সবুজদেশ ডেক্সঃ  জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের আরামডাঙ্গা গ্রামে লম্পট চাচার লালসার শিকার হয়ে ভাতিজি হাফিজা খাতুন নামে এক শিশু ধর্ষিত হয়েছে।ধর্ষিত শিশু হাফিজা খাতুন (৫) আরামডাঙ্গা পুকুর পাড়ার হাফিজুল ইসলামের মেয়ে ও নজির মালিতার নাতনী এবং ধর্ষক লম্পট নাসিরুল ইসলাম (২০) একই পাড়ার জমির মালিতার ছেলে।ধর্ষক ও ধর্ষিতা সম্পক্যে চাচা-ভাতিজি।

শিশু হাফিজার পরিবার সুত্রে জানাগেছে, আরামডাঙ্গা গ্রামের পুকুর পাড়ার জমির মালিতা ও তার বড় ভাই নজির মালিতা পাশাপাশি বাড়িতে থাকেন।গতকাল মঙ্গলবার সকালে  জমির মালিতার ছেলে লম্পট  নাসিরুল তার চাচাতো ভাই হাফিজুলের মেয়ে শিশু হাফিজা খাতুনকে টেলিভিশন দেখার লোভ দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য সে ওই শিশুকে আটকিয়ে রেখে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখাতে থাকে।ধর্ষনের ফলে শিশুটির গোপনাঙ্গ থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে পরিবারের লোকজন শিশুটি উদ্ধার করে । দ্রুত  শিশুটির পরিবার রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তির জন্য রওনা হলে পথিমধ্যে লম্পটের দুলাভাই চিৎলা গ্রামের মনোয়ারের ছেলে রেজাউল ইসলাম বাধা দেয় এবং শিশুটিকে চিৎলা গ্রামে নিজ বাড়িতে নিয়ে আটকিয়ে রাখে।খবর পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুকুমার বিশ্বাসের নির্দেশে এস আই রাজিব,এস আই আসাদুর রহমান আসাদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে চিৎলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ধর্ষকের দুলাভাই রেজাউলের বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন এবং সন্ধা ৭টার সময় পীরপুরকুল্লা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক নাসিরুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।এ ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা বাদি হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় নাসিরুলের বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা দায়ের করেছেন। 


আল মামুন সোহাগ 

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here