ঢাকা ০৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কোলাবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে বিপজ্জনক সড়ক

কালীগঞ্জে সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে অভিভাবকেরা থাকেন দুশ্চিন্তায়

 

যে কোন ছোট ধরনের দূর্ঘটনাও হতে পারে একটি পরিবারের জন্য সারাজীবনের কান্না। এ কথা মনে রেখেই বিদ্যালয়টির শিক্ষকদের রাখতে হয় বাড়তি নজরদারি। কেননা ব্যস্ততম পাকা সড়ক ঘেষেই অবস্থিত বিদ্যালয়টি। আর টিফিন অথবা ছুটির ঘন্টা বাজলেই এমনকি সুযোগ পেলেই শিক্ষার্থীরা চলে যায় পাশের ব্যস্ততম পাকা সড়কে। এতে হরহামেশায় ঘটে দূর্ঘটনা। ফলে সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে অভিভাবকেরাও থাকেন মহা দুশ্চিন্তায়। এমন অবস্থা ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের কোলাবাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কোলা ও জামাল ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে কোলাবাজার অবস্থিত। এখানে গড়ে উঠেছে প্রায় ৩ হাজার ছোট বড় দোকানপাট। আর এটিই এ অঞ্চলের একমাত্র বাজার হওয়ায় সব সময় বিপুল সংখ্যক লোকজনের উপস্থিতি থাকে। এ বাজারের মাঝখান দিয়েই চলে গেছে কালীগঞ্জ-আড়পাড়া সড়ক। যেটি দিয়ে দিনরাত অসংখ্য ছোট বড় যানবাহন চলাচল করে থাকে। আর ব্যস্ততম এ পাকা সড়ক ঘেষেই রয়েছে কোলাবাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। যেখানে আশপাশের বেশ কয়েক গ্রামের ছোট ছোট সোনামনিরা লেখাপড়া করে থাকে। ফলে শিক্ষার্থী সংখ্যাও প্রায় ৪ শতাধিক। কিন্ত বিদ্যালয়টির তিন দিকে ঘেরা থাকলেও দক্ষিণ দিকের পাকা সড়কের বিপজ্জনক পাশ রয়েছে একেবারেই খোলা। যেখানে অহরহ ঘটছে দূর্ঘটনা।

বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জামিলা খাতুন জানায়, পাকা সড়কের মাত্র কয়েক গজ দুরের ভবনে তাদের ক্লাস হয়। সড়কের পাশ একেবারেই ফাঁকা। যে কারনে বিদ্যালয়ের আঙিনায় তারা ঠিকমত খেলাধুলাও করতে পারে না। আর সড়কে চলাচলরত যানবাহনে শিক্ষার্থীদেরকে প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়তে হয়।

রাবেয়া খাতুন নামের এক অভিভাবক জানান, এ বিদ্যালয়টি একদিকে বাজারের মাঝখানে। অন্যদিকে পাশ দিয়েই চলে গেছে কালীগঞ্জ- আড়পাড়া পাকা সড়ক। যে সড়কে দ্রুতগতির মটরবাইক সহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে থাকে। তারপরও বিদ্যালয়টির সড়কের পাশে কোন প্রাচীর নেই। ফলে প্রায়ই ঘটে দূর্ঘটনা। কাজেই শিশুরা যতক্ষন স্কুল থেকে বাড়ি না ফেরে অভিবাবকদের মধ্যে সব সময় দুশ্চিন্তা কাজ করে। অথচ সরকারীভাবে মাত্র কয়েক গজ প্রাচীরের ব্যবস্থা করে ঝুঁকিটা লাঘব করা সম্ভব।

অভিভাবকদের ভাষ্য, পাকাসড়কের পাশে কোন প্রাচীর না থাকায় শ্রেণী কার্যক্রম চলাকালীন সময়েও রাস্তায় কি হচ্ছে তা দেখা যায়। যে কারনে ছোট ছোট সোনামনিদের পাঠ গ্রহনে মনোযোগ কিছুটা হলেও নষ্ট হয়। আবার টিফিনের অথবা ছুটির ঘন্টা বাজলে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা দৌড়ে সড়কের ওপর চলে আসে। ফলে তারা ব্যস্ততম এ সড়কের চলাচলরত মটরবাইক, ইঞ্জিনচালিত বিভিন্ন যানবাহনে দূর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকে। ফলে সোনামনিদের রক্ষায় সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া উচিৎ।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম রহমান জানান, এমনিতে তাদের বিদ্যালয়টি বাজারের মধ্যে । তারপরও প্রচুর যানবাহন চলাচল করা কালীগঞ্জ -আড়পাড়া সড়ক ঘেষে এটির অবস্থান। সড়কের পাশটিতে প্রাচীর নেই। যে কারনে দূর্ঘটনা এড়াতে শিক্ষকদেরকে বাড়তি নজরদারি রাখতে হয়। তারপরও বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকদের নজর ফাঁকি দিয়ে ফাঁকা পাশ দিয়ে শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ সড়কে চলে আসে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রাচীরের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছেন।

সবুজদেশ/এসএএস

Tag :
About Author Information

কোলাবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে বিপজ্জনক সড়ক

কালীগঞ্জে সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে অভিভাবকেরা থাকেন দুশ্চিন্তায়

Update Time : ০৬:২৩:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪

 

যে কোন ছোট ধরনের দূর্ঘটনাও হতে পারে একটি পরিবারের জন্য সারাজীবনের কান্না। এ কথা মনে রেখেই বিদ্যালয়টির শিক্ষকদের রাখতে হয় বাড়তি নজরদারি। কেননা ব্যস্ততম পাকা সড়ক ঘেষেই অবস্থিত বিদ্যালয়টি। আর টিফিন অথবা ছুটির ঘন্টা বাজলেই এমনকি সুযোগ পেলেই শিক্ষার্থীরা চলে যায় পাশের ব্যস্ততম পাকা সড়কে। এতে হরহামেশায় ঘটে দূর্ঘটনা। ফলে সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে অভিভাবকেরাও থাকেন মহা দুশ্চিন্তায়। এমন অবস্থা ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের কোলাবাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কোলা ও জামাল ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে কোলাবাজার অবস্থিত। এখানে গড়ে উঠেছে প্রায় ৩ হাজার ছোট বড় দোকানপাট। আর এটিই এ অঞ্চলের একমাত্র বাজার হওয়ায় সব সময় বিপুল সংখ্যক লোকজনের উপস্থিতি থাকে। এ বাজারের মাঝখান দিয়েই চলে গেছে কালীগঞ্জ-আড়পাড়া সড়ক। যেটি দিয়ে দিনরাত অসংখ্য ছোট বড় যানবাহন চলাচল করে থাকে। আর ব্যস্ততম এ পাকা সড়ক ঘেষেই রয়েছে কোলাবাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। যেখানে আশপাশের বেশ কয়েক গ্রামের ছোট ছোট সোনামনিরা লেখাপড়া করে থাকে। ফলে শিক্ষার্থী সংখ্যাও প্রায় ৪ শতাধিক। কিন্ত বিদ্যালয়টির তিন দিকে ঘেরা থাকলেও দক্ষিণ দিকের পাকা সড়কের বিপজ্জনক পাশ রয়েছে একেবারেই খোলা। যেখানে অহরহ ঘটছে দূর্ঘটনা।

বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জামিলা খাতুন জানায়, পাকা সড়কের মাত্র কয়েক গজ দুরের ভবনে তাদের ক্লাস হয়। সড়কের পাশ একেবারেই ফাঁকা। যে কারনে বিদ্যালয়ের আঙিনায় তারা ঠিকমত খেলাধুলাও করতে পারে না। আর সড়কে চলাচলরত যানবাহনে শিক্ষার্থীদেরকে প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়তে হয়।

রাবেয়া খাতুন নামের এক অভিভাবক জানান, এ বিদ্যালয়টি একদিকে বাজারের মাঝখানে। অন্যদিকে পাশ দিয়েই চলে গেছে কালীগঞ্জ- আড়পাড়া পাকা সড়ক। যে সড়কে দ্রুতগতির মটরবাইক সহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে থাকে। তারপরও বিদ্যালয়টির সড়কের পাশে কোন প্রাচীর নেই। ফলে প্রায়ই ঘটে দূর্ঘটনা। কাজেই শিশুরা যতক্ষন স্কুল থেকে বাড়ি না ফেরে অভিবাবকদের মধ্যে সব সময় দুশ্চিন্তা কাজ করে। অথচ সরকারীভাবে মাত্র কয়েক গজ প্রাচীরের ব্যবস্থা করে ঝুঁকিটা লাঘব করা সম্ভব।

অভিভাবকদের ভাষ্য, পাকাসড়কের পাশে কোন প্রাচীর না থাকায় শ্রেণী কার্যক্রম চলাকালীন সময়েও রাস্তায় কি হচ্ছে তা দেখা যায়। যে কারনে ছোট ছোট সোনামনিদের পাঠ গ্রহনে মনোযোগ কিছুটা হলেও নষ্ট হয়। আবার টিফিনের অথবা ছুটির ঘন্টা বাজলে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা দৌড়ে সড়কের ওপর চলে আসে। ফলে তারা ব্যস্ততম এ সড়কের চলাচলরত মটরবাইক, ইঞ্জিনচালিত বিভিন্ন যানবাহনে দূর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকে। ফলে সোনামনিদের রক্ষায় সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া উচিৎ।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম রহমান জানান, এমনিতে তাদের বিদ্যালয়টি বাজারের মধ্যে । তারপরও প্রচুর যানবাহন চলাচল করা কালীগঞ্জ -আড়পাড়া সড়ক ঘেষে এটির অবস্থান। সড়কের পাশটিতে প্রাচীর নেই। যে কারনে দূর্ঘটনা এড়াতে শিক্ষকদেরকে বাড়তি নজরদারি রাখতে হয়। তারপরও বিভিন্ন সময়ে শিক্ষকদের নজর ফাঁকি দিয়ে ফাঁকা পাশ দিয়ে শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ সড়কে চলে আসে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রাচীরের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছেন।

সবুজদেশ/এসএএস