আল মামুন সোহাগ (চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি) : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর সীমান্তের ভারতের অভ্যন্তরে ওমিদুল ইসলাম (৩৮) নামে এক বাংলাদেশীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। সোমবার সকালে নাস্তিপুর সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অংশে তার ক্ষত বিক্ষত লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে ভারতের কৃষ্ণনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় বলে জানিয়েছে বিজিবি। খবর পেয়ে নিহত বাংলাদেশী ওমিদুলের মরদেহ ফেরত চেয়ে সকালেই সীমান্তে পতাকা বৈঠক করেছে বিজিবি-বিএসএফ। নিহত ওমিদুল ইসলাম দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এস এম জাকারিয়া আলম জানান, দামুড়হুদার নাস্তিপুর গ্রামের কৃষকরা সকালে সীমান্ত সংলগ্ন মাঠে কৃষি কাজ করতে যান। এ সময় বাংলাদেশী সীমান্ত থেকে প্রায় ১শ গজ ভারতের অভ্যন্তরে বিজয়নগর অংশে ওমিদুলের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা বিজিবি ক্যাম্পে খবর দেয়। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর দপ্তরের বিজিবির উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছে বিএসএফের সাথে বৈঠকে করেন। দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সুকুমার বিশ্বাস জানান, নিহত বাংলাদেশী ওমিদুলের মরদেহ দেখে ধারণা করা হচ্ছে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নামে দামুড়হুদা থানাতে বেশ কয়েকটি মাদক ও চোরাচালানের মামলা রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লে: কর্নেল ইমাম হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বাংলাদেশী নিহতের খবর পেয়ে সকালেই নাস্তিপুর সীমান্ত পরিদর্শন করা হয়। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নিহত বাংলাদেশীর মরদেহ ফেরত চাওয়া হয়। তিনি আরও জানান, বৈঠকে বিএসএফের কমান্ডার হোমেশ্বর সিং জানিয়েছেন, চোরাচালানীদের অভ্যান্তরীণ দ›েদ্ব ওমিদুল খুন হতে পারেন। ময়না তদন্তের পর নিহতের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে। নিহতের বাবা আব্দুল মালেক জানান, রোববার সন্ধ্যায় বাড়িতেই ছিলো ওমিদুল। এরপর একটি ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয় সে। এরপর রাতে আর বাড়িতে ফেরেনি। সকাল ১০টার দিকে ভারতের বিজয়নগর অংশে তার মরহেদ পড়ে থাকার খবর পাওয়া যায়।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here