চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা আরিফ কারাগারে
ঢাকাঃ
চাঁদাবাজির অভিযোগে বাস কোম্পানির দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রেফতারের পরের দিন ১৫ সেপ্টেম্বর তাকে আদালতে পাঠিয়ে তিন দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই মো. শাহ আলম বলেন, ‘আমি আসামির তিন দিনের রিমান্ড চেয়েছিলাম। আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
মোহাম্মদপুর-উত্তরা রুটে চলাচলকারী প্রজাপতি পরিবহন লি. কোম্পানির রোড ইনচার্জ মো. তানজিল মিরপুর মডেল থানায় ১৪ সেপ্টেম্বর আরিফুল ইসলাম আরিফসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, আরিফুল ইসলাম প্রজাপতি পরিবহন লি. কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএম রফিকুল ইসলামের কাছে ফোনে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালক তার দাবি করা চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন। ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মিরপুর মডেল থানার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সামনে বাস আটকে ভেতরের একটি গলিতে ঢুকিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর চালক ও হেলপারদের মারধর করে। তাদের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের কাছে এত টাকা না থাকায় দিতে পারেননি। এরপর আরিফুল ইসলাম ফের কেএম রফিকুল ইসলামকে ফোন দিয়ে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। বিষয়টি তিনি মিরপুর মডেল থানায় জানালে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আরিফুল ইসলামকে আটক করে। অন্যরা পলিয়ে যায়। পাঁচটি বাস উদ্ধার করে মালিক পক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
মামলার বাদী তানজিল বলেন, ‘আরিফুর বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে। সে সড়কে ছাত্রদের দিয়ে ঝামেলা করায়, এরপর শালিস নাটক করে চাঁদা নেয়। কখনও দুর্ঘটনার কথা বলেও টাকা নেয়। আমরা উপায় না পেয়ে মামলা করেছি। মামলা করার আগে আমাদের কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএম রফিকুল ইসলাম ঢাকা মহানগর উত্তরের ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীমকে ফোন দেয়। তাকে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি এই ছাত্রলীগ নেতার কোন দায় নেননি। চাঁদাবাজীর বিষয়ে কোনও দায় তিনি নেবেন না বলে জানান। এরপরই আমরা মামলা করার সিদ্ধান্ত নেই।’
ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম বলেন, ‘ঘটনার পরপরই পরিবহনের মালিক আমাকে ফোন দিয়েছিল। আমি তাকে পরিষ্কার জানিয়েছি, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এরপর তিনি মামলা করেছেন। আরিফুল ইসলাম আরিফ গ্রেফতার হয়েছে। আমরা সাংগঠনিকভাবে তাকে বহিষ্কার করছি। আমাদের দলে কোনও চাঁদাবাজের জায়গা নেই।’