ঢাকা ০৩:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উদ্বোধনের ২বছর পরেও পড়ে আছে ঝিনাইদহের ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনটি

Reporter Name

সবুজদেশ ডেক্সঃ ঝিনাইদহ মহেশপুরে নির্মাণ ও উদ্বোধনের পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও চালু হয়নি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন। ফলে অগ্নিকান্ড ও দুর্যোগসহ ফায়ার সার্ভিসের নানা সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে এ উপজেলার মানুষ।অন্যদিকে, স্টেশনটি শহরের নির্জন স্থানে হওয়ায় রাতে এখানে মাদক সেবীদের আড্ডা বসে।

স্বরাষ্ট্র্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে সুরক্ষা সেবা বিভাগের আওতায় জলিলপুর এলাকায় ৩৩ শতাংশ জায়গার ওপর এক কোটি ৯৫ লাখ টাকা খরচ করে নির্মিত হয় দ্বিতীয় শ্রেনীর এই স্টেশনটি। ২০১৫ সালের ১০ আগস্ট শুরু হয়ে নির্মাণ কাজ শেষ হয় পরের বছর ১০ অক্টোবর। নির্মাণের পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও শুরু হয়নি স্টেশনের সেবার কাজ।

এদিকে, লোকবল নিয়োগ না হলেও ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল স্টেশনটি উদ্বোধন করেন। অধিদপ্তর থেকে প্রায় এক বছর আগে স্টেশনে জন্য একটি পানিবাহী গাড়ি, একটি উদ্ধারকারী পিক আপভ্যান পাঠানো হলেও তা ফেলে রাখা হয়েছে ঝিনাইদহ সদর ফায়ার স্টেশনে। পড়ে রয়েছে দুটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পানির পাম্প।

স্টেশনটি চালু না হওয়ায় দুর্যোগ, যে কোনো দুর্ঘটনায় পাশের উপজেলা কোটচাঁদপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসকে ডাকতে হয়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে মানুষ- এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। তাই সরকারের কাছে তাদের দাবি যেন দ্রুত প্রতিষ্ঠানটি চালু করা হয়। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মনজুর পারভেজ বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই স্টেশন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। কাজ শেষ হওয়ার পর থেকেই আমরা ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার জানিয়েও কোনো ফল পাচ্ছি না। তারা নানা অজুহাতে স্টেশনটি বুঝে নিচ্ছে না। ফলে আর্থিকভাবে লোকসান গুনতে হচ্ছে আমার প্রতিষ্ঠান কে।’

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর উপ-সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্টেশনের জন্য যানবাহন পাঠানো হলেও লোকবল দেওয়া হয়নি। ফলে স্টেশনটি চালু করতে পারছি না। আর লোকবল না থাকলে হস্তান্তর নেওয়া কোনো ভাবেই সম্ভব না। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লোকবল নিয়োগের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’

ঝিনাইদহ জেলা ফায়ার সার্ভিসের তথ্য মতে, ২০১৬ সালে মহেশপুরে ২১টি অগ্নিকান্ড, ২২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। ২০১৭ সালে ২৫টি অগ্নিকান্ড ও ১১ টি সড়ক দুর্ঘটনা এবং চলতি বছরের বর্তমান সময় পর্যন্ত ১৪টি অগ্নিকান্ড ও ১১টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে; যেখানে উদ্ধার কাজে অংশ নেয় কোটচাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস।

About Author Information
আপডেট সময় : ১০:২৯:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ নভেম্বর ২০১৮
৯০৮ Time View

উদ্বোধনের ২বছর পরেও পড়ে আছে ঝিনাইদহের ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনটি

আপডেট সময় : ১০:২৯:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ নভেম্বর ২০১৮

সবুজদেশ ডেক্সঃ ঝিনাইদহ মহেশপুরে নির্মাণ ও উদ্বোধনের পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও চালু হয়নি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন। ফলে অগ্নিকান্ড ও দুর্যোগসহ ফায়ার সার্ভিসের নানা সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে এ উপজেলার মানুষ।অন্যদিকে, স্টেশনটি শহরের নির্জন স্থানে হওয়ায় রাতে এখানে মাদক সেবীদের আড্ডা বসে।

স্বরাষ্ট্র্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে সুরক্ষা সেবা বিভাগের আওতায় জলিলপুর এলাকায় ৩৩ শতাংশ জায়গার ওপর এক কোটি ৯৫ লাখ টাকা খরচ করে নির্মিত হয় দ্বিতীয় শ্রেনীর এই স্টেশনটি। ২০১৫ সালের ১০ আগস্ট শুরু হয়ে নির্মাণ কাজ শেষ হয় পরের বছর ১০ অক্টোবর। নির্মাণের পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও শুরু হয়নি স্টেশনের সেবার কাজ।

এদিকে, লোকবল নিয়োগ না হলেও ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল স্টেশনটি উদ্বোধন করেন। অধিদপ্তর থেকে প্রায় এক বছর আগে স্টেশনে জন্য একটি পানিবাহী গাড়ি, একটি উদ্ধারকারী পিক আপভ্যান পাঠানো হলেও তা ফেলে রাখা হয়েছে ঝিনাইদহ সদর ফায়ার স্টেশনে। পড়ে রয়েছে দুটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন পানির পাম্প।

স্টেশনটি চালু না হওয়ায় দুর্যোগ, যে কোনো দুর্ঘটনায় পাশের উপজেলা কোটচাঁদপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসকে ডাকতে হয়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে মানুষ- এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। তাই সরকারের কাছে তাদের দাবি যেন দ্রুত প্রতিষ্ঠানটি চালু করা হয়। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মনজুর পারভেজ বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই স্টেশন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। কাজ শেষ হওয়ার পর থেকেই আমরা ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার জানিয়েও কোনো ফল পাচ্ছি না। তারা নানা অজুহাতে স্টেশনটি বুঝে নিচ্ছে না। ফলে আর্থিকভাবে লোকসান গুনতে হচ্ছে আমার প্রতিষ্ঠান কে।’

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স-এর উপ-সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্টেশনের জন্য যানবাহন পাঠানো হলেও লোকবল দেওয়া হয়নি। ফলে স্টেশনটি চালু করতে পারছি না। আর লোকবল না থাকলে হস্তান্তর নেওয়া কোনো ভাবেই সম্ভব না। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লোকবল নিয়োগের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’

ঝিনাইদহ জেলা ফায়ার সার্ভিসের তথ্য মতে, ২০১৬ সালে মহেশপুরে ২১টি অগ্নিকান্ড, ২২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। ২০১৭ সালে ২৫টি অগ্নিকান্ড ও ১১ টি সড়ক দুর্ঘটনা এবং চলতি বছরের বর্তমান সময় পর্যন্ত ১৪টি অগ্নিকান্ড ও ১১টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে; যেখানে উদ্ধার কাজে অংশ নেয় কোটচাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস।