ঢাকা ০৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চুরি, ছিনতাইসহ নানা প্রকার অপরাধ দমনে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণ ১২টির অধিক স্থানে ৩২টি সিসি ক্যামেরা

Reporter Name

সবুজদেশ ডেক্সঃ চুরি, ছিনতাইসহ নানা প্রকার অপরাধ দমনে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণ ১২টির অধিক স্থানে ৩২টি সিসি ক্যামেরা (ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা) বসানো হলেও কার্যত এসব ক্যামেরা বর্তমানে অকেজো হয়ে পড়েছে।প্রায় তিন বছর আগে থানা পুলিশ ও ঝিনাইদহ-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের উদ্যোগে শহরের ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে প্রায় নয় লাখ টাকা ব্যয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়।আর এই সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মূল দায়িত্বে ছিলেন কালীগঞ্জ থানার সাবেক সেকেন্ড অফিসার (বর্তমানে ঝিনাইদহ ডিএসবি ওসি) ইমরান আলম। তিনি থাকা অবস্থায় সিসি ক্যামেরাগুলো সচল থাকলেও বর্তমানে রক্ষাণাবেক্ষণের অভাব এবং ঠিকমত তদারকি না থাকায় সেগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে।যার কারণে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই সংঘটিত হলে তা সনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে স্থানীয় জনগণের টাকায় কেনা সিসি ক্যামেরার সুফল কালীগঞ্জবাসী পাচ্ছে না। নিরাপত্তা ব্যবস্থারও বিঘ্ন ঘটছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, সিসি ক্যামেরা থাকলে অনেক সুবিধা আছে। আর এটা না থাকলে আমাদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অনেক সময় দোকানের সামনে ক্রেতারা এসে বাইসাইকেল মোটর সাইকেল রেখে দেয়। কেনা কাটার ফাঁকে এগুলি চুরি হবার ভয় থাকে। কিন্তু সিসি ক্যামেরা থাকলে একটু নিশ্চিত থাকা যায়। কারণ চোর ছিনতাইকারীরা ভীত থাকে।অপর এক ব্যক্তি বলেন, সিসি ক্যামেরা থাকলে অপরাধীরা অপরাধ করতে ভীত থাকে। কিন্তু এগুলি যখন নষ্ট থাকবে তখন তারা নির্বিঘেœ অপরাধ করে চলে যাবে। যা সনাক্ত করাও সম্ভব হবে না।কালীগঞ্জ থানার সাবেক সেকেন্ড অফিসার বর্তমানে ঝিনাইদহ ডিএসবি ওসি ইমরান আলম বলেন, জেলা শহরের মধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলা একটি গুরত্বপূর্ণ শহর। বিভিন্ন অপরাধ দমনে জেলার মধ্যে সর্বপ্রথম কালীগঞ্জ শহরের ১২টির বেশি স্থানে প্রায় ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়।তিনি আরো জানান, পুরো কালীগঞ্জ শহরকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার জন্য সর্বপ্রথম শহরের মটর মালিক সমিতির ভবনে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ও সুধীবৃন্দদের নিয়ে এক সভা করা হয়।সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজীম আনার। এমপি ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দদের উপস্থিতি পুরো কালীগঞ্জ শহরকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার জন্য ব্যবসায়ী ও সুধীবৃন্দদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।সেই সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ি শহরের ১০ কিলোমিটার এলাকাব্যাপী সিসি ক্যামেরার তার লাগানো হয় এবং সাড়ে আট লাখ টাকা উত্তোলন করে প্রাথমিকভাবে মেইন বাসস্ট্যান্ডে পাঁচটি, সোনালী ও জনতা ব্যাংক মোড়ে দু’টি, থানার মধ্যে চারটি, কালীবাড়ী মোড়ে দু’টি, ঢাকালে পাড়ায় দু’টি, কলাহাটা মোড়ে দু’টি, কলেজপাড়া তিনটি, নলডাঙ্গা ও মিশনপাড়া তিনটি, সরকারি ভুষণ স্কুলের সামনে একটি, ফুড গোডাউনের সামনে একটিসহ ১২টিরও অধিক স্থানে ৩২টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়।আর এ সিসি ক্যামেরার কন্ট্রোল রুম রয়েছে থানার সেকেন্ড অফিসারের রুমে। কালীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই শফিকুর রহমান জানান, বর্তমানে একটি ক্যামেরাও সচল নেই। তবে শহরে স্থাপন করা সিসি ক্যামেরাগুলো নষ্ট হয়নি। রক্ষাণাবেক্ষণ ও ঠিকমত তদারকি না থাকায় সব ক্যামেরাই বর্তমানে অকেজো রয়েছে। সিসি ক্যামেরা মেরামতের জন্য কোনো তহবিল নেই। সেগুলো কীভাবে মেরামত করে সচল করা যায় তা তিনি দেখবেন।কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইউনুচ আলী বলেন, আমি থানায় সদ্য যোগদান করেছি। সিসি ক্যামেরার বিষয়টি আমার মাথায় আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সেগুলো সচল করার ব্যবস্থা করবো।

Tag :

About Author Information
Update Time : ০২:৪২:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
৭১৩ Time View

চুরি, ছিনতাইসহ নানা প্রকার অপরাধ দমনে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণ ১২টির অধিক স্থানে ৩২টি সিসি ক্যামেরা

Update Time : ০২:৪২:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সবুজদেশ ডেক্সঃ চুরি, ছিনতাইসহ নানা প্রকার অপরাধ দমনে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণ ১২টির অধিক স্থানে ৩২টি সিসি ক্যামেরা (ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা) বসানো হলেও কার্যত এসব ক্যামেরা বর্তমানে অকেজো হয়ে পড়েছে।প্রায় তিন বছর আগে থানা পুলিশ ও ঝিনাইদহ-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের উদ্যোগে শহরের ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে প্রায় নয় লাখ টাকা ব্যয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়।আর এই সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মূল দায়িত্বে ছিলেন কালীগঞ্জ থানার সাবেক সেকেন্ড অফিসার (বর্তমানে ঝিনাইদহ ডিএসবি ওসি) ইমরান আলম। তিনি থাকা অবস্থায় সিসি ক্যামেরাগুলো সচল থাকলেও বর্তমানে রক্ষাণাবেক্ষণের অভাব এবং ঠিকমত তদারকি না থাকায় সেগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে।যার কারণে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই সংঘটিত হলে তা সনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে স্থানীয় জনগণের টাকায় কেনা সিসি ক্যামেরার সুফল কালীগঞ্জবাসী পাচ্ছে না। নিরাপত্তা ব্যবস্থারও বিঘ্ন ঘটছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, সিসি ক্যামেরা থাকলে অনেক সুবিধা আছে। আর এটা না থাকলে আমাদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অনেক সময় দোকানের সামনে ক্রেতারা এসে বাইসাইকেল মোটর সাইকেল রেখে দেয়। কেনা কাটার ফাঁকে এগুলি চুরি হবার ভয় থাকে। কিন্তু সিসি ক্যামেরা থাকলে একটু নিশ্চিত থাকা যায়। কারণ চোর ছিনতাইকারীরা ভীত থাকে।অপর এক ব্যক্তি বলেন, সিসি ক্যামেরা থাকলে অপরাধীরা অপরাধ করতে ভীত থাকে। কিন্তু এগুলি যখন নষ্ট থাকবে তখন তারা নির্বিঘেœ অপরাধ করে চলে যাবে। যা সনাক্ত করাও সম্ভব হবে না।কালীগঞ্জ থানার সাবেক সেকেন্ড অফিসার বর্তমানে ঝিনাইদহ ডিএসবি ওসি ইমরান আলম বলেন, জেলা শহরের মধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলা একটি গুরত্বপূর্ণ শহর। বিভিন্ন অপরাধ দমনে জেলার মধ্যে সর্বপ্রথম কালীগঞ্জ শহরের ১২টির বেশি স্থানে প্রায় ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়।তিনি আরো জানান, পুরো কালীগঞ্জ শহরকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার জন্য সর্বপ্রথম শহরের মটর মালিক সমিতির ভবনে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ও সুধীবৃন্দদের নিয়ে এক সভা করা হয়।সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজীম আনার। এমপি ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দদের উপস্থিতি পুরো কালীগঞ্জ শহরকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার জন্য ব্যবসায়ী ও সুধীবৃন্দদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।সেই সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ি শহরের ১০ কিলোমিটার এলাকাব্যাপী সিসি ক্যামেরার তার লাগানো হয় এবং সাড়ে আট লাখ টাকা উত্তোলন করে প্রাথমিকভাবে মেইন বাসস্ট্যান্ডে পাঁচটি, সোনালী ও জনতা ব্যাংক মোড়ে দু’টি, থানার মধ্যে চারটি, কালীবাড়ী মোড়ে দু’টি, ঢাকালে পাড়ায় দু’টি, কলাহাটা মোড়ে দু’টি, কলেজপাড়া তিনটি, নলডাঙ্গা ও মিশনপাড়া তিনটি, সরকারি ভুষণ স্কুলের সামনে একটি, ফুড গোডাউনের সামনে একটিসহ ১২টিরও অধিক স্থানে ৩২টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়।আর এ সিসি ক্যামেরার কন্ট্রোল রুম রয়েছে থানার সেকেন্ড অফিসারের রুমে। কালীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই শফিকুর রহমান জানান, বর্তমানে একটি ক্যামেরাও সচল নেই। তবে শহরে স্থাপন করা সিসি ক্যামেরাগুলো নষ্ট হয়নি। রক্ষাণাবেক্ষণ ও ঠিকমত তদারকি না থাকায় সব ক্যামেরাই বর্তমানে অকেজো রয়েছে। সিসি ক্যামেরা মেরামতের জন্য কোনো তহবিল নেই। সেগুলো কীভাবে মেরামত করে সচল করা যায় তা তিনি দেখবেন।কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইউনুচ আলী বলেন, আমি থানায় সদ্য যোগদান করেছি। সিসি ক্যামেরার বিষয়টি আমার মাথায় আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সেগুলো সচল করার ব্যবস্থা করবো।