আল মামুন সোহাগ চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গা জেলা দামুড়হুদা থানা কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ের কোমরপুর বাঘাডাঙ্গা কার্পাসডাঙ্গা কানাইডাঙ্গা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদীর স্রোতের ঐতিহ্যবাহী ভৈরব নদ বিলীন হতে বসেছে। এক শ্রেণীর মাটি খাদকরা নদে হামলে পড়েছে। তারা দু’কূলের চর ড্রেজার মেশিন দিয়ে সারারাত অবাধে কেটে নিয়ে যাচ্ছে মাটি। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো ফল পাচ্ছে না এলাকার কৃষকরা। মাটি কাটার ফলে নদী নদীর পাড়ের দুকূলে সরকারি খাস জমিতে মাটি কাঁটার করনে শত শত বিঘা ফসলি জমি হুমকির মুখে আজ ও রাস্তা ভাঙ্গন শুরুহয়েছে তারপরেও বন্ধ হয়নী বালি তোলা। ভুমিদস্যু সরকারী খাস জমিতে বালি ও মাটি তোলা বন্ধ হয়নী ভূমিদস্যুরা ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ২০/২৫ টি ট্রাক্টটর দিয়ে রাতভর মাটি বহন করে রাত 8 টা থেকে ভোর ৪ টা পর্যন্ত ইটভাটা মালিকদের কাছে এসব মাটি বিক্রি করছে ৮০০ শো টাকা গাড়ি মাটি বিক্রি করা হয়। তার বাজার মূল্য ১০ কোটি টাকার ও বেশি বালি ও মাটি উত্তলন করছে বলে এলাকাবাসী জানান।
বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো ফল হচ্ছে না বলে নদের দু’পাড়ের কৃষকরা অভিযোগ করেন।
এলাকা সরেজমিন ঘুরে ও কৃষকদের অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার ঐতিহ্যবাহী নদ ভৈরব। যার বিস্তর এলাকা দামুড়হুদা উপজেলা অংশের মধ্যে পড়েছে। গত দু’বছর ধরে এ নদে হামলে পড়েছে এক শ্রেণীর মাটি খাদকরা। এলাকার প্রভাবশালীদের হাত করে নদের দু’পাড়ের চর কেটে নিয়ে যাচ্ছে তারা। চরের এসব মাটি আশপাশের ইটভাটাগুলোয় অবাধে বিক্রি হচ্ছে। চরের দোআঁশ মাটিতে ইট ভালো হওয়ায় চরের মাটি কাটার মাত্রা দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে দামুড়হুদা উপজেলার ঐতিহাসিক কার্পাসডাঙ্গা এলাকার ভৈরব নদের মাটি বেশি কাটা পড়ছে। নিকটবর্তী কোমরপুর, বাঘাডাঙ্গা, মোক্তারপুর, কানাইডাঙ্গা, কার্পাসডাঙ্গাসহ আশপাশ এলাকায় মাটি খাদকদের দৌরাত্ম্য বেপরোয়া রূপ ধারন করেছে। তারা বিস্তর এলাকার ভৈরবের পাড় কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
কোমরপুর গ্রামের কৃষক ওসমান আলী, আবদুল কাদের ও হযরত আলী অভিযোগ করে বলেন, ‘ভৈরব নদে বারোমাস স্রোত থাকে। ক’বছর আগেও শুষ্ক মৌসুমে ভৈরব নদে সাঁতার কেটে গোসল করা যেত। কিন্তু এ নদে একের পর এক অত্যাচারের কারণে দিনদিন নদটি মরতে বসেছে। প্রভাবশালী কোনো কোনো মানুষ নদের চর দখল করে চাষবাস করছে। এ কারণে স্রোত ঝিমিয়ে পড়েছে। এরপর বছর দু’য়েক ধরে শুরু হয় নদের পাড় কাটা। এ নদের চর এসকে বেটার মেশিন দিয়ে ট্রাক ও ট্রাক্টরযোগে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা।’
কানাইডাঙ্গা গ্রামের রেজাউল করিম, মোক্তারপুরের হাসান আলী ও বাঘাডাঙ্গা গ্রামের স্বপনও একই ধরনের অভিযোগ করে বলেন, ‘দিনের বেলায় মাটি কাটলে নদের দু’পাড়ের কৃষকরা আপত্তি করে। এ কারণে ইদানীং রাতের অন্ধকারে ট্রাক ভিড়িয়ে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে ভৈরব নদ হুমকির মুখে পড়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে ভৈরব নদ বিলীন হয়ে যাবে। তবে পার্শ্ববর্তী ইটভাটাগুলো মাটি পাড়ের মাটি কাটা বা কেনার কথা অস্বীকার করেছে।সেখানে সরজমিনে আমাদের সংবাদ কর্মিরা ঘটোনা স্থলে যেয়ে গাড়ি লোড করা অবস্থাই ভিডিও ফুটেজ ও ছবি তুলে নিয়ে আসে, এবং বালি কাটার বিষয়ে জিগ্যাসা করলে লেবারদের কাছে থেকে জানা যায় ভূমিদস্যুরা সবাই চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা মডেল থানার আওতায় কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের করিম খারাপ ছেলে সিদ্দিক ড্রাইভার কোমরপুরের জাহিদুল লালটু কোমরপুর সাদ্দাম চিৎলা তুহিন দামুড়হুদা
তাই আমাদের চুয়াডাঙ্গা জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক জনাব গোপাল চন্দঁ দাস মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, এবং এই সকল ভূমিদস্যুদের বিচারের বিনিত সবিনয় অনুরোধ জানিয়েছে এলাকার সচেতন মহল।
নিচে তার প্রমান সরুপ ঘটনাস্থল থেকে ও কিছু ছবি আপনাদের দেখার জন্য অনুরোধ রহিলো।