ছবিঃ সংগৃহিত

আল মামুন সোহাগ, (চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি): চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের বাঘাডাঙ্গা গ্রামের খ্রীষ্টানপাড়ার লোকাস মন্ডলের ছেলে মুকুলের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবীতে তার স্ত্রী ও তার স্ত্রীর বোন, বোনের স্বামীকে বেধড়ক মারপিট করে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে।জানা গেছে মাস দুয়েক পূর্বে কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের মিশন পাড়ার বিনজাবিনের নাবালিকা মেয়ে রুমি মন্ডল (১৩) কে বাঘাডাঙ্গার লোকাস মন্ডলের ছেলে মুকুল বিয়ে করে।গতকাল শক্রবার সকালে রুমির বোন সুমি মন্ডল ও তার স্বামী জাহিদুল রুমিকে দেখতে  আসলে সুমি তার স্বামী তার বোন রুমিকে নির্যাতনের কারন জানতে চাইলে  মুকুল ও তার বাড়ির লোকজন রুমি তার বোন সুমি  ও তার স্বামী জাহিদুলকে  বেধড়ক মারপিট করে বাড়িতে আটকে রাখে।ঘটনার খবর পেয়ে কার্পাসডাঙ্গার স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে মুকুলের স্ত্রী রুমি জানান মুকুল খুব খারাপ। সে প্রায়ই তাকে ব্যাপক মারধর করে।তার পরিবারের  কারো সাথে কথা বলতে দেয়না।মোটা অঙ্কের টাকা যৌতুক চাই দিতে না পারায় সে মারধর করে। এ বিষয়ে জানতে অনেকের সাথে কথা বললে তারা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন মুকুল সব সময় টাকার বড়াই করে।নাবালিকা মেয়ে বিয়ে করেও সে এলাকায় বুক ফুলিয়ে বলে বেড়াতো  আমার কেউ কিছুই করতে পারবে না।ওর কঠোর শাস্তির দাবী করেন অনেকে। মেয়ের বোন সুমি জানান ঘটনার দিন মুকুল আমাদের বেধড়ক মারপিট করে আমার কানের দুল ও কাছে থাকা নগদ আট হাজার টাকা ছিনিয়ে নেই ।খবর পেয়ে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির এ এস আই আবুল কাশেম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার  করে ও মুকুলকে  দামুড়হুদা মডেল থানায় নিয়ে যায়।মুকুলের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বললে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।এ বিষয়ে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই আসাদুর রহমান আসাদ জানান মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন মামলা না করায় ও মেয়েটি তার স্বামীর বাড়ি যেতে অস্বীকৃতি জানালে  মেয়েটিকে  তার ভাইয়ের জিম্মায় ও মুকুলকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।পরবর্তীতে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে মুকুলের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি

আল মামুন সোহাগ 
চুয়াডাঙ্গ  প্রতিনিধি

১৯/০১/২০১৯Attachments area

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here