ঢাকা ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কঙ্গোতে গির্জায় হামলা, নিহত ১৪

Reporter Name

আর্ন্তজাতিক ডেস্কঃ

মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআর কঙ্গো) গির্জায় সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। গত রোববার দেশটির পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি গির্জায় এই হামলা হয় এবং হামলার সময় বহু মানুষ সেখানে প্রার্থনা করছিলেন।

অবশ্য নিহতদের মধ্যে কয়েকজন হামলাকারীও রয়েছে। আফ্রিকার এই দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সেনাবাহিনী এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও কঙ্গোর পূর্বাঞ্চল বছরের পর বছর ধরে ক্রমাগত সহিংসতার মধ্যে রয়েছে এবং রোববারের এই হামলা ও প্রাণহানি ধারাবাহিক অস্থিতিশীলতারই সর্বশেষ ঘটনা।

রয়টার্স বলছে, রোববার কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ ইতুরিতে গির্জায় প্রার্থনারত উপাসকদের ওপর মিলিশিয়া হামলার পর অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের এক নেতা সোমবার জানিয়েছেন।

ডজুগু অঞ্চলের প্রশাসক রুফিন মাপেলা এবং নাগরিক সমাজের নেতা ডিউডোন লোসা বলেছেন, দ্য কোঅপারেটিভ ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অব কঙ্গো (কোডেকো) গ্রুপ এই হামলার পেছনে রয়েছে।

লোসা বলেছেন, ‘নিহত ব্যক্তিরা ঘটনার দিন গির্জায় উপস্থিত হয়ে তাদের প্রভুর কাছে প্রার্থনা করছিলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কোডেকো হিসাবে চিহ্নিত মিলিশিয়ারা তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে ও হামলা চালায়।’

উভয়েই বলেছেন, নিহত ১৪ জনের মধ্যে ৯ জন বেসামরিক নাগরিক, ৪ জন হামলাকারী এবং একজন সৈন্য রয়েছেন। মাপেলা বলেন, বাহেমা-নর্ড চিফডমে লেক অ্যালবার্টের তীরে অবস্থিত মেসা, সেপ্যাক এবং অমোপ্রো গির্জাগুলোতে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।

ইতুরি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জুলেস এনগোঙ্গো শিকুদি স্থানীয় জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, কঙ্গোতে যে কয়েকটি সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠী রয়েছে, তার একটি হচ্ছে কোডেকো। কঙ্গোর খনিজ-সমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চলীয় ভূখণ্ড ও সম্পদের দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে মিলিশিয়ারা। এই সংঘাতে গত এক দশকে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

এর আগে ব্যাপক মিলিশিয়া সহিংসতা রোধ করার লক্ষ্যে কঙ্গোর সরকার ২০২১ সালে নর্থ কিভু এবং ইতুরিতে অবরোধের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু হত্যাকাণ্ড ও বিদ্রোহী তৎপরতা কমার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।

অবশ্য ২০ বছরের বেশি সময় ধরে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা মোতায়েন রয়েছে কঙ্গোতে।

সবুজদেশ/এসইউ

About Author Information
আপডেট সময় : ১১:৪৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩
৯৭ Time View

কঙ্গোতে গির্জায় হামলা, নিহত ১৪

আপডেট সময় : ১১:৪৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩

আর্ন্তজাতিক ডেস্কঃ

মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআর কঙ্গো) গির্জায় সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। গত রোববার দেশটির পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি গির্জায় এই হামলা হয় এবং হামলার সময় বহু মানুষ সেখানে প্রার্থনা করছিলেন।

অবশ্য নিহতদের মধ্যে কয়েকজন হামলাকারীও রয়েছে। আফ্রিকার এই দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সেনাবাহিনী এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও কঙ্গোর পূর্বাঞ্চল বছরের পর বছর ধরে ক্রমাগত সহিংসতার মধ্যে রয়েছে এবং রোববারের এই হামলা ও প্রাণহানি ধারাবাহিক অস্থিতিশীলতারই সর্বশেষ ঘটনা।

রয়টার্স বলছে, রোববার কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ ইতুরিতে গির্জায় প্রার্থনারত উপাসকদের ওপর মিলিশিয়া হামলার পর অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের এক নেতা সোমবার জানিয়েছেন।

ডজুগু অঞ্চলের প্রশাসক রুফিন মাপেলা এবং নাগরিক সমাজের নেতা ডিউডোন লোসা বলেছেন, দ্য কোঅপারেটিভ ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অব কঙ্গো (কোডেকো) গ্রুপ এই হামলার পেছনে রয়েছে।

লোসা বলেছেন, ‘নিহত ব্যক্তিরা ঘটনার দিন গির্জায় উপস্থিত হয়ে তাদের প্রভুর কাছে প্রার্থনা করছিলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কোডেকো হিসাবে চিহ্নিত মিলিশিয়ারা তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে ও হামলা চালায়।’

উভয়েই বলেছেন, নিহত ১৪ জনের মধ্যে ৯ জন বেসামরিক নাগরিক, ৪ জন হামলাকারী এবং একজন সৈন্য রয়েছেন। মাপেলা বলেন, বাহেমা-নর্ড চিফডমে লেক অ্যালবার্টের তীরে অবস্থিত মেসা, সেপ্যাক এবং অমোপ্রো গির্জাগুলোতে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।

ইতুরি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জুলেস এনগোঙ্গো শিকুদি স্থানীয় জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, কঙ্গোতে যে কয়েকটি সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠী রয়েছে, তার একটি হচ্ছে কোডেকো। কঙ্গোর খনিজ-সমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চলীয় ভূখণ্ড ও সম্পদের দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে মিলিশিয়ারা। এই সংঘাতে গত এক দশকে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

এর আগে ব্যাপক মিলিশিয়া সহিংসতা রোধ করার লক্ষ্যে কঙ্গোর সরকার ২০২১ সালে নর্থ কিভু এবং ইতুরিতে অবরোধের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু হত্যাকাণ্ড ও বিদ্রোহী তৎপরতা কমার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।

অবশ্য ২০ বছরের বেশি সময় ধরে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা মোতায়েন রয়েছে কঙ্গোতে।

সবুজদেশ/এসইউ