ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ঃ এসএসসি স্কুলটেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্ষ্য তাজমুল হোসেন নামের এক ছাত্রের ফরম ফিলাপ না করায় কালীগঞ্জে জিন্নাত আলী নামে এক স্কুল শিক্ষককে পিটিয়েছে ৩ বখাটে ছাত্র। এ সময় আরো ২ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহষ্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় উপজেলার চাপরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। এ ঘটনার পর কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রানী সাহা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইউনুস আলী ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ সময় তারা দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস দেন। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুপুরে কালীগঞ্জ থানাতে একটি সাধারন ডায়েরি করেছেন। এদিকে স্থানীয়রা বলছে, দীর্ঘদিন ধরে সোহেল রানা, তাজমুল ও মিনাজ নামের ঐ তিন যুবক ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
চাপরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) নারায়ণ চন্দ্র জানান, এবার এসএসসি টেস্ট পরীক্ষার তার বিদ্যালয় থেকে বেশ ৮১ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ৪৬ জন পাশ করে। ফেলকৃতদের মধ্যে কারো ১ সাবজেট আবার কেউ ২ সাবজেটে ফেল করেছে। এবারে বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফেলকৃত শিক্ষার্থীদের এসএসসি ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ না করানোর নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু বৃহষ্পতিবার সকালে অকৃতকার্ষ ছাত্র চাপরাইল গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে তাজমুল সহ স্থানীয় বখাটে অনুপমপুর গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে সোহেল আহমেদ ও লিটন গাজীর ছেলে মিনাজ ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিদ্যালয়ে আসে। তারা তাজমুলের ফরম পুরনের জন্য শিক্ষকদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এক পর্ষায়ে শিক্ষকরা তাদের দাবি মেনে না নেওয়ায় তারা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জিন্নাত আলী সহ কয়েকজন ছাত্রকে মারপিট করে আহত করে। একই সময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে পাশ্ববর্তী একটি দোকানে বসে থাকা লিটন হোসেন ও চাপরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল হকের ভাই আব্দুল হাইকে কুপিয়ে জখম করে। পরে গ্রামবাসী ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা এক হয়ে তাদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকার পরিস্থিতি উত্যপ্ত হয়ে উঠে। এ খবর পেয়ে পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এরপর দুপুরে ওই বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে থানাতে একটি সাধারন ডায়েরি দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিঠু মালিতা জানান, অভিযুক্ত যুবকরা ছাত্রলীগের সংগঠনটির সাথে জড়িত নেই। স্থানীয়রা তাদের বখাটে যুবক হিসেবেই চেনে। তিনি অভিযুক্তদের আটকসহ দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান ।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি ইউনুস আলী জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি ওই ৩ যুবককে আটকের চেষ্টা চলছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুর্বণা রানী সাহা জানান, তিনি খবর পেয়েই স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের সাথে কথা বলেছেন। এবং অভিযুক্ত ৩ যুবককে আটককের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here