সবুজদেশ ডেক্স: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সরকারী মাহতাবউদ্দীন ডিগ্রী কলেজে (এম ইউ) পদত্যাগ কৃত তিন শিক্ষকের বিবরুদ্ধে স্বপদে পুনরায় বহালের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে । অভিযোগে জানাাগেছে , তৎকালীন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আঃমান্নান হস্তক্ষেপে ২০১২ সালে প্রভাষক শামীমা পারভীন রাষ্ট্র বিজ্ঞান , ২০১১ সালে প্রভাষক সরাফত হোসেন পরিসংখ্যান , ২০১২ সালে প্রভাষক বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারী রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগে এম ইউ কলেজে যোগদান করেন । যোগদানের পর থেকে কর্তব্য অবহেলা ও অনিয়মের অভিযোগে ওঠেন তাদের বিরুদ্ধে । তৎকালীন অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমানকে ম্যানেজ করে প্রভাষক শামীমা পারভিন, ও বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে , সরাফত হোসেন চট্রাগ্রাম হালি শহর ক্যাঃ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে যোগদান করে একই সাথে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে বেতন ভাতা সুবিধা নিতেন । এই নিয়ে জাতীয় দৈনিক ও আঞ্চলিক প্রত্রিকায় একাধিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয় । রিপোর্ট প্রকাশের পর ২০১৬ সালে তিন জন শিক্ষক কলেজে পরিচালন পর্ষদের চাপের মুখে পড়ে এ সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মন্ডলের নিকট পদত্যাগ পত্র জমা দেন । বিষয়টি ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার জানতে পেরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেন । ২০১৭ সালে ১৭ আগষ্ঠ পরিচলন পর্ষদের সভায় তিন জন শিক্ষকের পদত্যাগ পত্র গৃহিত হয় । ২০১৮ সালের ৮ আগষ্ট কলেজটি সরকারিকরন হলে তিন জন শিক্ষক পুনরায় স্ব পদে বহাল জন্য বিভিন্ন মহলে চেষ্টা করে যাচ্ছেন । বিষয়টি একটি মহল মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে পদত্যাগ পত্র গ্রহনের রেজুলেশন তথ্য গোপন করে বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের নিকট দেনদরবার করে যাচ্ছেন । এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মন্ডল বলেন, তিন জন শিক্ষক পুনরায় স্ব পদে বহাল রাখার কোন সুযোগ নেই।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here