ঢাকা ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার জাবি ভিসি ফাঁসলেন রাব্বানীর ফাঁদে! (অডিও ক্লিপসহ)

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগের মুখে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ হারানো গোলাম রাব্বানীর এবার নতুন একটি বোমা ফাটানো অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছে। রোববার বিকাল থেকে অডিওটি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হতে শুরু করে।

অডিও ক্লিপে রাব্বানীর সঙ্গে কথোপকথনে জাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন শাখা ছাত্রলীগের এক কোটি টাকা চাঁদা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে এই দুর্নীতির সঙ্গে উপাচার্যের ছেলে, স্বামী, ব্যক্তিগত সচিব ও প্রকল্প পরিচালকের সংশ্লিষ্টতা দেখানো হয়েছে। ৬ মিনিট ১১ সেকেন্ডের ওই অডিওতে কীভাবে, কারা, কত টাকা পেয়েছে সেটাও নিশ্চিত করা হয়েছে।

গণমাধ্যম ও শাখা ছাত্রলীগের সূত্রমতে, ৯ আগস্ট যে চারজন ভিসির বাসায় টাকা ভাঁটোয়ারার জন্য গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে সাদ্দাম হোসেনও ছিলেন।

অডিও শুনে বোঝা যায়, শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হামজা রহমান অন্তর রাব্বানীকে ফোন দেন। ফোন রিসিভ করে রাব্বানী বলেন, ‘হ্যালো অন্তর! টাকা নেয়ার সময় কে কে ছিল? তখন অন্তর বলেন, ‘জুয়েল (শাখা সভাপতি), চঞ্চল (সাধারণ সম্পাদক), সাদ্দাম (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক)।’

টাকাটা কোথায় বসে দিয়েছে রাব্বানীর এমন প্রশ্নে অন্তর বলেন, ভিসি ম্যামের বাসায়। অন্তর তখন বলেন, সাদ্দাম ভাই আমার পাশে আছে কথা বলবে? রাব্বানী সম্মতি দিলে কথা বলা শুরু করেন সাদ্দাম।

রাব্বানী ও সাদ্দামের কথোপকথনের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হল-

শুরুতে সাদ্দাম ও রাব্বানীর মাঝে কুশলাদি বিনিময় হয়।

রাব্বানী: কী খবর ভাই?

সাদ্দাম: ভাই খবর তো আমি জানাইছি, খবর ভালো না বেশি একটা। আমি তো আপনাকে জানাইছি ভাই। আমি, তাজ (নিয়ামুল হাসান তাজ-সহ-সভাপতি), জুয়েল ও চঞ্চল এই চারজন ছিলাম ভাই ওই মিটিংয়ের সময় (টাকা ভাঁগবাটোয়ারার সময় ভিসির বাসায়)।

রাব্বানী: ম্যাম তো বলছে এ আন্দোলনও নাকি আমরা করাইছি! আন্দোলন কারা করছে সেটাও তো আমরা জানি না।সাদ্দাম: বিষয়টা হচ্ছে উনি ছাত্রলীগের উপর সবকিছু দিয়া নিজের ফ্যামিলিরে সেভ করতে চাচ্ছে।

রাব্বানী: আচ্ছা যখন টাকাটা দিছে তখন তুই ছিলি না? সাদ্দাম: হ্যাঁ, ভাই আমি ছিলাম।

রাব্বানী: টাকাটা দিছে কিভাবে, ম্যাম নিজেই দিছে, অন্য কেউ ছিল না? সাদ্দাম: ওখানে হচ্ছে ভাই আর কেউই ছিল না। ম্যাম এবং তার পরিবার হচ্ছে আমাদের সঙ্গে ডিলিংসটা করছে। সে হচ্ছে টাকাটা আমাদের হলে পৌঁছে দিছে।

রাব্বানী: হলে পৌঁছে দিছে টাকা? সাদ্দাম: হ্যাঁ হ্যাঁ একটা গাড়িতে করে এক লোক এসে দিয়ে গেছে।

রাব্বানী: কয় টাকা দিছে?

সাদ্দাম: আমাদের বলছে এক কোটি। আমরা বাকিটা জানি না, জুয়েল আর চঞ্চলের সঙ্গে আলাদা সিটিং হইতে পারে।

রাব্বানী: আমি শুনলাম এক কোটি ষাট।সাদ্দাম: ওইটা ভাই ষাইটেরটা আমরা জানি না। উনি এক কোটি ভাগ করে দিছে। যে পঞ্চাশ হচ্ছে জুয়েলের, পঁচিশ আমাদের আর পঁচিশ চঞ্চলের।

রাব্বানী: ও ম্যাডাম এভাবে ভাগ করে দিছে? জুয়েল ভালো ছেলে এ জন্য পঞ্চাশ আর চঞ্চল ক্যাম্পাসের বাইরে থাকে এ জন্য পঁচিশ? সাদ্দাম: হ্যাঁ। ”ঞ্চল আমাদের তো বাদ দিতে পারে নাই। ঝামেলা এড়ানোর জন্য বা…

রাব্বানী: ও চঞ্চলের ভাগেরটাই তোরা পাইছস? সাদ্দাম: হ্যাঁ, চঞ্চলের ওখান থেকেই, আমরা বলছি যে ২৫% আমাদের দেয়া লাগবে। তারা হচ্ছে ভাই তাহলে আমাদেরকে না জানায়া তাদেরকে আলাদা ৬০ লাখ টাকা দিছে, এটা হইতে পারে।

রাব্বানী: ও তাহলে তোদেরকে না জানায়া দিছে?

সাদ্দাম: হ্যাঁ হ্যাঁ আমরা এটা জানি না আমরা এক কোটির হিসাব জানি।

রাব্বানী: তোমার ম্যাডাম যে আমাদের নাম জড়াইলো এখানে, টাকার ব্যাপারে আমার বা শোভনের কোনো আইডিয়াই তো নাই।

সাদ্দাম: ভাই উনি খুব নোংরামি করতেছে।

রাব্বানী: আমিও বুঝতেছি নিজে সেভ হওয়ার জন্য ফ্যামিলি সেভ করার জন্য। এ ছয়টা কাজ বেসিক্যালি ঠিকাদারদের সঙ্গে ডিল করছে কে?সাদ্দাম: ভাই মূলত ডিলটিল করছে তার ছেলে, তার পিএস সানোয়ার ভাই, আর পিডি আর তার স্বামী -এ চারজন।

রাব্বানী: হাজবেন্ড-ছেলে পিডি (প্রকল্প পরিচালক) নাসির আর পিএস (ভিসির একান্ত সচিব) সানোয়ার? ও তারাই আগে থেকে ছয়টা কোম্পানি ঠিক করে রেখেছে?

সাদ্দাম: হ্যাঁ, শুরু থেকেই তারা সবকিছু করছে।

রাব্বানী: টেকনিক্যাল কমিটিতেও ভিসি ছিল? ভিসি তো থাকতে পারে না।সাদ্দাম: হ্যাঁ সে ছিল। প্রথমত সে তো সবাইরে ফেরতটেরত পাঠায়া দিল না! শিডিউল ছিনায়া টিনায়া নিচ্ছিল। পরে হচ্ছে আমরা বলছি সবাইরে কিনতে দিতে হবে সবাইরেই ড্রপ করতে দিতে হবে। তখন হচ্ছে ড্রপ সবাইরেই করাইছে। কিন্তু কাজ হচ্ছে নিজ হাতে সব বিষয়গুলা করছে।

পরে আবার কথা বলবেন বলে রাব্বানী ফোনালাপ শেষ করেন।

অডিওটি রাব্বানীর সঙ্গে নিজের কথোপকথন বলে নিশ্চিত করেছেন সাদ্দাম। তবে কবে কথা বলেছে সেটি নিশ্চিত করতে না পারলেও হামজা রাহমান অন্তরের ফোনে কথা বলেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।

শাখা ছাত্রলীগ এক কোটি টাকা পেয়েছে সেটি আপনি নিশ্চিত করছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রোববার রাতে মোবাইল ফোনে সাদ্দাম যুগান্তরকে বলেন, ‘সেটি আমার সঠিক মনে পড়ছে না। টাকা নেয়ার বিষয়টি মনে করে তারপর নিশ্চিত করবো।’

কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় রাব্বানীর সঙ্গে অনেক কথা হতো উল্লেখ করে সাদ্দাম বলেন, ‘ভাই (রাব্বানী) যেভাবে বলেছে আমরা সেভাবে বলেছি। তার কথা মতো করেছি।’এর কিছুক্ষণ পর সাদ্দাম যুগান্তরকে ফোন দিয়ে বলেন, ‘টাকা পেয়েছি কিনা সে বিষয়ে আমি মন্তব্য করবো না। তবে ১০ তারিখের দুপুরের পরের আমার ফোন কল বের করলেই সব ক্লিয়ার হবে।’

তবে তাদের কথোপকথের বিষয়বস্তু থেকে বোঝা যায়, শুক্রবার যুগান্তরে ‘জাবির মেগা প্রকল্পে শোভন-রাব্বানীর থাবা: ভিসির কাছে চাঁদা দাবি’ শিরোনামে নিউজ প্রকাশের পর এই কথোপকথন হয়েছে।

রোববার রাত ৮টা ৫৫মিনিটে উপাচার্যকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে অডিও শুনে কয়েকজন শিক্ষক বলেছেন, ‘এটি উপাচার্যকে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে ফাঁস করা হয়েছে।’

About Author Information
আপডেট সময় : ১১:১৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯
৩৭৫ Time View

এবার জাবি ভিসি ফাঁসলেন রাব্বানীর ফাঁদে! (অডিও ক্লিপসহ)

আপডেট সময় : ১১:১৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সবুজদেশ ডেস্কঃ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগের মুখে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ হারানো গোলাম রাব্বানীর এবার নতুন একটি বোমা ফাটানো অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছে। রোববার বিকাল থেকে অডিওটি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হতে শুরু করে।

অডিও ক্লিপে রাব্বানীর সঙ্গে কথোপকথনে জাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন শাখা ছাত্রলীগের এক কোটি টাকা চাঁদা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে এই দুর্নীতির সঙ্গে উপাচার্যের ছেলে, স্বামী, ব্যক্তিগত সচিব ও প্রকল্প পরিচালকের সংশ্লিষ্টতা দেখানো হয়েছে। ৬ মিনিট ১১ সেকেন্ডের ওই অডিওতে কীভাবে, কারা, কত টাকা পেয়েছে সেটাও নিশ্চিত করা হয়েছে।

গণমাধ্যম ও শাখা ছাত্রলীগের সূত্রমতে, ৯ আগস্ট যে চারজন ভিসির বাসায় টাকা ভাঁটোয়ারার জন্য গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে সাদ্দাম হোসেনও ছিলেন।

অডিও শুনে বোঝা যায়, শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হামজা রহমান অন্তর রাব্বানীকে ফোন দেন। ফোন রিসিভ করে রাব্বানী বলেন, ‘হ্যালো অন্তর! টাকা নেয়ার সময় কে কে ছিল? তখন অন্তর বলেন, ‘জুয়েল (শাখা সভাপতি), চঞ্চল (সাধারণ সম্পাদক), সাদ্দাম (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক)।’

টাকাটা কোথায় বসে দিয়েছে রাব্বানীর এমন প্রশ্নে অন্তর বলেন, ভিসি ম্যামের বাসায়। অন্তর তখন বলেন, সাদ্দাম ভাই আমার পাশে আছে কথা বলবে? রাব্বানী সম্মতি দিলে কথা বলা শুরু করেন সাদ্দাম।

রাব্বানী ও সাদ্দামের কথোপকথনের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হল-

শুরুতে সাদ্দাম ও রাব্বানীর মাঝে কুশলাদি বিনিময় হয়।

রাব্বানী: কী খবর ভাই?

সাদ্দাম: ভাই খবর তো আমি জানাইছি, খবর ভালো না বেশি একটা। আমি তো আপনাকে জানাইছি ভাই। আমি, তাজ (নিয়ামুল হাসান তাজ-সহ-সভাপতি), জুয়েল ও চঞ্চল এই চারজন ছিলাম ভাই ওই মিটিংয়ের সময় (টাকা ভাঁগবাটোয়ারার সময় ভিসির বাসায়)।

রাব্বানী: ম্যাম তো বলছে এ আন্দোলনও নাকি আমরা করাইছি! আন্দোলন কারা করছে সেটাও তো আমরা জানি না।সাদ্দাম: বিষয়টা হচ্ছে উনি ছাত্রলীগের উপর সবকিছু দিয়া নিজের ফ্যামিলিরে সেভ করতে চাচ্ছে।

রাব্বানী: আচ্ছা যখন টাকাটা দিছে তখন তুই ছিলি না? সাদ্দাম: হ্যাঁ, ভাই আমি ছিলাম।

রাব্বানী: টাকাটা দিছে কিভাবে, ম্যাম নিজেই দিছে, অন্য কেউ ছিল না? সাদ্দাম: ওখানে হচ্ছে ভাই আর কেউই ছিল না। ম্যাম এবং তার পরিবার হচ্ছে আমাদের সঙ্গে ডিলিংসটা করছে। সে হচ্ছে টাকাটা আমাদের হলে পৌঁছে দিছে।

রাব্বানী: হলে পৌঁছে দিছে টাকা? সাদ্দাম: হ্যাঁ হ্যাঁ একটা গাড়িতে করে এক লোক এসে দিয়ে গেছে।

রাব্বানী: কয় টাকা দিছে?

সাদ্দাম: আমাদের বলছে এক কোটি। আমরা বাকিটা জানি না, জুয়েল আর চঞ্চলের সঙ্গে আলাদা সিটিং হইতে পারে।

রাব্বানী: আমি শুনলাম এক কোটি ষাট।সাদ্দাম: ওইটা ভাই ষাইটেরটা আমরা জানি না। উনি এক কোটি ভাগ করে দিছে। যে পঞ্চাশ হচ্ছে জুয়েলের, পঁচিশ আমাদের আর পঁচিশ চঞ্চলের।

রাব্বানী: ও ম্যাডাম এভাবে ভাগ করে দিছে? জুয়েল ভালো ছেলে এ জন্য পঞ্চাশ আর চঞ্চল ক্যাম্পাসের বাইরে থাকে এ জন্য পঁচিশ? সাদ্দাম: হ্যাঁ। ”ঞ্চল আমাদের তো বাদ দিতে পারে নাই। ঝামেলা এড়ানোর জন্য বা…

রাব্বানী: ও চঞ্চলের ভাগেরটাই তোরা পাইছস? সাদ্দাম: হ্যাঁ, চঞ্চলের ওখান থেকেই, আমরা বলছি যে ২৫% আমাদের দেয়া লাগবে। তারা হচ্ছে ভাই তাহলে আমাদেরকে না জানায়া তাদেরকে আলাদা ৬০ লাখ টাকা দিছে, এটা হইতে পারে।

রাব্বানী: ও তাহলে তোদেরকে না জানায়া দিছে?

সাদ্দাম: হ্যাঁ হ্যাঁ আমরা এটা জানি না আমরা এক কোটির হিসাব জানি।

রাব্বানী: তোমার ম্যাডাম যে আমাদের নাম জড়াইলো এখানে, টাকার ব্যাপারে আমার বা শোভনের কোনো আইডিয়াই তো নাই।

সাদ্দাম: ভাই উনি খুব নোংরামি করতেছে।

রাব্বানী: আমিও বুঝতেছি নিজে সেভ হওয়ার জন্য ফ্যামিলি সেভ করার জন্য। এ ছয়টা কাজ বেসিক্যালি ঠিকাদারদের সঙ্গে ডিল করছে কে?সাদ্দাম: ভাই মূলত ডিলটিল করছে তার ছেলে, তার পিএস সানোয়ার ভাই, আর পিডি আর তার স্বামী -এ চারজন।

রাব্বানী: হাজবেন্ড-ছেলে পিডি (প্রকল্প পরিচালক) নাসির আর পিএস (ভিসির একান্ত সচিব) সানোয়ার? ও তারাই আগে থেকে ছয়টা কোম্পানি ঠিক করে রেখেছে?

সাদ্দাম: হ্যাঁ, শুরু থেকেই তারা সবকিছু করছে।

রাব্বানী: টেকনিক্যাল কমিটিতেও ভিসি ছিল? ভিসি তো থাকতে পারে না।সাদ্দাম: হ্যাঁ সে ছিল। প্রথমত সে তো সবাইরে ফেরতটেরত পাঠায়া দিল না! শিডিউল ছিনায়া টিনায়া নিচ্ছিল। পরে হচ্ছে আমরা বলছি সবাইরে কিনতে দিতে হবে সবাইরেই ড্রপ করতে দিতে হবে। তখন হচ্ছে ড্রপ সবাইরেই করাইছে। কিন্তু কাজ হচ্ছে নিজ হাতে সব বিষয়গুলা করছে।

পরে আবার কথা বলবেন বলে রাব্বানী ফোনালাপ শেষ করেন।

অডিওটি রাব্বানীর সঙ্গে নিজের কথোপকথন বলে নিশ্চিত করেছেন সাদ্দাম। তবে কবে কথা বলেছে সেটি নিশ্চিত করতে না পারলেও হামজা রাহমান অন্তরের ফোনে কথা বলেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।

শাখা ছাত্রলীগ এক কোটি টাকা পেয়েছে সেটি আপনি নিশ্চিত করছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রোববার রাতে মোবাইল ফোনে সাদ্দাম যুগান্তরকে বলেন, ‘সেটি আমার সঠিক মনে পড়ছে না। টাকা নেয়ার বিষয়টি মনে করে তারপর নিশ্চিত করবো।’

কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় রাব্বানীর সঙ্গে অনেক কথা হতো উল্লেখ করে সাদ্দাম বলেন, ‘ভাই (রাব্বানী) যেভাবে বলেছে আমরা সেভাবে বলেছি। তার কথা মতো করেছি।’এর কিছুক্ষণ পর সাদ্দাম যুগান্তরকে ফোন দিয়ে বলেন, ‘টাকা পেয়েছি কিনা সে বিষয়ে আমি মন্তব্য করবো না। তবে ১০ তারিখের দুপুরের পরের আমার ফোন কল বের করলেই সব ক্লিয়ার হবে।’

তবে তাদের কথোপকথের বিষয়বস্তু থেকে বোঝা যায়, শুক্রবার যুগান্তরে ‘জাবির মেগা প্রকল্পে শোভন-রাব্বানীর থাবা: ভিসির কাছে চাঁদা দাবি’ শিরোনামে নিউজ প্রকাশের পর এই কথোপকথন হয়েছে।

রোববার রাত ৮টা ৫৫মিনিটে উপাচার্যকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে অডিও শুনে কয়েকজন শিক্ষক বলেছেন, ‘এটি উপাচার্যকে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে ফাঁস করা হয়েছে।’