সবুজদেশ ডেক্সঃ ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে অসময়ে সিজার করার ঘটনায় এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জামিনুর রশিদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে মৃত শিশুর ময়নাতদন্ত ঝিনাইদহ হাসপাতালে করা হয়। মামলার অন্যতম আসামি স্থানীয় নিউ-রেসিডো প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক মহিউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এদিকে সিভিল সার্জন ডা. রাশিদা সুলতানা একজন গাইনি কনসালটেন্টকে প্রধান করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির প্রধান করা হয়েছে সদর হাসপতালের গাইনি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. আলাউদ্দিনকে। তদন্ত কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ১৯ জানুয়ারি বিকালে আলমডাঙ্গা উপজেলার হাটখোলা পাঁচলিয়া গ্রামের হারেজ উদ্দিনের ছেলে শাহাবুল হোসেনের স্ত্রী আসমা খাতুন পার্শ^বর্তী হরিণাকুণ্ডু উপজেলা শহরে অনুমোদনহীন নিউ-রেসিডো প্রাইভেট হাসপাতাল নামের একটি ক্লিনিকে ভর্তি হন। আসমা আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরের দিন ২০ জানুয়ারি সিজার অপারেশন করা হয় তাকে। হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জামিনুর রশিদ এ অপরেশন করেন। অজ্ঞানের ডাক্তার হিসেবে ছিলেন হরিণাকুণ্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফুল ইসলাম।

পুলিশ আরও জানান, অসময়ে সিজার অপারেশন করে অপরিপক্ব একটি পুত্র শিশু মায়ের গর্ভ থেকে বের করা হয়। শিশুটির অবস্থা খারাপ হলে তাকে ওই দিনই ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে শিশুটিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সব শেষ ২২ জানুয়ারি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ফের শিশুটিকে আনা হয়। এদিন রাত সাড়ে ৭টার দিকে মারা যায় শিশুটি। রাত সাড়ে ৯টার দিকে শিশুর মরদেহসহ স্বজনরা হরিণাকুণ্ডু থানায় আসেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডাক্তার জামিনুর বলেন, আলট্রাসনো রিপোর্ট মোতাবেক ডেলিভারি হতে অন্তত ২৮ দিন বাকি ছিল। কিন্তু রোগীর স্বজনদের অনুরোধে সিজার করেছেন তিনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here