ফাইল ফটো

চুয়াডাঙ্গাঃ

চুয়াডাঙ্গায় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে তার শ্বশুরাড়ির লোকজন নির্যাতন করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রোববার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

নিহত রুমানা খাতুন সদর উপজেলার বালিয়াকান্দি গ্রামের সাইদুর রহমানের স্ত্রী এবং একই উপজেলার রনগোহাইল গ্রামের মগরেব মিস্ত্রির মেয়ে।

নিহতের মা ছেরে বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘রুমানা ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। তাকে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই নির্যাতন করত। রোববার বেলা ৪টার দিকে আমাদের খবর দেয়া হয় রুমানা খুব অসুস্থ, তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে রুমানার লাশ দেখতে পাই। সন্ধ্যার পর কৌশলে লাশ রেখে সটকে পড়ে স্বামীর পরিবারের লোকজন।’ 

এদিকে রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে খবর পেয়ে স্থানীয় হিজলগাড়ি ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই তাপস সরকার রনগোহাইল গ্রামে এসে রুমানার মা-বাবার অভিযোগ শোনেন। 

রুমানা পরিবারের দাবি, শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করে রুমানাকে মেরে ফেলেছে। 

এসআই তাপস সরকার যুগান্তরকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে রুমানার মৃত্যু স্বাভাবিকভাবে হয়নি। তবে ময়নাতদন্ত করলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। সোমবার সকালে লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সাজিদ হাসান বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে অন্তঃসত্ত্বাজনিত কারণে বাড়িতে রুমানার খিঁচুনি ওঠে। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তার আগেই রুমানা মারা যায়। তবে ময়নাতদন্ত করে করলে সঠিক মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here