ঢাকা ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা কলকাতায়

Reporter Name

বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ভারতের কলকাতায় ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের উদ্যোগে কলকাতার বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত মওলানা আজাদ কলেজের রেজা আলি ওয়া শেখ মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মিজানুর রহমান, কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান, মওলানা আজাদ কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শুভাশীষ দত্ত প্রমুখ।

উপাচার্য অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিরোধীরা আর হত্যাকারীরা কখনো বাঙালিদের স্বাধীন ভূমি বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারেনি। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে। ‘জয়বাংলা’ স্লোগানের বিরোধিতা করেছে। সেই প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের বিরুদ্ধে সে দিন লড়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা। দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সেই সৈনিকেরা আজও লড়ছেন।

অধ্যক্ষ শুভাশীষ দত্ত বলেছেন, আমি সৌভাগ্যবান যে, বঙ্গবন্ধু কলকাতার যে কলেজে পড়েছিলেন সেই কলেজের এখন আমি অধ্যক্ষ। এই কলেজেই একদিন নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা অর্জন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। অসাধারণ গুণের অধিকারী ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর অসাধারণ নেতৃত্বের ফলে আজ বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ নামের একটি দেশের অভ্যুদয় হয়েছে।

সভাপতির ভাষণে উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধু একটি নাম, একটি ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর সাহসী ও বীরত্বপূর্ণ নেতৃত্বের জন্য বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের জায়গা হয়েছে। এই মহান মানুষটির জন্ম না হলে আজ বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না।

Tag :

About Author Information
Update Time : ১১:৫১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অগাস্ট ২০১৮
৩৮৭ Time View

জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা কলকাতায়

Update Time : ১১:৫১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অগাস্ট ২০১৮

বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ভারতের কলকাতায় ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের উদ্যোগে কলকাতার বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত মওলানা আজাদ কলেজের রেজা আলি ওয়া শেখ মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মিজানুর রহমান, কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান, মওলানা আজাদ কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শুভাশীষ দত্ত প্রমুখ।

উপাচার্য অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিরোধীরা আর হত্যাকারীরা কখনো বাঙালিদের স্বাধীন ভূমি বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারেনি। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে। ‘জয়বাংলা’ স্লোগানের বিরোধিতা করেছে। সেই প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের বিরুদ্ধে সে দিন লড়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা। দেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সেই সৈনিকেরা আজও লড়ছেন।

অধ্যক্ষ শুভাশীষ দত্ত বলেছেন, আমি সৌভাগ্যবান যে, বঙ্গবন্ধু কলকাতার যে কলেজে পড়েছিলেন সেই কলেজের এখন আমি অধ্যক্ষ। এই কলেজেই একদিন নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা অর্জন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। অসাধারণ গুণের অধিকারী ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর অসাধারণ নেতৃত্বের ফলে আজ বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ নামের একটি দেশের অভ্যুদয় হয়েছে।

সভাপতির ভাষণে উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধু একটি নাম, একটি ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর সাহসী ও বীরত্বপূর্ণ নেতৃত্বের জন্য বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের জায়গা হয়েছে। এই মহান মানুষটির জন্ম না হলে আজ বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না।