ঢাকা ০৩:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার বিক্ষোভ পুলিশি বাধায় পণ্ড

Reporter Name

সবুজদেশ ডেক্সঃ সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনরত বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ ও বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ কর্মসূচি পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়েছে। রাজধানীর শাহবাগে আজ শনিবার পুলিশ আন্দোলনকারীদের কর্মসূচিতে বাধা দেয়।

পুলিশ বলেছে, আন্দোলনকারীদের ছয়–সাতজনকে আটক করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের ১২ জনকে পুলিশ আটক করেছে এবং ১০ জন আহত হয়েছেন।

সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫-প্রত্যাশীদের পূর্বঘোষিত এই বিক্ষোভ কর্মসূচি দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কর্মসূচির প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে দুপুর সাড়ে ১২টা বেজে যায়। আন্দোলনকারীরা শাহবাগে অবস্থিত জাতীয় গণগ্রন্থাগার এলাকায় সংগঠিত হয়ে মিছিল নিয়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে যেতে চান। কিন্তু দুপুর ১২টা থেকে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসানের নেতৃত্বে পুলিশ গ্রন্থাগারের ফটক আটকে সামনে অবস্থান নেয়।

দুপুর ১২টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত ফটকের দুই পাশে থাকা পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা চলতে থাকে। আন্দোলনকারীরা পুলিশের উদ্দেশে বলতে থাকেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। কোনো অন্যায় এ দেশে থাকতে দেব না। আমরা কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করব না। গেট খুলে দেন। আমরা রাস্তা অবরোধ করব না। এখান থেকে শহীদ মিনারের দিকে চলে যাব।’

পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের বলা হয়, কাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রীর প্রোগ্রাম আছে। তাই এই এলাকায় কোনো কর্মসূচি করা যাবে না।

বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ক্রমাগত ধাক্কাধাক্কিতে গণগ্রন্থাগারের ফটকের তালা খুলে যায়। আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে বাইরে আসতে চান। তখন পুলিশ সেখান থেকে আন্দোলনকারীদের কয়েকজনকে আটক করে। আটকের পরও আন্দোলনকারীদের ২৫ থেকে ৩০ জন গণগ্রন্থাগারের ফটকের ভেতরে রাস্তায় বসে পড়েন। বেলা ১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত তাঁরা অবস্থানে ছিলেন। পরে পুলিশ তাঁদের আটক না করার নিশ্চয়তা দিলে তাঁরা চলে যান।

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক সঞ্জয় দাস প্রথম আলোকে জানান, আন্দোলনকারী নয়জন ছেলে ও তিনজন মেয়েকে পুলিশ আটক করেছে এবং ১০ জন আন্দোলনকারী পুলিশের হামলায় আহত হয়েছেন ৷ আহত ব্যক্তিদের একজনের হাতে এবং আরেকজনের কাঁধে গুরুতর আঘাত লেগেছে। চিকিৎসা নিতে তাঁরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন। অন্যরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছেন।

বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম সেলিম জানান, কর্মসূচি থেকে আন্দোলনকারীদের ১৫ থেকে ২০ জনকে পুলিশ আটক করেছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে রমনা জোনের এডিসি এইচ এম আজিমুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ছাত্রদের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা কথা শোনেননি। এর আগে তাঁরা শাহবাগ অবরোধ করে রেখেছিলেন। আগামীকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রোগ্রাম রয়েছে ৷ তাই এই এলাকায় বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। আন্দোলনকারীদের ৬-৭ জনকে বেশি উত্তেজিত মনে হয়েছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে৷’

১ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ ও বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদ যৌথভাবে এই বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিল।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৬:১৫:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৮
৭৪৭ Time View

চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার বিক্ষোভ পুলিশি বাধায় পণ্ড

আপডেট সময় : ০৬:১৫:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৮

সবুজদেশ ডেক্সঃ সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলনরত বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ ও বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ কর্মসূচি পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়েছে। রাজধানীর শাহবাগে আজ শনিবার পুলিশ আন্দোলনকারীদের কর্মসূচিতে বাধা দেয়।

পুলিশ বলেছে, আন্দোলনকারীদের ছয়–সাতজনকে আটক করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের ১২ জনকে পুলিশ আটক করেছে এবং ১০ জন আহত হয়েছেন।

সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫-প্রত্যাশীদের পূর্বঘোষিত এই বিক্ষোভ কর্মসূচি দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কর্মসূচির প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে দুপুর সাড়ে ১২টা বেজে যায়। আন্দোলনকারীরা শাহবাগে অবস্থিত জাতীয় গণগ্রন্থাগার এলাকায় সংগঠিত হয়ে মিছিল নিয়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে যেতে চান। কিন্তু দুপুর ১২টা থেকে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসানের নেতৃত্বে পুলিশ গ্রন্থাগারের ফটক আটকে সামনে অবস্থান নেয়।

দুপুর ১২টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত ফটকের দুই পাশে থাকা পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা চলতে থাকে। আন্দোলনকারীরা পুলিশের উদ্দেশে বলতে থাকেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। কোনো অন্যায় এ দেশে থাকতে দেব না। আমরা কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করব না। গেট খুলে দেন। আমরা রাস্তা অবরোধ করব না। এখান থেকে শহীদ মিনারের দিকে চলে যাব।’

পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁদের বলা হয়, কাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রীর প্রোগ্রাম আছে। তাই এই এলাকায় কোনো কর্মসূচি করা যাবে না।

বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ক্রমাগত ধাক্কাধাক্কিতে গণগ্রন্থাগারের ফটকের তালা খুলে যায়। আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে বাইরে আসতে চান। তখন পুলিশ সেখান থেকে আন্দোলনকারীদের কয়েকজনকে আটক করে। আটকের পরও আন্দোলনকারীদের ২৫ থেকে ৩০ জন গণগ্রন্থাগারের ফটকের ভেতরে রাস্তায় বসে পড়েন। বেলা ১টা ১০ মিনিট পর্যন্ত তাঁরা অবস্থানে ছিলেন। পরে পুলিশ তাঁদের আটক না করার নিশ্চয়তা দিলে তাঁরা চলে যান।

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক সঞ্জয় দাস প্রথম আলোকে জানান, আন্দোলনকারী নয়জন ছেলে ও তিনজন মেয়েকে পুলিশ আটক করেছে এবং ১০ জন আন্দোলনকারী পুলিশের হামলায় আহত হয়েছেন ৷ আহত ব্যক্তিদের একজনের হাতে এবং আরেকজনের কাঁধে গুরুতর আঘাত লেগেছে। চিকিৎসা নিতে তাঁরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন। অন্যরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছেন।

বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম সেলিম জানান, কর্মসূচি থেকে আন্দোলনকারীদের ১৫ থেকে ২০ জনকে পুলিশ আটক করেছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে রমনা জোনের এডিসি এইচ এম আজিমুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ছাত্রদের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা কথা শোনেননি। এর আগে তাঁরা শাহবাগ অবরোধ করে রেখেছিলেন। আগামীকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রোগ্রাম রয়েছে ৷ তাই এই এলাকায় বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। আন্দোলনকারীদের ৬-৭ জনকে বেশি উত্তেজিত মনে হয়েছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে৷’

১ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ ও বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদ যৌথভাবে এই বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিল।