আল মামুন সোহাগ চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গায় সঞ্চয় সপ্তাহ-২০১৯ শুরু হয়েছে। সঞ্চয় সপ্তাহ উপলক্ষ্যে গতকাল শনিবার বেলা ১০টায় নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ ইয়া খাঁন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে সহকারি পুলিশ সুপার আহসান হাবীব, অধ্যক্ষ (অব.) সিদ্দিকুর রহমান ও অধ্যক্ষ (অব.) এসএম ইস্রাফিল বক্তব্য রাখেন ।

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সঞ্চয় কর্মকর্তা মুকুল হোসেন। শিক্ষক শাহনাজ ফারুকের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে কোরআন তেলওয়াত করেন হাফেজ বেলাল উদ্দিন এবং গীতা পাঠ করেন বিশ্বজিৎ কর্মকার। অনুষ্ঠানে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোল্লা আব্দুর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, ওজোপডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবুক্তগীন ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারেক আহম্মেদসহ সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সঞ্চয়পত্র বিভাগ চালু করেছিলেন। সবাইকে সচেতন ও মিতব্যয়ী হতে  হবে। স্কুল পর্যায়ে ব্যাংকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সন্তান মানুষ হলে বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনের জন্য সুনাম বয়ে আনবে। যদি তাকে মানুষের মতো মানুষ করা যায়। এখন অবারিত সুযোগ রয়েছে লেখাপড়ার জন্য  মেডিকেল , প্রকৌশলী ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য একসাথে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়।

সঞ্চয় সেক্ষেত্রে কাজে লাগে। দেশের লক্ষ্য ২০৩০ সালে সকল ক্ষ্রেত্র উন্নয়ন করা। আমরা পাশের সকলকে উদ্ধুদ্ধ করবো। ২১ ফেব্রুয়ারি ছুটি না, ২৬ মার্চ ছুটি না। ওইদিন সরকারি কর্মসূচিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিত থাকতে হবে। তা না হলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখবো। জাতীয় পতাকার সাথে আপোষ নেই। শুদ্ধস্বরে জাতীয় সঙ্গীত প্রতিযোগীতা আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। আপনার শিশুকে শেখান। জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীত না থাকলে দেশপ্রেম থাকে না। সকল কিছুর মূলে দেশপ্রেম থাকতে হবে।

স্বাগত বক্তব্যে জেলা সঞ্চয় কর্মকর্তা মুকুল হোসেন বলেন, অধিক নিরাপদ ও অধিক মুনাফা পাওয়া যায় সঞ্চয়পত্রে। তাই এখানে বিনিয়োগ করতে পারেন সচেতন ব্যক্তিরা। 

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here