ঢাকা ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদা-তারেক নয়, বিএনপির মনোনয়ন ফখরুলের স্বাক্ষরে

Reporter Name

সবুজদেশ ডেক্সঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিতে শুরু করেছে বিএনপি। রবিবার দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাক্ষাৎকার পর্ব শুরু হয়।

দলের দুই প্রধান খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে বিএনপির প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরমে স্বাক্ষর করছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এদিকে টেনশনে ঘুম হারাম বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের। আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়তে সবাই এখন ঢাকায়। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে শুরু হয়েছে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার। পাশাপাশি লবিং-তদবিরেও ঢাকায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন অনেকেই। দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। যেখানে আশ্বাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন, সেখানেই ছুটে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। যে কোনো মূল্যে ‘ধানের শীষ’ প্রতীক চাই-ই তাদের।

দলের প্রভাবশালী নেতাদের বাসাবাড়ি কিংবা অফিসে দৌড়ঝাঁপ করছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। লন্ডনেও যোগাযোগ করছেন অনেকেই। কেউ কেউ যাচ্ছেন লন্ডনে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘সবুজ সংকেত’ পাওয়ার আশা করছেন তারা। এরই মধ্যে অনেকেই সবুজ সংকেত পেয়েছেন বলেও জানা গেছে।

জানা যায়, প্রতিটি সংসদীয় আসনে বিএনপি অন্তত তিনজনকে সবুজ সংকেত দিয়ে রাখছে। মামলা, ঋণখেলাপি কিংবা অন্য কোনো কারণে কারও প্রার্থিতা বাতিল হলে দ্বিতীয়জনকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে বিএনপি। ওই প্রার্থীও কোনো কারণে নির্বাচন না করতে পারলে তৃতীয়জনকে বেছে নেবে বিএনপি।

তবে হেভিওয়েট ছাড়া প্রায় প্রতিটি আসনেই ৪-৫ জন করে মনোনয়নপ্রত্যাশীর সাক্ষাৎকার নিচ্ছে বিএনপি।

বিএনপি জানায়, ৩০০ আসনেই তারা প্রার্থী চূড়ান্ত করে রাখবে। এরপর ২০-দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকেও পৃথকভাবে তাদের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকা চাওয়া হবে।

এরপর কোন কোন আসনে বিএনপির প্রার্থীর চেয়ে জোট ও ফ্রন্টের প্রার্থী যোগ্য তা নিয়ে পৃথকভাবে বৈঠক করে তাদেরও বেশ কিছু আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০-দলীয় জোটের শরিক দলগুলোও নিজেরা প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করছে। সব মিলিয়ে জোট ও ফ্রন্টকে ৬০-৭০টি আসন ছেড়ে দিতে পারে বিএনপি। চলতি সপ্তাহে সব দলেরই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হবে। তবে এখনই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে না। আগামী সপ্তাহে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা এখন প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করছি। জোট ও ফ্রন্ট পৃথকভাবে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করছে। তবে এখনই আমরা তালিকা ঘোষণা করছি না। মনোনয়নপত্র জমা ও যাচাই-বাছাই পর্যন্ত সময় আছে।’

উল্লেখ্য, প্রথম দিনে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের সংসদীয় আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে গঠিত দলের মনোনয়ন বোর্ড। মনোনয়ন বোর্ডে লন্ডন থেকে স্কাইপিতে সংযুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

About Author Information
আপডেট সময় : ১০:০০:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৮
১৩৫১ Time View

খালেদা-তারেক নয়, বিএনপির মনোনয়ন ফখরুলের স্বাক্ষরে

আপডেট সময় : ১০:০০:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৮

সবুজদেশ ডেক্সঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিতে শুরু করেছে বিএনপি। রবিবার দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাক্ষাৎকার পর্ব শুরু হয়।

দলের দুই প্রধান খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে বিএনপির প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরমে স্বাক্ষর করছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এদিকে টেনশনে ঘুম হারাম বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের। আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়তে সবাই এখন ঢাকায়। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে শুরু হয়েছে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার। পাশাপাশি লবিং-তদবিরেও ঢাকায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন অনেকেই। দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। যেখানে আশ্বাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন, সেখানেই ছুটে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। যে কোনো মূল্যে ‘ধানের শীষ’ প্রতীক চাই-ই তাদের।

দলের প্রভাবশালী নেতাদের বাসাবাড়ি কিংবা অফিসে দৌড়ঝাঁপ করছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। লন্ডনেও যোগাযোগ করছেন অনেকেই। কেউ কেউ যাচ্ছেন লন্ডনে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘সবুজ সংকেত’ পাওয়ার আশা করছেন তারা। এরই মধ্যে অনেকেই সবুজ সংকেত পেয়েছেন বলেও জানা গেছে।

জানা যায়, প্রতিটি সংসদীয় আসনে বিএনপি অন্তত তিনজনকে সবুজ সংকেত দিয়ে রাখছে। মামলা, ঋণখেলাপি কিংবা অন্য কোনো কারণে কারও প্রার্থিতা বাতিল হলে দ্বিতীয়জনকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে বিএনপি। ওই প্রার্থীও কোনো কারণে নির্বাচন না করতে পারলে তৃতীয়জনকে বেছে নেবে বিএনপি।

তবে হেভিওয়েট ছাড়া প্রায় প্রতিটি আসনেই ৪-৫ জন করে মনোনয়নপ্রত্যাশীর সাক্ষাৎকার নিচ্ছে বিএনপি।

বিএনপি জানায়, ৩০০ আসনেই তারা প্রার্থী চূড়ান্ত করে রাখবে। এরপর ২০-দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকেও পৃথকভাবে তাদের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকা চাওয়া হবে।

এরপর কোন কোন আসনে বিএনপির প্রার্থীর চেয়ে জোট ও ফ্রন্টের প্রার্থী যোগ্য তা নিয়ে পৃথকভাবে বৈঠক করে তাদেরও বেশ কিছু আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০-দলীয় জোটের শরিক দলগুলোও নিজেরা প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করছে। সব মিলিয়ে জোট ও ফ্রন্টকে ৬০-৭০টি আসন ছেড়ে দিতে পারে বিএনপি। চলতি সপ্তাহে সব দলেরই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হবে। তবে এখনই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে না। আগামী সপ্তাহে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা এখন প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করছি। জোট ও ফ্রন্ট পৃথকভাবে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করছে। তবে এখনই আমরা তালিকা ঘোষণা করছি না। মনোনয়নপত্র জমা ও যাচাই-বাছাই পর্যন্ত সময় আছে।’

উল্লেখ্য, প্রথম দিনে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের সংসদীয় আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে গঠিত দলের মনোনয়ন বোর্ড। মনোনয়ন বোর্ডে লন্ডন থেকে স্কাইপিতে সংযুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।