অ্যাপভিত্তিক পরিবহনসেবা উবারকে গাড়িসেবার জন্যই বেশি চেনে মানুষ। কিন্তু উবার তাদের লক্ষ্যে কিছু পরিবর্তন আনছে। তারা জোর দিচ্ছে ইলেকট্রিক স্কুটার আর বাইক ব্যবসার ওপর। ব্যবসার গতিপথ বদলে ফেললে মুনাফা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে—এমন আশঙ্কার পরেও নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

উবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দারা খোশরেশাহি বলেন, শহরের ভেতরে চলাচলের জন্য একা চলাচলের যানবাহন বেশি উপযোগী।

দারা খোশরেশাহির মতে, ভবিষ্যতে মানুষ কম দূরত্বের পথ বেশি পাড়ি দেবে। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ব্যস্ততার মুহূর্তগুলোয় এক টনের ধাতব হাল্ক নিয়ে কিছু দূর যাওয়ার বিষয়টি অযৌক্তিক। স্বল্প দূরত্বের যানবাহন সুবিধা চালু করা হলে তা উবারের জন্য ব্যবসায়িকভাবে খুব বেশি লাভজনক হবে না; কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে উবার যেখানে যেতে চায়, সেখানে পৌঁছানো সহজ হবে।

রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উবার সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বাইক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে।

জাম্প নামের ইলেকট্রিক বাইক নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটনসহ যুক্তরাষ্ট্রের আটটি শহরে পাওয়া যাচ্ছে। শিগগিরই বার্লিনে এ সুবিধা চালু হবে।

উবার সম্প্রতি লাইম নামের আরেকটি ইলেকট্রিক স্কুটার কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে। এর বাইরে নানা পাবলিক পরিবহন ও গাড়ি সেবার সঙ্গে চুক্তি করেছ প্রতিষ্ঠানটি।

খোশরেশাহি অবশ্য স্বীকার করেছেন, বাইক রাইড থেকে গাড়ির মতো তাদের আশানুরূপ মুনাফা আসবে না। কিন্তু গ্রাহকেরা নিয়মিত স্বল্প দূরত্বের পথ পাড়ি দিতেও তাদের সেবা ব্যবহার করবে।

দারা খোশরেশাহি বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি গ্রাহকদের বেশিক্ষণ ধরে রাখতে আমরা স্বল্পমেয়াদি প্রতি ইউনিট অর্থনীতির দিকে যেতে ইচ্ছুক।’

খোশরেশাহি বলেন, তাঁদের পরিকল্পনা অনুযায়ী উবার চালকেরা ক্ষতির মুখে পড়বেন। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে আরও আকর্ষণীয় বেশি দূরত্বের পথ পাড়ি দিলে তাঁরা লাভবান হবেন।

গত বছরে ৪৫০ কোটি ডলার লোকসান হয়েছে উবারের। সম্ভাব্য পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে বাজারে আসতে বর্তমানে আর্থিক অবস্থা উন্নত করার চাপে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর ট্যাক্সি ব্যবসা থেকে আয় বাড়লেও বাইক শেয়ারিং বা খাবার পৌঁছানোর মতো খাতগুলোতে বিনিয়োগ করছে প্রতিষ্ঠানটি। কয়েকটি দেশের বাজারে নিয়ন্ত্রকের চাপে আছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত মাসে নিউইয়র্কে যানজট নিরসনে উবারের লাইসেন্স সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। লন্ডনের মেয়র বলেছেন, তিনিও একই ধরনের পদক্ষেপ নেবেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here