সবুজদেশ ডেক্সঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেছেন, ‘বিএনপির এখন একমাত্র সম্বল বিদেশিদের কাছে ও নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ করা। প্রতিদিন বিদেশিদের কাছে ও নির্বাচন কমিশনের কাছে আর কোনো দল না গেলেও বিএনপি যাচ্ছে। কেন যায়? নালিশ করতে যায়। কারণ, নালিশ ছাড়া তাদের আর কোনো সম্বল নেই।’

আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে কবিরহাট উপজেলার জনতা বাজারে নির্বাচনী পথসভায় বক্তৃতার সময় এসব কথা বলেন নোয়াখালী-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওবায়দুল কাদের। এর আগে তিনি কোম্পানীগঞ্জের চরকাঁকড়া ইউনিয়নের একতা বাজার ও পাটওয়ারীহাটে গণসংযোগ করেন। কাদের বলেন, ‘বিএনপিকে কোথাও দেখি না। তারা ঘরে বসে বসে শুধু গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে আর নালিশ করে।’

এই আসনে ওবায়দুল কাদেরের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদ। মওদুদের বিষয়ে অভিযোগ করে কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুলের মতো নালিশ করার পথ ধরেছেন তিনি। ওনার দুঃখ, তিনি যেখানেই যান লোকজন হয় না। কারণ, ওনার কার্যকলাপ ভালো নয়। ওনার ঝুলিতে উন্নয়ন নাই।’ তিনি মওদুদের সমালোচনা করে বলেন, তিনি ৪০ বছর একটি বাড়ি দখল করে রেখেছিলেন। মৃত ব্যক্তির নামে ভুয়া কাগজ আদালতে জমা দিয়েও বাড়িটি রক্ষা করতে চেয়েছেন, পারেননি।

সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা নারীদের জন্য অনেক করেছেন। নারীরা আজ সম্মানিত হচ্ছেন। শেখ হাসিনার সরকার গত ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে নারীবান্ধব সরকার। শেখ হাসিনার সরকারের আমলে নারীরা হাইকোর্টের বিচারপতি, সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল, পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক, সচিব হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এখন নারীরা বিধবা ভাতা পান, সন্তানের উপবৃত্তির টাকা মোবাইলের মাধ্যমে পান, এমনকি মাতৃত্বকালীন ভাতাও পাচ্ছেন নারীরা। তিনি উপস্থিত নারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘কে দিয়েছেন এই সম্মান? শেখ হাসিনা। আগে সন্তানের পরিচয়ে শুধু বাবার নাম লেখা হতো। এখন সন্তানের পরিচয়ে বাবার নামের সঙ্গে মায়ের নামও লিখতে হয়।’ এসব সম্মানের জন্য আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিতে তিনি নারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, শেখ হাসিনার আমলে নারীরা অনেক ক্ষমতাবান।

ওবায়দুল কাদের উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘আমার ১২ বছরের উন্নয়ন আর মওদুদ আহমেদ সাহেবের ২২ বছরের উন্নয়নের মধ্যে মিলিয়ে দেখুন। যদি আমার উন্নয়ন ওনার চেয়ে ভালো না হয়, তাহলে আমি ভোট চাই না। ভবিষ্যতে নির্বাচিত হলে আমরা প্রত্যেক গ্রামকে শহরে পরিণত করব। এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি।’

নির্বাচনী পথসভা ও গণসংযোগকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক ও কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক, ধানশালিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াকুব নবী প্রমুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here