সবুজদেশ ডেক্সঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সংগঠনটির ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন গোলাম রাব্বানী। ছোটবেলা থেকে রাজনীতির সংস্পর্শে বেড়ে উঠেছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও পাঠচক্র, উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক ছাড়াও বিভিন্ন পদে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

গোলাম রাব্বানীর জন্ম মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায়। পারিবারিকভাবেই রাজনীতিতে হাতে খড়ি। মাতামহ মরহুম সামশুল হক মুন্সী রাজৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও স্থানীয় ইশিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর এবং তার পরিবারের একজন অন্যতম সুহৃদ।

গোলাম রাব্বানীর মা তাছলিমা বেগমও ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী। শিক্ষার্থী থাকাকালে তিনি রাজৈর কলেজ ছাত্রলীগের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদকের (১৯৮৩-১৯৯১) দায়িত্ব পালন করেন। নব্বইয়ের দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন তিনি।

গোলাম রাব্বানীর বাবা এমএ রশিদ আজাদ ভূমি মন্ত্রালয়ের অধীনে কারিগরি কর্মকর্তা হিসেবে বর্তমানে ফরিদপুরে কর্মরত। একমাত্র ছোট ভাই গোলাম রুহানী ৩৫তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এই ছাত্রের সাথে বাংলাদেশ জার্নালের দীর্ঘ আলাপকালে তিনি তুলে ধরেছেন ছাত্রলীগ নিয়ে নিজের ভাবনা, কর্মপরিকল্পনা, স্বপ্ন এবং সমসাময়িক রাজনীতিসহ নানা প্রসঙ্গ।

বাংলাদেশ জার্নাল: ছাত্রলীগ একটি প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন, যেটি মূল দল আওয়ামী লীগেরও পূর্বে প্রতিষ্ঠিত। সেই ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন আপনি। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আপনার অনুভূতি কেমন?

গোলাম রাব্বানী: ছাত্রলীগের একজন কর্মী হওয়া প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর জন্য গর্বের। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার উপর আস্থা রেখে দায়িত্ব দিয়েছেন, এটি আমার কাছে পবিত্র আমানত। এই আমানতের পবিত্রতা রক্ষার জন্য আমি সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকব। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আমার আবেগ ও ভালোবাসার প্রতিষ্ঠান। এক যুগ এ সংগঠনের সঙ্গে আছি। যৌবনের শ্রম-ঘাম দিয়ে জাতির জনকের আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করছি। ছাত্রলীগ আমাদের সম্পত্তি নয়, সম্পদ। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও এই সংগঠনের মর্যাদা রক্ষা করব।

বাংলাদেশ জার্নাল: আপনি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন। আইন পেশায় না গিয়ে রাজনীতিতে আসার কারণটা যদি বলেন।

গোলাম রাব্বানী: প্রথমত আমি মনে করি আইন বিষয়ের সাথে রাজনীতির গভীর একটা সম্পর্ক রয়েছে। আইনের ছাত্রদের রাজনীতিতে অগ্রাধিকার থাকে, রাজনীতিতে আইনজীবীদের বা আইনের সাথে সংশ্লিষ্টদের সব সসয় প্রাধান্য দেয়া হয়। বিল ক্লিনটন, হিলারী ক্লিনটন, বারাক ওবামা, টনি ব্লেয়ার এনাদের সবার ব্যাকগ্রাউন্ডই আইন।

বঙ্গবন্ধু আমাদের আদর্শিক পিতা, যার হাত ধরে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠিত, তিনি নিজেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ছাত্র ছিলেন। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পঞ্চম হয়েছিলাম, আমার সুযোগ ছিল। সুতরাং রাজনীতি করার জন্য আমি আইন বিষয় বেছে নিয়েছি।

বাংলাদেশ জার্নাল: ছাত্র রাজনীতিতে আসার ক্ষেত্রে কার অবদান বেশি বলে আপনি মনে করেন?

গোলাম রাব্বানী: রাজনীতি করতে সব সময়ই সহযোগিতা পেয়েছি আমার পরিবারের কাছ থেকে। এজন্যই বলব রাজনীতিতে আসার ক্ষেত্রে আমার পরিবারের অবদান অনেক বেশি। আর সবচেয়ে বেশি অবদান আমার মায়ের। তিনি ছাত্রলীগ নেত্রী ছিলেন। আমার নানা রাজৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও স্থানীয় ইশিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। রক্তের ধারা হিসেবেও রাজনীতিতে আসাও বলা যায়।

বাংলাদেশ জার্নাল: কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হচ্ছে কবে?

গোলাম রাব্বানী: ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের পর চুলচেরা বিচার বিশ্লেষণ করে দেড় মাস পর আমাদের নাম ঘোষণা করা হয়। আমরা ঠিক আগস্টে দায়িত্ব পেয়েছি। এই মুহূর্তে আমাদের শোকের মাসের যে টাফ শিডিউল ছিল, অনেক প্রোগ্রাম ছিলো আমরা যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি। আমরা এখন পর্যন্ত ওইভাবে গুছিয়ে উঠতে পারিনি। আমরা বসেছি খসড়া করেছি। দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাদের প্রথম সংবিধান, আমদের প্রথম গঠনতন্ত্র। তার সাথে আলোচনা করেছি, তিনি একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা দু’জন কাজ করছি। আশা করছি আমরা এই সেপ্টেম্বরের মধ্যে বা আগামী মাসের প্রথম দিকে ইনশাআল্লাহ সেরাদের নিয়ে একটি সুন্দর কমিটি উপহার দিতে পারব।

বাংলাদেশ জার্নাল: নিকট অতীতে ছাত্রলীগের অনেক দায়িত্বশীল নেতা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে পারেননি। মৌখিক কেন্দ্রীয় নেতাও ছিলেন অসংখ্য। এবার আপনাদের নেতৃত্বে কমিটির আকার কেমন হবে?

গোলাম রাব্বনী: আকার সম্পর্কে আমি বলবো আমাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যে কমিটি হয় তার বাহিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমরা হয়তো কিছু স্পেস ফাঁকা রাখতে পারি। যেহেতু আমাদের হলের ক্যান্ডিডেট রয়েছেন, আবার বিভিন্ন জেলা ইউনিটেরও অনেকের কেন্দ্রে রাজনীতি করার স্বপ্ন থাকে। আর এই ছাত্রলীগ শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ, এই ছাত্রলীগে অংশ হওয়ার জন্য, ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার জন্য সবাই উদগ্রীব। সুতরাং সবাই চাইবে পারফরমেন্স শো করতে, তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে ইতিবাচকভাবে। আমরা সে জন্য কিছু স্পেস রাখবো, যারা ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা বা ইউনিট থেকে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে আসতে পারবেন। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক নয়, সবাইকে নিয়ে ব্যালেন্স করে আমরা ডিসেন্ট্রালাইজেশন করতে চাই। সেভাবেই আমরা চেষ্টা করবো। সুতরাং বলতে পারি যে, গঠনতন্ত্রের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। আমাদের গঠনতন্ত্রে যা আছে তার বাইরে একজনকেও বাড়ানো হবে না, আমার কথা স্পষ্ট।

বাংলাদেশ জার্নাল: বর্তমান কমিটি ভবিষ্যতের জন্য কেমন কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগোবে?

গোলাম রাব্বানী: আমরা সব সময় জননেত্রী শেখ হাসিনার বারান্দা বা ঘরে নয়, তার অন্তরে অবস্থান করতে ভালোবাসি। আপা যখন ছাত্রলীগের দায়িত্ব নিজের হাতে নিয়েছেন অবশ্যই সেরাদেরই দায়িত্ব দেবেন। তাই আগামীতে ছাত্রলীগ ইতিবাচক পরিবর্তনের ধারায় কাজ করবে।

ইতোমধ্যে এটা প্রমাণিত জামাত-শিবির, বিএনপি-ছাত্রদল, কিছু মেয়াদউত্তীর্ণ বাম, কিছু পথভ্রষ্ট ও কিছু সুশীলদের নিয়ে যে প্লাটফর্ম তৈরি করেছে, সেখান থেকে তারা অনলাইনকে ব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে। ভিত্তিহীন খবর প্রকাশ করছে, গুজব ছড়াচ্ছে। কিন্তু বর্তমান সিটিজেন জার্নালিজমের যুগে কোন কিছু লুকানো সম্ভব নয়, সবাই সবকিছু জেনে যাচ্ছে। বরং তাদের জন্য নেতিবাচক হচ্ছে।

যেহেতু তাদের অপপ্রচারের মাধ্যম হিসেবে তারা অনলাইনকে ব্যবহার করছে আমরাও টিট ফর ট্যাট, সেভাবে এগোব। যেমন কুকুর তেমন মুগুর দেব। আমরা যদি অনলাইনে একটিভ থাকি, স্ট্রাকচারালভাবে সারা বাংলাদেশে যে কর্মী রয়েছে তারা যদি দায়িত্ব নিয়ে অনলাইনে কাজ করে, তাহলে জামাত, শিবির, ছাত্রদলের যে প্লাটফর্ম আছে তারা খড়কুটোর মত উড়ে যাবে। এটা আমরা বিশ্বাস করি এবং জানি।

সুতরাং আমরা ওইভাবেই বঙ্গবন্ধুর সাইবার ব্রিগেট গড়ছি। আমাদের সারাদেশে ছাত্রলীগের যে কমিটি রয়েছে তাদের মধ্য থেকে যারা একটিভ অনলাইনে কাজ করবে তাদের জন্য আমরা আলাদা প্লাটফর্ম তৈরি করছি। যারা কাজ করবে যে ৫\১০ জন, তাদের সিলেক্ট করব সিভি নিয়ে। এক্সপার্ট এবং স্পেশালিস্ট তারা শুধু এখানেই কাজ করবে। তাদের অন্য কোথাও কাজ করা লাগবে না। এটার জন্য তারা মূল্যায়িত হবে। এখানে পারফরমেন্সের ওপর ভিত্তি করে তাদের পোস্ট পজিশন মূল্যায়ন, স্বীকৃতি সব আসবে। সুতরাং আমরা এভাবেই বঙ্গবন্ধু সাইবার ব্রিগেট (বিসিবি) স্বপ্নের প্লাটফর্ম তৈরি করছি। যারা আগামী নির্বাচনে দলের জন্য ইতিবাচক প্রচারণা, তাদের গুজব, মিথ্যা অপপ্রচার এগুলো রোধ করা থেকে শুরু করে অনলাইনে ছাত্রলীগের যাবতীয় ডিফেন্স, ডিফেন্ডেন্ট টিম হবে বিসিবি।

বাংলাদেশ জার্নাল: এছাড়া আর কি কি করছেন?

গোলাম রাব্বানী: আমরা ছাত্রলীগের নিউজ পোর্টাল করতে চাচ্ছি। bslnews.com অথবা bslnews.net যেটা পাই করব। আমরা একটা খসড়াও করেছি। এর উদ্দেশ্য হবে; মিডিয়াকর্মী, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষিীরা ছাত্রলীগের যেকোনো অথেনটিক নিউজ বা কার্যক্রম সর্ম্পকে এখান থেকে জানতে পারবে। আমরা এই পোর্টালটি চালাতে নিজস্ব কিছু লোক নিয়োগ দেব। এতে আওয়ামী লীগের পজিটিভ কাজগুলো প্রচার, আমাদের কেন্দ্রীয় ইউনিট, জেলা ইউনিটগুলোর কার্যক্রম প্রচার হবে।

এছাড়া শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে Bslnews এর সাব-ডোমেন হিসেবে বিএসল ক্যারিয়ার ও বিএসএল এডুকেশন করব। বিএসএল এডুকেশনে একজন ছাত্রের ক্লাস ফাইভ থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত যেকোনো ধরনের এডুকেশনাল মেটেরিয়ালস থাকবে। উদাহরণ হিসেবে ধরেন ভর্তি কোচিংয়ে শিক্ষার্থীরা হাজার হাজার টাকা খরচ করছে, আমরা সে কোচিং বিএসল এডুকেশনের মাধ্যমে ফ্রি দেব। ভিডিও লেকচার থাকবে, পিডিএফ শিট দেয়া হবে। তারা এখান থেকে নিয়ে সরাসরি পড়তে পারবে। এটা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এটা আমাদের ছাত্রলীগের পজিটিভ ব্রান্ডিংয়ের জন্য মাত্র। এ রকমভাবে ক্যারিয়ার গঠনে পরামর্শসহ নানা সহায়তা দিতে বিএসএল ক্যারিয়ারও থাকবে।

এটা আমাদের আগামী ছয় মাসের প্ল্যান। এরপর যেকোনো ইতিবাচক ও কল্যাণকর কাজ সামনে আসবে, ছাত্রলীগ সেটা সাদরে গ্রহণ করবে।

বাংলাদেশ জার্নাল: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বচান বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে আপনাদের বর্তমান নেতৃত্বের ভাবনাটা কেমন?

গোলাম রাব্বানী: ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আমরা আগেও বলেছি। ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন আপনারাও। দেশের প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন জরুরি। নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধির গৌরব ৬০-৭০ দশকে পেয়েছেন আসম আব্দুর রব, তোফায়েল আহম্মদসহ তৎকালীন সময়ের ছাত্রনেতারা। আমরাও সেই ফ্লেবার পেতে চাই, সেই সম্মান পেতে চাই। ছাত্রলীগে আসুক সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা, আমরা ভালোবাসা দিয়ে মন জয় করে জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় এনে সকল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সকলের সাথে আলোচনা করে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের দাবি জানাব।

বাংলাদেশ জার্নাল: আপনাদের পূর্বসূরিরা নিকট অতীতে নানা রকম বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্ম দিয়েছেন। অনেক সময় মূল দল আওয়ামী লীগকেও বিব্রতকর অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়েছে। সেই সব অতীত ফেলে এসে ছাত্রলীগকে ইতিবাচক ভূমিকায় আনতে আপনাদের পরিকল্পনাটা কেমন হবে?

গোলাম রাব্বানী: আমরা যেদিন থেকে দায়িত্ব নিয়েছি অর্থাৎ আমি জোর গলায় বলতে পারি আমরা দায়িত্ব নিয়েছি ১ মাসের একটু বেশি। বর্তমানে ছাত্রলীগ সম্পূর্ণ ইতিবাচক ধারায় রয়েছে এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ মানুষের মধ্যেও একটা উৎফল্লতা সৃষ্টি করেছে। একই সাথে ছাত্রলীগের প্রতি সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে, সকলে আস্থা পাচ্ছে যে এই ছাত্রলীগের উপর। আমরা কথা ও কাজে মিল রাখার চেষ্টা করছি।

এত বড় সংগঠনে অনেক সমস্যা থাকতে পারে, এটাকে একসাথে করে পারফেক্ট ভাবে চালানো সো ডিফিকাল্ট। আমরা চেষ্টা করবো আপনারাও আমাদের হেল্প করুন। ইতোমধ্যে আমরা বলেছি, ছাত্রলীগের কেউ কোন আর্থিক লেনদেন করলে আমাকে জানাতে, কেউ কোন অনৈতিক কাজ করলে আমাদের জানাতে। আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা নিবো। সবার কাছে আমাদের এই মেসেজ, আপার মেসেজ চলে গেছে। এই ছাত্রলীগ কোন ব্যক্তির অপকর্মের দ্বায়ভার নেবে না। ৪০ লাখের পরিবার ৪০/৪০০ জনের জন্য কলঙ্কিত হতে পারে না।

সুতরাং যারা অপকর্ম করবে তাদেরকে আমরা সংগঠন থেকে রাজটিকেট করবো। প্রয়োজনে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিবো যদি তারা অন্যায় করে, অন্যায় যেমন ছাত্রলীগ প্রশ্রয় দিবে না, তবে ছাত্রলীগের প্রতি অন্যায় হলে তাও সহ্য করবে না।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here