আল মামুন সোহাগ (চুয়াডাঙ্গাপ্রতিনি):
জীবননগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম মোর্তুজা সংবাদ সম্মেলন করেছে।গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার সময় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জীবননগর উপজেলা শাখা কার্যলয়ে জীবননগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজার আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।এ তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন,গত ৬ অক্টোবর ২০১৮ইং তারিখে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দামুড়হুদা উপজেলা শাখার উদ্যোগে কার্পাসডাঙ্গা ফুটবল মাঠে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।জনসভায় আমার দেওয়া বক্তব্যের খন্ডিত অংশ একটি চিহ্নিত মহল বিকৃতভাবে উপস্থাপনা করে ফেসবুকে ও বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ করেছে।যা আমারসহ দলীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্ঠি গোচর হয়েছে।আমি গোলাম মোর্তুজা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জীবননগর উপজেলা শাখার সভাপতি পদে নিষ্ঠা সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি ।এর পূর্বে আমি দীর্ঘদিন সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি।আমি কখনও জাসদের সাথে জড়িত ছিলাম না ।গত দুই বছর ধরে লক্ষ্য করছি দুই একজন বসন্তের কোকিল চুয়াডাঙ্গা-২নির্বাচনী এলাকায় সুসংগঠিত সাংগঠনিক মাঠটি নষ্ঠ করার জন্য বিভিন্ন স্থানে কু-রুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে আসছে।জামায়াত ও বিএনপি অধ্যুষিত এই নির্বাচনী এলাকায় চুয়াডাঙ্গা-২এর মাননীয় সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন।গত ৬ তারিখের জনসভায় আমি আমার বক্তব্যে বলেছিলাম মাননীয় সভানেন্ত্রী দেশ রত্ন শেখ হাসিনা কিছু না জেনে কাউকে মনোনয়ন দেবেন না।তৃনমূলের আমি সভাপতিসহ সম্পুর্ণ কমিটি এমপি মহোদয়ের সাথে আছি।দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু সহ উপজেলা কমিটির সকল সদস্য এমপি মহোদয়ের সাথে আছেন ।আজকের এই জন সমুদ্রের তৃণমূলের সকল মানুষের মতামত নিলে তো আমরা এমপি মহাদয়ের কথাই বলবো।সেই সাথে যুবলীগ ,ছাত্রলীগ মহিলা লীগের সকল নেতৃবৃন্দ এমপি মহোদয়ের সাথে আছেন এমনকি সকল ইউনিয়নের দলীয় চেয়ারম্যান ,মেম্বারগন এমপি মহোদয়ের সাথে আছেন।মতামত চাইলে তো আমরা এমপি মহোদয়ের পক্ষেই দেব।তাহলে তোমরা মনোনয়ন পাবে কি করে।সুতরাং আমার দেওয়া বক্তব্য বিকৃত করে উপস্থাপন করায় আমি ও সকল উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ফেসবুক আইডিতে প্রকাশিত বক্তব্য ও সংবাদ পত্রে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দাসহ প্রতিবাদ জানাচ্ছি।মিথ্যা ও বানোয়াট কথা বলে ও লিখে সাময়িক তৃপ্তি পেতে পারে ।কিন্তু দুর্দিনে দলের জন্য ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকব।যারা বসন্তের কোকিল তাদের খুজে পাওয়া যাবে না ।এ সময় উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো.আ.লতিফ অমল,পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম,মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খাঁন সুরোদ্দীন,হাসাদহ ইউপি চেয়ারম্যান রবি বিশ্বাস,কেডিকে ইউপি চেয়ারম্যান ও থানা যুবলীগের সভাপতি খাইরুল বাশার শিপলু,বাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান আঃ কাদের প্রধান,আন্দুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার,উথলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আঃ হান্নান,সীমান্ত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আঃ মালেক মোল্লা ,থানা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আঃ সালাম ঈশা সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মিগন উপস্থিত ছিলেন
