চুয়াডাঙ্গায় ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টা
সবুজদেশ ডেক্সঃ চুয়াডাঙ্গায় ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের চক্ষুশিবিরের চিকিৎসায় চোখ হারানো সেই ২০ জনকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা করে প্রদান করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় হাসপাতালটির কনফারেন্স রুমে সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলমের উপস্থিতিতে ২০ জনের প্রত্যেকের হাতে এ ক্ষতিপূরণের চেক তুলে নেওয়া হয়। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী এ টাকা প্রদান করা হয়। তবে অপর অভিযুক্ত ওষুধ কোম্পানি আইরিশকে ৫ লাখ টাকা করে প্রদান করার নির্দেশনা দিয়েছিল। তারা এখনো টাকা দেয় নি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইম্প্যাক্ট জীবন মেলার প্রশাসক ডা. সাইফুল ইমাম, সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. আরেফা নাসরিন, গাইনী কনসালটেন্ট ডা. সাহিদা খাতুন, মেডিকেল অফিসার পারভীন ইয়াসমিন ও ফাইন্যান্স ম্যানেজার মনজুরুল ইসলাম।
এ সময় সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল আলম বলেন, উচ্চ আদালতের নিদের্শনা মোতাবেক চোখ হারানো ১৭ জনসহ মোট ২০ জনের প্রত্যেককে ক্ষতিপূরণের চেক দেয়া হল। একই সাথে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিরা যতদিন বেঁচে থাকবেন চোখ সংক্রান্ত সকল চিকিৎসা সেবা বিনামূল্যে প্রদান করবেন ইম্প্যাক্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরো জানান, উচ্চ আদালত ইম্প্যাক্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৫ লাখ টাকা ও ওষুধ কোম্পানি আইরিশকে ৫ লাখ টাকা করে প্রদান করার নির্দেশনা দিয়েছিল। সেই নির্দেশনা মোতাবেক ইম্প্যাক্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ৫ লাখ টাকা করে প্রদান করলো। তবে ওষধু কোম্পানি আইরিশ আপিল করেছে বলে শুনেছি।
উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ চুয়াডাঙ্গা শহরের ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে চক্ষুশিবিরে চোখের ছানি অপারেশন করার পর ২৪ জনের মধ্যে ২০ জন রোগীর একটি করে চোখ নষ্ট হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে পরিবর্তন ডটকমকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তোলপাড় শুরু হয় দেশ জুড়ে।
তখন চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। একই সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হাসপাতালটির চক্ষু সংক্রান্ত সকল সেবা বন্ধ করার নির্দেশও দেয়া হয়।
পরে ক্ষতিপূরণের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত রিট করেন, যার ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১ এপ্রিল হাইকোর্ট ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়সহ কয়েকটি বিষয়ে রুল দেন। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২১ অক্টোবর হাইকোর্ট ওই রায় দেন।

আল মামুন সোহাগ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here