সবুজদেশ ডেক্সঃডাক্তার ছাড়াই চলছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের আড়মূখী কমিউনিটি ক্লিনিক। স্বাস্থ্য সহকারীদেরও দেখা পাওয়া যায় না-এমন অভিযোগ স্থানীয় রোগীদের।
গত ৭ অক্টোবর রোববার সকাল ১১টায় আড়মূখী কমিউনিটি ক্লিনিকে গেলে দেখা যায় কমিউনিটি ক্লিনিকের বাইরে তালা ঝুলছে, বাইরে অপেক্ষমান রোগীদের লাইন। এ ব্যাপারে রোগীদের কাছে জানতে চাইলে সেবা নিতে আসা তোয়াগ আলী বলেন, আমি গত ২ দিন আগেও এই কমিউনিটি ক্লিনিকে আইছি, কিন্তু কোন ডাক্তার পাইনি বা কাউকে পাইনি। এখানে ঠিক মত সেবা পাওয়া যায়না। এই কথা কার কাছে বলবো। সরকার আমাদের জন্য সেবা কেন্দ্র দিয়েছেন কিন্তু আমরাই সেবা পাইনা। সেবা নিতে আসা আড়মুখী গ্রামের মাজেদুল, শাহিন হোসেন, আকলিমা বেগম, ফাতেমা বেগম, হালিমা খাতুন, সাগরিকা খাতুন, সবেদা খাতুন, আরিফা বেগম, শহিদুল ইসলাম, মজনু শেখসহ সবাই একই অভিযোগ করেন যে, আড়মূখী কমিউনিটি ক্লিনিকে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্বে থাকা কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইটার (সিএইচসিপি) আড়মুখী গ্রামের মাজেদুল ঠিকমত আসেন না, আসলেও এক ঘন্টা থেকে কমিউনিটি ক্লিনিকের দরজায় তালা মেরে নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে যারা আছেন তারাও ঠিকমত আসেন না। মাসে দু’একবার আসলেও দিনের ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত থাকেন। অফিসে আসেন সকাল ১০টার পরে। আমরা ঠিকমত সেবা পাই না ঔষধ পাই না । স্বাস্থ্য সহকারীরা রোগীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন, কিছু বলতে পারি না।
আগত রোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচএ) ডাঃ সাজ্জাদ হোসেনের সাথে মুঠো ঠোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমি আগেও শুনেছি যে মাজেদুল বিরুদ্ধে ডিউটি ঠিকমত না করার অভিযোগ। কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিটির লিখিত না পেলে বেশী কিছু করা যাবে না লিখিত দিলে সুবিধা হয়। প্রশাসনিক ভাবে যেটা নেওয়ার দরকার আমি নেবো। যে ঐ ক্লিনিকের জমিদাতা আমি ওনার সাথেও কথা বলেছি তিনি নির্দিষ্ট কোন অভিযোগ করেননি এজন্য আমার খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। স্থানীরা যদি একটা লিখিত অভিযোগ দেয় তাহরে ব্যবস্থা নিতে ভাল হয়। সরকারিভাবে নিয়ম মেনে অফিস করার কথা থাকলেও মাজেদুল কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেননা। অপর দিকে আড়মূখী কমিউনিটি ক্লিনিকের জমিদাতা পরিবারের সদস্য একই গ্রামের আশরাফুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক দিন ধরে এই ক্লিনিকের ক্লিনিকের সিএইচসিপি মাজেদুলের কাছে মানুষ সেবা পায় না। আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সাথে আলাপ করেছি, তিনি বিষয়গুলো দেখার আশ্বাস দিলেও আজ পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি। আমরা এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ার চিন্তা করেছি ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আড়মূখী কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা নিতে প্রায় ৫টি গ্রামের লোকজন আসেন। আর স্থানীয় হতদরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করেই বর্তমান সরকার এই কমিউনিটি ক্লিনিকের শুভ সুচনা করেন। দরিদ্র জনগোষ্টির স্বাস্থ্য সেবার জন্য আড়মূখী গ্রামের সমাজ সেবক খয়বার মুসল্লি কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য জমি দান করেন। ঠিকমত স্বাস্থসেবা নিশ্চিত করার জন্য এই মাজেদুলকে সরিয়ে ভালো এখানে একজন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইটার নিয়োগ দেবেন এমনটাই আশা করেন এখানে সেবা নিতে আসা এলাকার ভূক্তোভোগী জনগোষ্টি।
এ ব্যাপারে আড়মূখী কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইটার (সিএইচসিপি) মাজেদুলের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান আমি গাড়িতে আছি গাড়ি থেকে নেমে আপনাকে ফোন করছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here