খুলনাঃ

খুলনার জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত করেছে ট্যাংকলরি ওনার্স এসোসিয়েশনের নেতারা। রোববার (০৭ আগস্ট) বিকেলে খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদারের সাথে বৈঠক শেষে এই কর্মসূচি স্থগিত করেন তারা।

এর আগে কমিশন বৃদ্ধি ও ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে আজ সকাল ৮টা থেকে খুলনার ৩টি ডিপো থেকে জ্বালানি উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখে ধর্মঘট শুরু করে ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিকরা। ফলে খুলনাসহ ১৫ জেলায় ট্যাংকলরিতে তেল পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়।

বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স এসোসিয়েশনের খুলনা বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. ফরহাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চত করেছেন।

তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টার এই ধর্মঘট চলাকালে বিকাল ৪টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠক শেষে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। তবে দুই দফা দাবির বিষয়ে আগামীকাল মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হবে। কর্মসূচি স্থগিত করায় আজ থেকেই ট্যাংকলরি চলাচল করবে।

জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি লিটার জ্বালানি তেলের মূল্যের (পূর্ব মূল্য) ২.৭১ টাকা কমিশন দেওয়া হয়। ২০১৬ সাল থেকে তারা কমিশন বৃদ্ধির জন্য দাবি জানিয়ে আসছেন। এ জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে (বিপিসি, জ্বালানি মন্ত্রণালয়) একাধিকবার আবেদন করেও কোনো ফলাফল পায়নি। জ্বালানি তেলের মূল্য বর্তমানে অনেক গুনে বৃদ্ধি পেলেও তাদের কমিশনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি।

এ অবস্থায় তারা কমিশন প্রতি লিটার জ্বালানি তেলের বর্তমান মূল্যের ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে প্রদানের দাবিতে ২৪ ঘণ্টা খুলনার পদ্মা-মেঘনা ও যমুনা ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধের ঘোষণা দেয়।

খুলনা বিভাগীয় জ্বালানি তেল পরিবেশক ও ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা জানান, অস্বাভাবিক হারে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা হলেও জ্বালানি তেল বিক্রয়ের ওপর ডিলার্স কমিশন বৃদ্ধি না করা এবং ৪০ কিলোমিটারের বাহিরে ট্যাংকলরি ভাড়া বৃদ্ধি না করার প্রতিবাদে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকে দাবির বিষয়ে আশ্বাস পাওয়ায় তা স্থগিত করা হয়েছে।

সবুজদেশ/এসইউ

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here