আল মামুন সোহাগ চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন আয়োজিত চুয়াডাঙ্গায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৯ পালিত।
 
এ দিবস উপলক্ষে সূর্যাদয়ের সাথে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা
চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যামে দিবসের শুভ সূচনা করা
হয়। চুয়াডাঙ্গা হাসান চত্বরেশহীদ মুক্তযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে
পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এর পর সকল সরকারী,
বেসরকারী, আধাসরকারী ও স্বায়ত্বশাসিত ভবনে সঠিক মাপ
ও রঙের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৮টায়
চুয়াডাঙ্গা পুরাতন ষ্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক কর্তৃক জাতীয়
সঙ্গীতের সাথে সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা
উত্তোলন এবং বিভিন্ন সরকারী -বেসরকারী শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, শিশু পরিবার নিবাসী ছাত্র-ছাত্রী
,মুকুল ফৌজ সাংস্কৃকিত প্রতিষ্ঠান, সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ
পরিদর্শন করা হয় ।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিতি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক
গোপাল চন্দ্র দাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার
মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার ফরহাদ
আহম্মদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইয়াহ ইয়া খান, সিভিল সার্জন
চুয়াডাঙ্গা ডা: খায়রুল আলম ।
 
সকাল ১০টায় শিশু একাডেমী প্রাঙ্গণে চিত্রাঙ্কন ও রচনা
প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টায় মুক্তিযোদ্দা ও
শহীদ মুক্তিযোদ্দা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া
হয়। সাড়ে ১১টায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা
বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী দেখানো হয়। দুপুরে চুয়াডাঙ্গা
হাসপাতাল,কারাগার, শিশু পরিবার সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্কুলে
উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়। জেলা ও সকল
মসজিদে বাদ জোহর দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা
করে মোনাজাত ও মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডায় সুবিধামত
সময়ে প্রার্থনা করা হয়। বিকাল ৩টায় মহিলাদের অংশগ্রহণে
মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোচনা সভা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
অনুষ্ঠিত হয়। একই সময়ে চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়ামে
প্রীতি ফুঠবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এবং সন্ধ্যা ৭টায়
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এর ঐতিহাসিক ৭
মার্চের ভাষণের তাৎপার্য এবং দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি
শীর্ষক আলোচনা ও সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয় ।

 

 

অপর দিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) প্রত্যুষে দামুড়হুদা চৌরাস্তার মোড়ে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। এরপর সকাল ৭ টায় দামুড়হুদার নাটুদহ আটকবরের শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন, দামুড়হুদা মডেল থানা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন।

এসময় শহীদদে আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮ টায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে দামুড়হুদা স্টেডিয়াম মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর। পরে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা রফিকুল হাসান ও দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক জেলা পরিষদের প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু, সহকারি কমিশনার (ভূমি) সৈয়দা নাফিজ সুলতানা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মতিন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাকী সালাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিউর রহমানসহ সরকারি বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তাবৃন্দ। এসময় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারন করে বলেন, বঙ্গবন্ধু না থাকলে সোনার বাংলাদেশের জন্ম হতো না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করছেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে দেশ অনেক আগেই মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে স্বীকৃতি লাভ করতো। তাঁর দেয়া ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাঙালিরা স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেও সংবর্ধনা ও বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষনের তাৎপর্য এবং উন্নয়ন অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা রফিকুল হাসান।

প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমতুল্লাহ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক জেলা পরিষদের প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) সৈয়দা নাফিজ সুলতানা। এছাড়া সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আছির উদ্দীনসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা।

দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। বিকেলে দামুড়হুদা স্টেডিয়াম মাঠে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগীতায় অংশ নেয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here