ঢাকা ০৪:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এটা বিএনপির ভাঁওতাবাজি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৪৮:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১৪১ বার পড়া হয়েছে।

সবুজদেশ ডেস্কঃ

বিএনপির উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, যারা দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে তারাই নাকি এসবের (গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড) বিচার করবে। এটা একটা ভাঁওতাবাজি।

বিএনপির ২৭ দফা কর্মপরিকল্পনার মধ্যে গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের বিচার প্রসঙ্গে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

গতকাল (সোমবার) বিএনপির পক্ষ থেকে ২৭ দফা কর্মপরিকল্পনা উত্থাপন করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের বিচার করা হবে। 

আজ রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিআইআইএসএস) আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত তারা দেশব্যাপী সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এতই সন্ত্রাস যে আদালতের জজ সাহেবও শান্তিতে থাকতে পারেননি। বিদেশি (ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত) এ লোক সিলেটে বেড়াতে গিয়েছিল সেখানেও তার ওপর বোমাবাজি হয়। এক দিনে দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩ জেলায় বোমাবাজি হয়। অনেক নামিদামি লোকের ওপর হামলা হয়েছে।মাইনরিটি গ্রুপের বারোটা বেজেছে, তারা আতঙ্কে ছিল। পরপর পাঁচবার দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ চিহ্নিত হলো। আর সেই সঙ্গে সন্ত্রাসের কারণে আমাদের বহু নেতারা মারা গেলেন। তখন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী একটা সভা করলেন। সেখানে গ্রেনেড হামলা হলো। ক্লিন হার্টের গল্প জানেন? ৫৫ জন লোককে মারা হয়েছিল। যুক্তি দেওয়া হয় তারা হার্টফেল করে মারা গেছেন।

তিনি বলেন, ২০১৩-১৪ সালে অসংখ্য লোককে গাড়িতে পুড়িয়ে মেরেছে তারা। এসব ঘটনা অমানবিক। আবার তারা মানবিকতার কথা বলে।

মোমেন আরও বলেন, সম্প্রতি বিএনপি দেশের বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ করেছে। বাস কোম্পানিগুলো রাস্তায় বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল। এখানে সরকার কিছু বলেনি। বাস মালিকরা ভয়ে ছিলেন যদি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। লোকজন ভয়ে রাস্তায় গাড়ি বের করেনি। কারণ বিএনপির কথায় জনগণ বিশ্বাস করে না। 

Tag :

ঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিহত ১, আহত ৬

এটা বিএনপির ভাঁওতাবাজি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Update Time : ০৬:৪৮:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২২

সবুজদেশ ডেস্কঃ

বিএনপির উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, যারা দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে তারাই নাকি এসবের (গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড) বিচার করবে। এটা একটা ভাঁওতাবাজি।

বিএনপির ২৭ দফা কর্মপরিকল্পনার মধ্যে গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের বিচার প্রসঙ্গে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

গতকাল (সোমবার) বিএনপির পক্ষ থেকে ২৭ দফা কর্মপরিকল্পনা উত্থাপন করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের বিচার করা হবে। 

আজ রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিআইআইএসএস) আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত তারা দেশব্যাপী সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এতই সন্ত্রাস যে আদালতের জজ সাহেবও শান্তিতে থাকতে পারেননি। বিদেশি (ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত) এ লোক সিলেটে বেড়াতে গিয়েছিল সেখানেও তার ওপর বোমাবাজি হয়। এক দিনে দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩ জেলায় বোমাবাজি হয়। অনেক নামিদামি লোকের ওপর হামলা হয়েছে।মাইনরিটি গ্রুপের বারোটা বেজেছে, তারা আতঙ্কে ছিল। পরপর পাঁচবার দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ চিহ্নিত হলো। আর সেই সঙ্গে সন্ত্রাসের কারণে আমাদের বহু নেতারা মারা গেলেন। তখন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী একটা সভা করলেন। সেখানে গ্রেনেড হামলা হলো। ক্লিন হার্টের গল্প জানেন? ৫৫ জন লোককে মারা হয়েছিল। যুক্তি দেওয়া হয় তারা হার্টফেল করে মারা গেছেন।

তিনি বলেন, ২০১৩-১৪ সালে অসংখ্য লোককে গাড়িতে পুড়িয়ে মেরেছে তারা। এসব ঘটনা অমানবিক। আবার তারা মানবিকতার কথা বলে।

মোমেন আরও বলেন, সম্প্রতি বিএনপি দেশের বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ করেছে। বাস কোম্পানিগুলো রাস্তায় বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল। এখানে সরকার কিছু বলেনি। বাস মালিকরা ভয়ে ছিলেন যদি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। লোকজন ভয়ে রাস্তায় গাড়ি বের করেনি। কারণ বিএনপির কথায় জনগণ বিশ্বাস করে না।