কালীগঞ্জে খাদ্য বিষক্রিয়ায় একই পরিবারের ১১ জন সদস্য হাসপাতালে ভর্তি
ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে খাদ্য বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে একই পরিবারের ১১ জন সদস্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আক্রান্তদের কালীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সকালের খাবারের পরই তারা অসুস্থ্য হতে থাকে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বেথুলী গ্রামে। হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থরা হলো বেথুলী গ্রামের কালীপদ ঘোষ, তার স্ত্রী, দুই পুত্র, পুত্রবধু ও শিশু নাতী নাতনী সহ একই পরিবারের ১১ জন সদস্য। এদের মধ্যে কালীপদ ঘোষের স্ত্রীর এখনো জ্ঞান ফিরেনী। তার অবস্থা আশংকাজনক।
প্রতিবেশি নিশিত ঘোষ জানান, বুধবার সন্ধ্যার আগে বাড়ীতে ফিরলে তার স্ত্রীর কাছে শুনতে পায় পাশের বাড়ী কালীপদ ঘোষের বাড়ীর সকল সদস্য অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। এমন খবর শুনে তিনি ওই বাড়িতে গিয়ে দেখেন কালীপদ সহ পরিবারের সবাই মারাত্মক অসুস্থ্য অবস্থায় কাতরাচ্ছে। এ সময় তিনি গ্রামের লোকজন সহযোগিতার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সবাইকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। বর্তমানে তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
অসুস্থদের প্রতিবেশি ও স্বজনরা জানায়, কালীপদ ঘোষের যৌথ পরিবারটির সদস্য সংখ্যা ১১ জন। ওইদিন পরিবারের সবাই সকালের খাবারে কুমড়া, বেগুন, কচু দিয়ে ঘ্যাটের তৈরি খাবার খেয়েছিল। দুপুরের পর থেকেই তারা সবাই অসুস্থ্য বোধ করতে থাকে। এক পর্ষায়ে সন্ধ্যার সময়ে কালীপদ ঘোষের স্ত্রী অনিতা ঘোষ (৫৫) অচেতন হয়ে পড়ে। এ সময় অসুস্থদের আত্মচিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে দ্রত হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার সঙ্গিতা রানী চৌধুরী জানান, তাদের ধারনা খাদ্য বিষাক্ত পদার্থের কারনে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তারা রোগীদের সুস্থ্য করতে দ্রুত চিকিৎসার ব্যাবস্থা করছেন। এদের মধ্যে কালীপদ ঘোষের স্ত্রীর অবস্থা আশংকাজনক।
হাসপাতালে ভর্তিকৃতরা হলো, কালীপদ ঘোঘ, তার স্ত্রী অনিতা ঘোষ, দু’পুত্র নারান ও জয়কৃষ্ণ, পুত্রবধু লিলি ঘোষ ও শ্যামরী ঘোস, শিশু নাতী তিথি, বন্যা, বৃষ্টি, সিমান্ত ও খেয়ালী সহ যৌথ পরিবারের ১১ জন।