নারী কর্মীদের অসদাচরণের জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে যাচ্ছে উবার। এ-বিষয়ক একটি মামলায় সমঝোতা করতে যাচ্ছে তারা। ৬ নভেম্বর এ বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি হবে।

অ্যাপভিত্তিক গাড়ি ভাড়ার প্ল্যাটফর্ম উবারে নারী কর্মীদের প্রতি আচরণের বিষয়টি ব্লগ পোস্টে তুলে ধরে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক প্রকৌশলী সুজান ফাউলার। তাঁর ওই পোস্টের প্রভাবে উবার থেকে সরে দাঁড়াতে হয় এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ট্রাভিস কালানিককেও।

প্রায় ৫০০ কর্মীর পক্ষ উবারের বিরুদ্ধে বেতনবৈষম্য কমাতে ও নিপীড়ন বন্ধে মামলা করা হয়। উবার বিষয়টি এখন এক কোটি ডলারে সমঝোতা করতে চাইছে। সুজান বলেছেন, এক কোটি মার্কিন ডলারের ওই সমঝোতার বিষয়টি তিনি সমর্থন করছেন। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ফেব্রুয়ারিতে সুজানের ব্লগ পোস্টের অভ্যন্তরীণভাবে তদন্ত করে উবার। এতে উবারের প্রধান নির্বাহীকে পদ ছাড়তে হয়। উবারের সমঝোতার বিষয়টি নিয়ে ৭ সেপ্টেম্বরে সুজান বলেছেন, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিষ্ঠানটিতে অবৈধ আচরণ বন্ধ হবে এবং উবারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নজরদারি কার্যক্রম চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।

ক্যালিফোর্নিয়ার অকল্যান্ডের ফেডারেল আদালতে সুজানের আইনজীবী লিখেছেন, ‘উবারের মেধাবী ও দায়িত্বশীল কর্মীদের বিশেষ করে নারীদের ভালো অবস্থার জন্য আশা করেছেন তিনি। উবারকে আরও ভালো কাজের জায়গা গড়ে তুলবেন তাঁরা—এটাই তাঁর প্রত্যাশা।’

নিপীড়ন বিষয়ে মুখ খুলে ২০১৭ সালে টাইম ম্যাগাজিনের চোখে ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ হন ফাউলার। তিনি এক টুইটে বলেন, উবারের বর্তমান প্রধান নির্বাহী দারা খোশরেশাহি প্রতিষ্ঠানের নীতিমালার পরিবর্তন আনবেন বলে মনে করেন তিনি।

উবার অবশ্য ওই সমঝোতার ক্ষেত্র কোনো ভুল করেনি বলে উল্লেখ করেছে। তারা বলছে, তাদের প্রচেষ্টা স্বচ্ছ ও যুক্তিপূর্ণ। উবারের ওই সমঝোতার ফলে প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত ৪৮৭ নারী ও সংখ্যালঘু কর্মী গড়ে ১১ হাজার ডলার করে পাবেন। এর বাইরে নিপীড়নের অভিযোগে মামলা করা ৫৬ নারী ৩৪ হাজার মার্কিন ডলার করে পাবেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here