সবুজদেশ ডেস্কঃ
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেছেন এক ব্যবসায়ী। মামলায় এজাহারে ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ী পুলিশের বিরুদ্ধে ক্রসফায়ার দেওয়ার হুমকি দিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ করেছেন। আজ ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান নোমানের আদালতে মামলাটি করেছেন তিনি।
আদালত মামলা গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্ত করে ১৬ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলাটি তদন্ত করবেন পিবিআইয়ের সহকারি পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা। মামলায় আসামিদের মধ্যে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন, কোতোয়ালী থানার এসআই পবিত্র সরকার, খালিদ শেখ, এএসআই শাহিনুর রহমান, কনস্টেবল মো. মিজান ও সোর্স মোতালেব।
মামলার অভিযোগে বাদী ও ভুক্তভোগী সোহেল মীর উল্লেখ করেছেন, ২রা আগস্ট বিকাল চারটার দিকে তিনি কেরানীগঞ্জ থেকে বুড়িগঙ্গা নদী পার হয়ে কোতোয়ালী থানাধীন ওয়াজঘাট এলাকায় নামেন। তারপর আম্বিয়া টাওয়ার সংলগ্ন মেইন রাস্তার উপর উঠামাত্র সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা আসামি (পুলিশ সদস্যরা) তার গতিরোধ করে তাকে তল্লাশী করেন।এসময় অবৈধ কিছু না পেয়ে তার পকেট থাকা দুই হাজার ৯শ’ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বাদী তার পকেট থেকে ছিনিয়ে নেয়া টাকা ফেরত চাইলে পুলিশ তাকে মারধর করে।
এসময় রাস্তায় পথচারিরা জড়ো হলে কনস্টেবল মো. মিজান ও ওসি মিজানুর রহমান তাদের পকেট থেকে দুই প্যাকেট ইয়াবা ট্যাবলেট ভুক্তভোগীর হাতে ধরিয়ে মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি ধারণ করে। পথচারিদের তারা জানায় প্যাকেটগুলোতে ২১৪পিস ইয়াবা আছে। পরে সোহেল মীরকে টানা হেচড়া করে কোতোয়ালী থানা হাজতে ঢুকিয়ে রাখে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন থানায় গেলে ওসি মিজানুর রহমান ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যদের জানান থানা থেকে সোহেলকে ছাড়িয়ে নিতে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে। নতুবা তাকে ক্রসফায়ারে দেয়া হবে।
পরে ভুক্তভোগীর স্ত্রী ও বোন আসামিদের দুই কিস্তিতে সাড়ে তিন লাখ টাকা দেওয়ার পর তারা সব ঘটনা আড়াল করে নন এফ আই আরে আদালতে চালান পাঠায়। পরে আসামিরাই (পুলিশ) তাকে কোর্ট ও গারদ থেকে ছাড়িয়ে আনে। ভুক্তভোগী সোহেলকে ছেড়ে দেওয়ার সময় আসামিরা (পুলিশ) বলে ঘটনার বিষয়ে বাড়াবাড়ি করলে কিংবা কারও কাছে প্রকাশ করলে বিভিন্ন মামলায় জড়াবে।