হবিগঞ্জ, রশিদপুর, কৈলাশটিলা ও বাখরাবাদ) ক্রয় করে দেশের জ্বালানি খাতকে সুসংহত করেন। দেশের মোট গ্যাস উৎপাদনের ৩৫ ভাগ গ্যাস এখনও এই ৫টি ক্ষেত্র থেকে উৎপাদিত হয়।

তিনি জ্বালানি খাতে কর্মরত কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্বের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, আগামী দিনের জ্বালানি অর্থনীতির কাঠামো বিবেচনা করে পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পেট্রোবাবাংলার মহাব্যবস্থাপক শাহনেওয়াজ পারভেজ। তিনি গত ১০ বছরের অর্জন, আগামীর চাহিদা, ভবিষ্যৎ রোডম্যাপ ও অর্জনের চ্যালেঞ্জগুলো তোলে ধরেন।

প্যানেল বক্তব্যে এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার পত্রিকার সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও কয়লা উত্তোলনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

মূল প্রবন্ধের ওপর প্যানেল বক্তব্যে স্রেডার সদস্য অতিরিক্ত সচিব সিদ্দিক জোবাইর জ্বালানি সাশ্রয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, জ্বালানি পরিকল্পনার সঙ্গে জ্বালানির ভৌত উপাদান, পরিবেশ ও আর্থিক বিষয়াবলীর সমন্বয় থাকা প্রয়োজন।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শহিদুজ্জামান সরকার, বিপিসির চেয়ারম্যান সামছুর রহমান, পেট্রোবাবাংলার চেয়ারম্যান রুহুল আমিন প্রমুখ।