সিলেটঃ
সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড়ের মধ্যেই এবার নগরীর দাড়িয়াপাড়া এলাকায় এক স্কুলছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী রাকিব হোসেন মিজুকে (১৮) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯। শনিবার সন্ধ্যার দিকে সিলেটের গোলাপগঞ্জ এলাকায় একটি সিএনজি তল্লাশি করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ছাত্রলীগ কর্মী রাকিব সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পীযুষ কান্তি দে’র অনুসারী এবং মদনমোহন কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা গেছে।
মিজু নগরীর দাঁড়িয়াপাড়া এলাকার মেঘনা ১৪/বি বাসার বাসিন্দা আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানাধীন জাউয়াবাজার এলাকায়।
৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই স্কুলছাত্রীকে শুক্রবার রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। পরে রাতেই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এসএমপির কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে নগরীর ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিক্রম কর সম্রাট বলেন, আমিও এরকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি সম্ভবত ২-৩ দিন আগে ঘটেছে। অভিযুক্ত কিশোর দাড়িয়াপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকে। আর স্কুলছাত্রী নগরীর আরেকটি এলাকায় থাকে।
তিনি বলেন, অভিযোগকারী স্কুলছাত্রীর পরিবার আর্থিকভাবে তেমন সচ্ছল নয়, তাই দুই দিন আগে ঘটনা ঘটলেও সম্ভবত সমঝোতার চেষ্টা করা হয়েছিল। আবার তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলেও একটি পক্ষ দাবি করেছে। যদিও কোনো কিছুই এখন পর্যন্ত আমি নিশ্চিত নই।
সম্রাট বলেন, অভিযুক্ত কিশোর ছাত্রলীগের মিছিল-মিটিংয়ে যায় বলে শুনেছি। এখন তো সবাই ছাত্রলীগ।
সম্প্রতি প্রবাসীর ওপর হামলা মামলায় কারাগার থেকে বের হলে কাউন্সিলর সম্রাট নিজেও অভিযুক্ত মিজুকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে মোবাইলে টাকা দেয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয় ওই স্কুলছাত্রী। এ সময় তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ বাসায় নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে ছাত্রলীগ কর্মী রাকিব হোসেন মিজু।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন এসএমপির কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিঞা।