স্টাফ রিপোটার কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) ॥

ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের চিকিৎসার অভাবে দীর্ঘদিনের শয্যাশায়ী গোপালপুরের গোপালকে চিকিৎসার জন্য কালীগঞ্জ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়েছেন। বুধবার রাতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ঢাকার উদ্দেশ্যে একটি এ্যাম্বুলেন্সে অসুস্থ গোপালকে তুলে দেন।

উল্লেখ্য, গোপালের অসহায় অবস্থার কথা তুলে ধরে ” দৈনিক যশোর ”গোপালের বেঁচে থাকার আকুতি” শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়। এরপর শহরের উত্তরা মটরস এর পরিচালক সেলিম রেজা, সংবাদকর্মি. জনপ্রতিনিধিরা তার সাহায্যে এগিয়ে আসলে গত ২২ এপ্রিল গোপালের পাশে দাঁড়ালেন ব্যবসায়ী শিরোনামে ফলোআপ নিউজ প্রকাশিত হয়। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে তার চিকিৎসায় ৩০ হাজার টাকা পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য কালীগঞ্জ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ গত ৩ জুলাই রাতে গোপালকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এ সময় জেলা পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল,প্রেসক্লাব সভাপতি সমকাল প্রতিনিধি জামির হোসেন ,সাধারন সম্পাদক দৈনিক সংবাদ ও ডেইলি বাংলাদেশ প্রতিনিধি সাবজাল হোসেন, বৈশাখী টিভি ও ইত্তেফাক প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম মন্টু, যায়যায়দিন প্রতিনিধি তারেক মাহামুদ, গাজী টিভির ওয়ালিয়ার রহমান, যুগান্তরের শাহারিয়ার হোসেন সোহাগ, জয়যাত্রা টিভির হাবিব ওসমান, দৈনিক ভোরের কাগজের বেলাল হুসাইন বিজয়, কল্যানের আরিফ মোল্যা, দৈনিক যশোর এর স্টাফ রিপোটার ও ৭১টিভির কালীগঞ্জ সংবাদদাতা মিশন আলী,খবর কালীগঞ্জের জুয়েল রানা প্রমূখ।

প্রকাশ থাকে যে,অভাব অনাটনের মধ্যদিয়েও পরিবারের লোকজন প্রায় ১০ বছর আশপাশের চিকিৎসকদের দেখিয়েছেন। কিন্ত সুস্থ হয়নি গোপাল। সর্বশেষ যশোরের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ২ বছর আগে কয়েক দফা পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করেন। খাদ্যনালীর জটিল সমস্যায় গুরুতর অসুস্থ গোপাল টাকার অভাবে এক প্রকারে বিনা চিকিৎসায় বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছিলেন।

গোপালের মা আরতি বিশ্বাস জানান,মায়ের সামনে মৃত্যুর পথযাত্রী সন্তানের বেঁচে থাকার আকুতি বড় কষ্টদায়ক ব্যাপার। যা একজন মা ছাড়া পৃথিবীর অন্য কাউকে বোঝানো যাবে না। বুধবার রাতে গোপালকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানোর সময়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে বলতে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here