সবুজদেশ ডেক্সঃ নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরি নিয়ে এমপিওভুক্ত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আব্দুল আওয়ালের করা এক অভিযোগ তদন্তের পর প্রধান শিক্ষকের জাল সনদের বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে মন্ত্রণালয় শহিদুল ইসলামের এমপিও বাতিল করেছে।
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ (মাউশি) এর ওয়েব সাইটে প্রকাশিত একটি কার্য বিবরণী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
প্রকাশিত ওই কার্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম (ইনডেক্স নম্বর ৫৪২৮৫৭) এর বিরুদ্ধে করা অভিযোগটি মাউশি’র সহকারী পরিচালক মো. সবুজ আলম তদন্ত করেন। তদন্তে তিনি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুয়া বিএড সনদে চাকরির নেওয়ার প্রমাণ পান। ওই কর্মকর্তার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ অনুযায়ী শহিদুল ইসলামের ইনডেক্স বাতিল করা হয় ও বেতন-ভাতা হিসেবে তিনি যে অর্থ নিয়েছেন, তা সরকারি কোষাগারে জমা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি গত ৫ নভেম্বর মাউশি’র ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়। এর আগেও আব্দুল আওয়াল মাউশি’র মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক দপ্তরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।

অভিযোগকারী শিক্ষক আব্দুল আওয়াল বলেন, ২০১১ সালের জুলাই মাসে বাঁশবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে একই উপজেলার রহিমানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন শরীরচর্চা শিক্ষক শহিদুল ইসলাম দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটির জাল বিএড সনদ দিয়ে প্রধান শিক্ষকের চাকরি নেন। ওই সময় অভিজ্ঞতার সনদে শরীরচর্চা শিক্ষকের বিষয়টিও শহিদুল ইসলাম গোপন রাখেন। পরে দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ এক পত্রের মাধ্যমে সনদটি তাদের অনুমোদিত নয় বলে জানিয়েছিল।

মুঠোফোনে প্রথম আলোকে শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অভিযোগকারী শিক্ষক আব্দুল আওয়াল অবৈধ সুবিধা না পেয়ে তাঁর বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করেছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here