ঢাকা ১২:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহের রাজু ১৮ বছর বয়সেও শিশু

Reporter Name

ঝিনাইদহঃ

ইমতিয়াজ হোসেন রাজু। বয়স ১৮ বছর হলেও এখনো শিশু রয়ে গেছে। এ সময় তার কলেজে পড়ার কথা। অথচ এখনো মুখ লুকাচ্ছে মায়ের আঁচলে।

রাজু ঝিনাইদহ সদর উপজেলার উত্তর নারায়ণপুর গ্রামের মনিরুজ্জামান মিঠুর ছেলে। হরমোনজনিত কারণে রাজুর শারীরিক গঠন বাড়েনি। তার উচ্চতা ৪ ফুট। চলাফেরা, কথাবার্তা একেবারেই শিশুর মতো।

রাজুর বাবা পেশায় দর্জি। তিনি তার ছেলের চিকিৎসার জন্য সাধ্যমতো অনেক কিছুই করেছেন। কিন্তু কোনো সাফল্য পাননি। চিকিৎসা করাতে গিয়ে তার সবকিছুই শেষ হয়ে গেছে। এখন তার বসতভিটা ছাড়া আর কিছুই নেই।

রাজুর মা জানান, ছোট অবস্থায় সে খুব কান্নাকাটি করতো। হাঁটা শেখার সময় তার শরীরে মাংসপেশি শক্ত হতে থাকে। এরপর ডাক্তারের কাছে নেয়া হয়। কিছুদিন চিকিৎসা করার পর অর্থের অভাবে থেমে যায় তার চিকিৎসা। গত বছর ভারতের চিকিৎসক শুভদ্বীপ প্রামাণিকের কাছে চিকিৎসা করানো হয়। ডাক্তার জানিয়েছেন, হরমোনজনিত কারণে এমন অবস্থা হয়েছে। আরো আগে থেকে চিকিৎসা করালে ভালো হতো।

ঝিনাইদহের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. অলোক কুমার সাহা জানান, সাধারণত জন্মের ১৫ দিন পর থেকে এসব রোগীর চিকিৎসা করাতে পারলে ভালো হয়। এখন তার বয়স ১৮। এ অবস্থায় তার শারীরিক গঠন বাড়ানো প্রায় অসম্ভব।

স্থানীয় চেয়ারম্যান জানান, ছেলেটির সম্পর্কে শুনেছি। কাগজপত্র দিলে তাকে প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করে দেব।

About Author Information
আপডেট সময় : ০৮:৪৩:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯
৫০৭ Time View

ঝিনাইদহের রাজু ১৮ বছর বয়সেও শিশু

আপডেট সময় : ০৮:৪৩:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ঝিনাইদহঃ

ইমতিয়াজ হোসেন রাজু। বয়স ১৮ বছর হলেও এখনো শিশু রয়ে গেছে। এ সময় তার কলেজে পড়ার কথা। অথচ এখনো মুখ লুকাচ্ছে মায়ের আঁচলে।

রাজু ঝিনাইদহ সদর উপজেলার উত্তর নারায়ণপুর গ্রামের মনিরুজ্জামান মিঠুর ছেলে। হরমোনজনিত কারণে রাজুর শারীরিক গঠন বাড়েনি। তার উচ্চতা ৪ ফুট। চলাফেরা, কথাবার্তা একেবারেই শিশুর মতো।

রাজুর বাবা পেশায় দর্জি। তিনি তার ছেলের চিকিৎসার জন্য সাধ্যমতো অনেক কিছুই করেছেন। কিন্তু কোনো সাফল্য পাননি। চিকিৎসা করাতে গিয়ে তার সবকিছুই শেষ হয়ে গেছে। এখন তার বসতভিটা ছাড়া আর কিছুই নেই।

রাজুর মা জানান, ছোট অবস্থায় সে খুব কান্নাকাটি করতো। হাঁটা শেখার সময় তার শরীরে মাংসপেশি শক্ত হতে থাকে। এরপর ডাক্তারের কাছে নেয়া হয়। কিছুদিন চিকিৎসা করার পর অর্থের অভাবে থেমে যায় তার চিকিৎসা। গত বছর ভারতের চিকিৎসক শুভদ্বীপ প্রামাণিকের কাছে চিকিৎসা করানো হয়। ডাক্তার জানিয়েছেন, হরমোনজনিত কারণে এমন অবস্থা হয়েছে। আরো আগে থেকে চিকিৎসা করালে ভালো হতো।

ঝিনাইদহের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. অলোক কুমার সাহা জানান, সাধারণত জন্মের ১৫ দিন পর থেকে এসব রোগীর চিকিৎসা করাতে পারলে ভালো হয়। এখন তার বয়স ১৮। এ অবস্থায় তার শারীরিক গঠন বাড়ানো প্রায় অসম্ভব।

স্থানীয় চেয়ারম্যান জানান, ছেলেটির সম্পর্কে শুনেছি। কাগজপত্র দিলে তাকে প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করে দেব।