পরিচালক বদলানো ‘জেমস বন্ড’ সিরিজের জন্য নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু একেবারে শুটিং শুরু করার আগে পরিচালক সরে দাঁড়িয়েছেন, এমন পরিস্থিতি ‘জোমস বন্ড’ সিরিজে আগে কখনো তৈরি হয়নি।

মাত্র তিন মাস পর শুটিং শুরু হওয়ার কথা। জানানো হয়েছিল ‘জেমস বন্ড’ সিরিজের ২৫তম সিনেমা মুক্তির তারিখ। এমন সময়ে বিদায় নিলেন ছবির পরিচালক ড্যানি বয়েল। পরিচালক বদলানো ‘জেমস বন্ড’ সিরিজের জন্য নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু একেবারে শুটিং শুরু করার আগে পরিচালক সরে দাঁড়িয়েছেন, এমন পরিস্থিতি ‘জোমস বন্ড’ সিরিজে আগে কখনো তৈরি হয়নি।

গত মঙ্গলবার টুইটারে ‘জেমস বন্ড’ সিরিজের ভেরিফায়েড পেজে ঘোষণা দেয়, সৃজনশীল রদবদলের কারণে বন্ড সিরিজের ২৫তম ছবিটি পরিচালনা করবেন না ড্যানি বয়েল। পরিচালক বা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নয়, ঘোষণাটি দেওয়া হয়েছে দুই প্রযোজক মিশেল জি উইলসন, বারবারা ব্রুকলি এবং অভিনেতা ড্যানিয়েল ক্রেগের বরাত দিয়ে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, ঝামেলা বেধেছে অন্য কোথাও। শুধু পরিচালক বদলালে ছবিতে ‘সৃজনশীল পরিবর্তন’ আসবে, এই আশায় সিরিজ থেকে সরে দাঁড়াবেন বয়েল, বিষয়টি হয়তো এতটা সহজ নয়।

সূত্র জানিয়েছে, রদবদলের মূলে রয়েছে চিত্রনাট্য নিয়ে দ্বন্দ্ব। দীর্ঘদিনের সহকর্মী জন হজকে নিয়ে নিয়মিত চিত্রনাট্য লিখে আসছেন ড্যানি বয়েল। ‘ট্রেইনস্পোটিং’ ও এর সিক্যুয়েল, ‘দ্য বিচ’, ‘আ লাইফ লেস অর্ডিনারি’ এবং বয়েলের প্রথম ছবি ‘শ্যালো গ্রেভ’ লিখেছিলেন তাঁরা দুজন। তাঁরা দুইয়ে মিলে লিখেছেন বন্ড সিরিজের বেশ কিছু চিত্রনাট্য। কিন্তু শেষ চিত্রনাট্য নিয়ে সম্ভবত খুশি হতে পারেননি ব্রুকলি বা ক্রেগ। সে জন্যই হয়তো ‘সৃজনশীল রদবদল’-এর দায়ে বাদ পড়ছেন পরিচালক।

‘জেমস বন্ড’ ছবির পরিচালক ড্যানি বয়েল‘জেমস বন্ড’ ছবির পরিচালক ড্যানি বয়েলসিরিজের পুরোনো চিত্রনাট্যকার নেল পারভিস ও রবার্ট ওয়েড। এ পর্যন্ত ছয়টি চিত্রনাট্য লিখেছেন তাঁরা দুজন। তাঁদের চিত্রনাট্য নিয়ে নাখোশ ছিলেন না প্রযোজক। কিন্তু হজ ও বয়েলের চিত্রনাট্যে ছিল ব্যতিক্রম কিছু, যা জেমস বন্ডকে দিয়েছিল ব্যতিক্রম রূপ। চিরাচরিত বন্ড যেখানে হয়ে উঠেছে আরও প্রাসঙ্গিক। সব থেকে বড় কথা, পরিচালক নিজেই যখন লেখক, তখন দৃশ্য ভেবে লিখতে ও তাঁকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে নিশ্চয়ই কিছুটা সুবিধা হতো তাঁর।

তবে এটা ধরেই নেওয়া যায়, পরিচালক বদলের পেছনে রয়েছে হজ-বয়েল জুটির চিত্রনাট্য? পারভিস ও ওয়েডের চিত্রনাট্য ঘষামাজা শুরু হয়েছে। এ প্রক্রিয়া শেষে গল্প দাঁড় করানো, চরিত্র নির্বাচন ও শুটিং—সব মিলিয়ে ২০২০ সালের আগে মুক্তি পাচ্ছে না জেমস বন্ডের নতুন সিনেমা। এতে খানিকটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে ‘ওয়ান্ডার ওমেন ১৯৮৪’। আগামী বছর ১ নভেম্বর ছবিটি মুক্তির কথা। ঠিক পরের সপ্তাহে মুক্তির কথা ছিল জেমস বন্ডের। বয়েলের বিদায়ে একটু শান্তিতে কাজ করতে পারবেন ‘ওয়ান্ডার ওমেন’। অন্যদিকে বন্ড সিরিজের নতুন ছবির জন্য অপেক্ষার প্রহর বাড়বে। সব থেকে বড় কথা হচ্ছে, যে জেমস বন্ডকে একটি ব্যতিক্রম অবয়ব দিয়েছিলেন ড্যানি, সেই বন্ডকে আর পর্দায় পাওয়া যাবে না।

২০১২ সালে জেমস বন্ডের ‘স্কাইফল’ পরিচালনা করেছিলেন স্যাম মেন্ডেজ। এরপর এই সিরিজের পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন বয়েল। পরে অবশ্য ২০১৫ সালের ‘স্পেক্ট্রা’তে আবারও ফিরেছিলেন স্যাম। বন্ড সিরিজের নায়ক বদলের সময় হয়ে গেছে। বন্ডের ২৫তম এ ছবিটি ড্যানিয়েল ক্রেগের শেষ ছবি। ঠিক এই সময়ে পরিচালক বদল অন্য ইঙ্গিতও বহন করছে। গার্ডিয়ান

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here