ঢাকা ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালীগঞ্জে স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে পালিয়েছে ভাড়াটিয়া দম্পতি

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে আমেনা ও জহুরুল নামে এক প্রতারক দম্পতি লক্ষাধিক টাকা ও স্বর্ণের গহনা নিয়ে পালিয়ে গেছে। তারা কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন কাশিপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের বাড়িতে ভাড়া থাকতো।

শুক্রবার সকালে তারা বিয়ের দাওয়াত খেতে যাবে বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তারা আর ফিরে আসেনি। যাওয়ার আগে তারা ভাড়া বাড়ির মালিক আতিয়ার রহমানের স্ত্রী সুখজান বিবির কানের দুল ও চারটি এনজিও থেকে এক লাখ দশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।

সুখজান বিবি জানান, প্রায় এক বছর আগে আমাদের বাড়িতে এসে ভাড়া থাকতো। তাদের বাড়ি বাগেরহাট বলে জানায়। তবে, গত দির্ঘদিন ধরে আমাদের বাড়িতে থাকলে তাদের সম্পর্কে এর বেশি কিছু আর জানা যায়নি। পরে জানতে পারি তারা বিভিন্ন এলাকায় যেয়ে ভিক্ষা করতো। সম্প্রতি সে চারটি এনজিও থেকে এক লাখ দশ হাজার টাকা ঋণ নেয়। এই টাকার মধ্যে ৭০ হাজার টাকার জামিনদার আমরা। যে টাকার কিস্তি এখন আমাদের পরিশোধ করতে হয়।

শুক্রবার চলে যাওয়ার আগে জানায়, একটি বিয়ের দাওয়াতে যাচ্ছে। যাওয়ার সময় আমার স্বর্ণের কানের দুল নেয়। এছাড়া সাথে করে আমার বড় ছেলে শিশু সন্তানকে সাথে নিয়ে যায়। এরপর বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশের একটি দোকান থেকে চিপস কিনে বাচ্চাটাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:১৪:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৯
৫০০ Time View

কালীগঞ্জে স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে পালিয়েছে ভাড়াটিয়া দম্পতি

আপডেট সময় : ০৬:১৪:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৯

ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে আমেনা ও জহুরুল নামে এক প্রতারক দম্পতি লক্ষাধিক টাকা ও স্বর্ণের গহনা নিয়ে পালিয়ে গেছে। তারা কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন কাশিপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের বাড়িতে ভাড়া থাকতো।

শুক্রবার সকালে তারা বিয়ের দাওয়াত খেতে যাবে বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তারা আর ফিরে আসেনি। যাওয়ার আগে তারা ভাড়া বাড়ির মালিক আতিয়ার রহমানের স্ত্রী সুখজান বিবির কানের দুল ও চারটি এনজিও থেকে এক লাখ দশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।

সুখজান বিবি জানান, প্রায় এক বছর আগে আমাদের বাড়িতে এসে ভাড়া থাকতো। তাদের বাড়ি বাগেরহাট বলে জানায়। তবে, গত দির্ঘদিন ধরে আমাদের বাড়িতে থাকলে তাদের সম্পর্কে এর বেশি কিছু আর জানা যায়নি। পরে জানতে পারি তারা বিভিন্ন এলাকায় যেয়ে ভিক্ষা করতো। সম্প্রতি সে চারটি এনজিও থেকে এক লাখ দশ হাজার টাকা ঋণ নেয়। এই টাকার মধ্যে ৭০ হাজার টাকার জামিনদার আমরা। যে টাকার কিস্তি এখন আমাদের পরিশোধ করতে হয়।

শুক্রবার চলে যাওয়ার আগে জানায়, একটি বিয়ের দাওয়াতে যাচ্ছে। যাওয়ার সময় আমার স্বর্ণের কানের দুল নেয়। এছাড়া সাথে করে আমার বড় ছেলে শিশু সন্তানকে সাথে নিয়ে যায়। এরপর বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশের একটি দোকান থেকে চিপস কিনে বাচ্চাটাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।