সবুজদেশ ডেক্স:  কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়িরা আবার ও মাদক ব্যবসা শুরু করেছে। থানা পুলিশ কোন মাদক ব্যবসায়ি কে গ্রেফতার না করে তাদের কাছ থেকে হিস্যা আদায় করছে। কিন্তু ঝিনাইদহ থেকে র‌্যাব ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের লোকজন কালীগঞ্জ এলাকা থেকে প্রতিনিয়িত মাদকসহ ব্যবসায়িদের গ্রেফতার করছে।

কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অতীতের মত মাদক বিক্রি শুরু হয়েছে, কিন্তু থানা পুলিশ একেবারেই নিরব দর্শকের মত দাড়িয়ে রয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে মাদক বিক্রি ও সেবন কারির সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে থানা পুলিশ মাদক ব্যবসায়িদের সহযোগিতা করছে। বর্তমানে ব্যবসায়িরা পুলিশের সাথে টাকার চুক্তি করে ব্যবসা করছে। এ কারনে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করে না।

যেমন রোববার রঘুনাথপুর থেকে ৭০০ বোতল ফেনসিডিলসহ আরিফ মোল্লা কে আটক করে ঝিনাইদহ র‌্যাব, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর বুধবার শহরের ফয়লা এলাকা থেকে ৫,শ গ্রাম গাজাসহ ফরিদা বেগম কে আটক করে। গত রোববার ফয়লা গ্রাম থেকে আতিয়ার ও মতিয়ার কে ১২০ গ্রাম গাজাসহ মাদকদ্রব্যরা আটক করে। একইদিন একই সংস্থা টেলিফোন অফিসের লাইনম্যান আশরাফ কে ২,শ গ্রাম গাজাসহ আটক করে এ রকম প্রতিদিন ধরা পড়ছে।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি ও দারোগাদের সাথে আলাপ করলে তারা বলেন, কোন মাদক ব্যাবসায়ি এবং মাদক ব্যাবসায়িদের গডফাদারের সাথে আপোস নেই আমাদের। যেখানে মাদক সেখানে সাথে সাথে অভিযান চালানো হবে। কিন্তু বাস্তবে কথার সাথে কাজের কোন মিল নেই। কালীগঞ্জ থানা পুলিশ উল্লেখযোগ্য কোন মাদক ব্যবসায়ি বা মাদক উদ্ধার করতে পারেনি। পুলিশ সব সময় ধান্দাবাজি কাজে ব্যাস্ত থাকে।

সচেতন মহলের প্রশ্ন ঝিনাইদহ থেকে ডিবি,র‌্যাব,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর এরা কালীগঞ্জ এসে মাদকসহ ব্যবসায়িদের আটক করছে, বিভিন্ন মেয়াদে সাজা, ও মামলা দিচ্ছে, কিন্তু কালীগঞ্জ থানা পুলিশ কেন মাদকের ব্যাপারে কিছু করতে পারছে না। কালীগঞ্জ উপজেলায় আবার ও মাদকের অবাধ বিচারন সৃষ্টি হয়েছে। মাদক ব্যাবসায়িদের কাছ থেকে নিয়মিত চুক্তির টাকা আদায় করছে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান সদ্যষ্টান রিলিজ হয়েছেন ঢাকার একটি সংস্থায়। তিনি প্রায় দেড় বছর কালীগঞ্জ থানায় চাকরিতে থাকা অবস্থায় গ্রেফতার বানিজ্য আর মাদক ব্যবসায়িদের কাছ থেকে সরাসরি ও আদায়কারি নিয়োগ করে মোটা অংকের টাকা আদায় করতো। তালিকাভুক্ত কোন মাদক ব্যবসায়িকে আটক করতে দিত না, বরং তিনি দারোগাদের বলতো মাদক ব্যবসায়িদের গ্রেফতার করলে থানার খরচ চালানো যাবে না। প্রতিমাসে পুলিশের উপরি মহলে টাকা দিতে হলে এদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে হবে ও মাদক ব্যবসা করাতে হবে।

আবার দারোগা সাহেবরা বলেন, প্রতিমাসে তাদের নাকি বিভিন্ন চাদার টাকা দিতে হয়, এসব টাকা ধান্দাবাজি করে আদায় করে দিয়ে থাকে। গত শুক্রবার ওসি মিজানুর রহমান রাতে থানার ওসি তদন্তের কাছে চার্জ দিয়ে ঢাকার পিবিএম সংস্থায় যোগদান করেছে।

বর্তমানে কালীগঞ্জ উপজেলায় মাদক সেবন ও বিক্রি ব্যাপক হারে বেড়েছে। বিষয় টি সংশ্লিষ্ট সংস্থাদের দৃষ্টি প্রয়োজন বলে কালীগঞ্জবাসি মনে করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here