ঢাকা ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জে মাদক সংক্রান্ত মিথ্যা অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাংবাদিক সম্মেলন

Reporter Name

মোঃ হাবিব ওসমান, ঝিনাইদহ :
মাদক ব্যবসা করা ও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে নাম তালিকা ভূক্ত থাকার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, কালীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কালীগঞ্জ পৌরসভার আড়পাড়া গ্রামের আলহাজ¦ আব্দুল মুবিনের ছেলে শিবলী নোমানী। এসময় তার বৃদ্ধ পিতা আলহাজ¦ আব্দুল মুবিন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় শোয়াইব নগর কামেল (এমএ) মাদ্রাসার হল রুমে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন। শিবলী নোমানী লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি আপনাদের সামনেই বড় হয়েছি। সেই ছোট বেলা থেকে আমি আজ পর্যন্ত সবার সাথে বিন¤্র আচরন করেছি। বিপদে-আপাদে মানুষের পাশে দাড়িয়েছি এবং অসহায় নির্যাতিত মানুষের পাশে এখনও শক্ত হয়ে দাড়িয়াছি। বর্তমানে আমি পরিবার পরিজন নিয়ে অসহাত্বের মত জীবন যাপন করছি। আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। একটি মহল প্রশাসনকে ভূল তথ্য দিয়ে আমাকে মাদক ব্যবসায়ী ও এর আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা বানিয়ে আমার নাম ঐ মর্মে তালিকাভূক্ত করিয়াছে। ইন্টারনেটের বিভিন্ন ভূয়া ফেইস বুক আইডিতে ঐ সব তালিকা প্রকাশ করে অপ-প্রচার চালাচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন ভাবে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য অপপ্রচার ও অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তিনি বলেন, আমি মাদক ব্যবসাকে ঘৃনা করি। প্রধানমন্ত্রির মাদক বিরোধী অভিযানকে সাধূবাদ জানায় এবং এই প্রশংসনিয় পদক্ষেপকে সহযোগীতা করে আসছি। এই জঘন্য ব্যবসার সাথে আমি বা আমার পরিবার কোনদিন জড়িত ছিল না আজও নেই। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাকে নিয়ে রীতিমত চক্রান্ত করছে। আমার নামে কোনদিন কোন মাদকের মামলা ছিলনা আজও নেই এবং কেউ কখনও বলতেও পারবে না। আমার নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এবং এসব অপপ্রচারের জন্য আমার নাম এ সব তালিকায় তালিকা ভূক্ত করা হয়েছে।
একটি মহল রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্যে হাসিলের জন্য প্রশাসনের কাছে আমার নামে ভূল তথ্য সরবরাহ করে এ ধরনের নামের তালিকায় আমার নাম অন্তভূক্ত করা হয়েছে। মাদকের সাথে প্রকৃতপক্ষে জড়িতদের খুঁজে বের করার জোর দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি ঝিনাইদহের স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের তালিকাভূক্ত একজন প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার ও বর্তমার উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি দায়িত্ব পালন করছি। ১৯৯৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যকরী পরিষদের গুরুত্বপদেপূর্ণ পদে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেছি। উপজেলার সর্বোচ্চ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শোয়াইব নগর কামেল (এমএ) মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন ধরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। এই প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক গরীব মেধাবী এতিম ছেলে মানুষের মতো মানুষ হয়ে সরকারের বিভিন্ন পদে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছে। এই প্রতিষ্ঠানে আমার আব্বাও আমার পরিবারের অবদান অপরিসিম তাহা এলাকাবসী অকপটে স্বিকার করবে। আমি পৌরসভার সাবেক ২ও ৩ বর্তমান ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিষ্ট্রারের দায়িত্ব পালন করছি। আমি আপনাদের মাধ্যেমে এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি একাধিক মসজিদ, মন্দির, এতিমখানা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া সংগঠনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। এই সব অপবাদ আওয়ামী বিরোধী চক্রের ষড়যন্ত্রের ফল। তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সবিনয় দৃষ্টি আকর্ষন করে সরেজমিনে নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক সত্য প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করে তার রাজনৈতিক, সামাজিক ভাবমূর্তি বজায় রাখতে মাদকের কথিত তালিকা হতে তার নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান। তিনি আরো জানান, নিরপেক্ষ তদন্ত করলে সে অবশ্যই নির্দোষ প্রমানিত হবে। তিনি ইতিমধ্যে নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মূখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, মহাপরিচালক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার, ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার, কোম্পানী কমান্ডার র‌্যাব-৬, সহকারী পরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অফিসার ইনচার্য কালীগঞ্জ থানা বরাবর আবেদন করেছে। তিান আরো জানান, আমার পক্ষে প্রত্যায়ন পত্র দিয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, পৌর কাউন্সিলরবৃন্দ, মোবারকগঞ্জ চিনি কলের আখ চাষী কল্যান সমিতি ও স্থানীয় গণ্যমান ব্যক্তিবর্গের গণস্বাক্ষরীত ঘোষনাপত্র, সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিতে প্রেরন করেছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, তার পিতা আলহাজ¦ আব্দুল মুবিন, তার বড় ভাই মাসুদুর রহমান মন্টু, স্থানীয় দৈনিক নবচিত্র পত্রিকার প্রধান সম্পাদক আলহাজ¦ শহিদুল ইসলাম, কালীগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোক্তার হোসেন, মোবারকগঞ্জ চিনিকল কৃষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি জহুরুল ইসলামসহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিল শতাধিক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মী।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৪:০৫:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অগাস্ট ২০১৮
৪০৮ Time View

কালীগঞ্জে মাদক সংক্রান্ত মিথ্যা অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাংবাদিক সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৪:০৫:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অগাস্ট ২০১৮

মোঃ হাবিব ওসমান, ঝিনাইদহ :
মাদক ব্যবসা করা ও পৃষ্ঠপোষক হিসেবে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে নাম তালিকা ভূক্ত থাকার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, কালীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কালীগঞ্জ পৌরসভার আড়পাড়া গ্রামের আলহাজ¦ আব্দুল মুবিনের ছেলে শিবলী নোমানী। এসময় তার বৃদ্ধ পিতা আলহাজ¦ আব্দুল মুবিন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় শোয়াইব নগর কামেল (এমএ) মাদ্রাসার হল রুমে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন। শিবলী নোমানী লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি আপনাদের সামনেই বড় হয়েছি। সেই ছোট বেলা থেকে আমি আজ পর্যন্ত সবার সাথে বিন¤্র আচরন করেছি। বিপদে-আপাদে মানুষের পাশে দাড়িয়েছি এবং অসহায় নির্যাতিত মানুষের পাশে এখনও শক্ত হয়ে দাড়িয়াছি। বর্তমানে আমি পরিবার পরিজন নিয়ে অসহাত্বের মত জীবন যাপন করছি। আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। একটি মহল প্রশাসনকে ভূল তথ্য দিয়ে আমাকে মাদক ব্যবসায়ী ও এর আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা বানিয়ে আমার নাম ঐ মর্মে তালিকাভূক্ত করিয়াছে। ইন্টারনেটের বিভিন্ন ভূয়া ফেইস বুক আইডিতে ঐ সব তালিকা প্রকাশ করে অপ-প্রচার চালাচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন ভাবে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য অপপ্রচার ও অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তিনি বলেন, আমি মাদক ব্যবসাকে ঘৃনা করি। প্রধানমন্ত্রির মাদক বিরোধী অভিযানকে সাধূবাদ জানায় এবং এই প্রশংসনিয় পদক্ষেপকে সহযোগীতা করে আসছি। এই জঘন্য ব্যবসার সাথে আমি বা আমার পরিবার কোনদিন জড়িত ছিল না আজও নেই। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাকে নিয়ে রীতিমত চক্রান্ত করছে। আমার নামে কোনদিন কোন মাদকের মামলা ছিলনা আজও নেই এবং কেউ কখনও বলতেও পারবে না। আমার নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এবং এসব অপপ্রচারের জন্য আমার নাম এ সব তালিকায় তালিকা ভূক্ত করা হয়েছে।
একটি মহল রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্যে হাসিলের জন্য প্রশাসনের কাছে আমার নামে ভূল তথ্য সরবরাহ করে এ ধরনের নামের তালিকায় আমার নাম অন্তভূক্ত করা হয়েছে। মাদকের সাথে প্রকৃতপক্ষে জড়িতদের খুঁজে বের করার জোর দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি ঝিনাইদহের স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের তালিকাভূক্ত একজন প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার ও বর্তমার উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি দায়িত্ব পালন করছি। ১৯৯৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যকরী পরিষদের গুরুত্বপদেপূর্ণ পদে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেছি। উপজেলার সর্বোচ্চ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শোয়াইব নগর কামেল (এমএ) মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন ধরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। এই প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক গরীব মেধাবী এতিম ছেলে মানুষের মতো মানুষ হয়ে সরকারের বিভিন্ন পদে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছে। এই প্রতিষ্ঠানে আমার আব্বাও আমার পরিবারের অবদান অপরিসিম তাহা এলাকাবসী অকপটে স্বিকার করবে। আমি পৌরসভার সাবেক ২ও ৩ বর্তমান ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিষ্ট্রারের দায়িত্ব পালন করছি। আমি আপনাদের মাধ্যেমে এসবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি একাধিক মসজিদ, মন্দির, এতিমখানা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া সংগঠনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। এই সব অপবাদ আওয়ামী বিরোধী চক্রের ষড়যন্ত্রের ফল। তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সবিনয় দৃষ্টি আকর্ষন করে সরেজমিনে নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক সত্য প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করে তার রাজনৈতিক, সামাজিক ভাবমূর্তি বজায় রাখতে মাদকের কথিত তালিকা হতে তার নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান। তিনি আরো জানান, নিরপেক্ষ তদন্ত করলে সে অবশ্যই নির্দোষ প্রমানিত হবে। তিনি ইতিমধ্যে নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মূখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, মহাপরিচালক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার, ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার, কোম্পানী কমান্ডার র‌্যাব-৬, সহকারী পরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অফিসার ইনচার্য কালীগঞ্জ থানা বরাবর আবেদন করেছে। তিান আরো জানান, আমার পক্ষে প্রত্যায়ন পত্র দিয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, পৌর কাউন্সিলরবৃন্দ, মোবারকগঞ্জ চিনি কলের আখ চাষী কল্যান সমিতি ও স্থানীয় গণ্যমান ব্যক্তিবর্গের গণস্বাক্ষরীত ঘোষনাপত্র, সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিতে প্রেরন করেছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, তার পিতা আলহাজ¦ আব্দুল মুবিন, তার বড় ভাই মাসুদুর রহমান মন্টু, স্থানীয় দৈনিক নবচিত্র পত্রিকার প্রধান সম্পাদক আলহাজ¦ শহিদুল ইসলাম, কালীগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোক্তার হোসেন, মোবারকগঞ্জ চিনিকল কৃষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি জহুরুল ইসলামসহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিল শতাধিক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মী।