ঢাকাঃ

‘আবরার ফাহাদের পরিবার জামায়াত-শিবির’ কুষ্টিয়া জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাতের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে যে বক্তব্য এসেছে তার সমালোচনা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

পুলিশ সুপারের এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সংগঠনটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদ গণমাধ্যমে বিবৃতিতে বলেছেন, ‘তিনি হলেন প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মকর্তা। দেশবাসী মনে করে, প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকে তিনি কিছুতেই এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারেন না। তিনি যদি এ ধরনের রাজনৈতিক বক্তব্য দিতেই চান, তাহলে সরকারি চাকরি থেকে পদত্যাগ করেই তার ওই ধরনের বক্তব্য দেয়া উচিত।’

তিনি বলেন, “কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারের এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যের নিন্দা জানানোর আমাদের কোনো ভাষা নেই। যেখানে বাবা-মা প্রিয় সন্তানকে হারিয়ে শোকে প্রায় পাগলপারা, যেখানে সারাদেশের মানুষ শোকাহত, সেখানে তিনি এ ধরনের হাস্যকর বক্তব্য দিয়ে মূলত ফাহাদের বাবা-মার বুকভরা আর্তনাদকেই উপহাস করেছেন এবং ফাহাদের বিদেহী আত্মার প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করেছেন। এ যেন ‘মরার উপর খারার ঘা’।”

জামায়াতের এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘দেশবাসীর প্রশ্ন, আবরার ফাহাদের পরিবারকে জামায়াত-শিবির সংশ্লিষ্ট পরিবার আখ্যা দিয়ে তিনি আসলে কী বোঝাতে চান? তিনি কি এ হত্যাকে বৈধ হিসেবে চালিয়ে দিতে চান? জামায়াত-শিবির হলেই কি কাউকে এভাবে হত্যা করা যায়? প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকে তিনি কি এ ধরনের বক্তব্য প্রদান করতে পারেন?’

জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবির দেশের বৈধ দুটি নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক সংগঠন বলে দাবি করেন হামিদুর রহমান আযাদ। তিনি বলেন, এ সংগঠন দুটি দেশের আইন-কানুন মেনেই তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। তাই সংবিধান অনুযায়ী এ দেশে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক উপায়ে সংগঠন পরিচালনা করার অধিকার রয়েছে। সুতরাং জামায়াত-শিবির সংশ্লিষ্ট হলেই তাদের হত্যা করা যায় না। দেশবাসী কাউকেই সেই লাইসেন্স দেয়নি।’

বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে নিহত ছাত্র আবরার ফাহাদের ছোট ভাই ফাইয়াজ ও তার ভাবিকে পুলিশ পিটিয়ে আহত করেছে। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে জামায়াত ইসলামী।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here