ঝিনাইদহঃ

ঝিনাইদহ গনপুর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাঈখ এখন নিজেই ঠিকাদার সেজেছেন। পত্রিকায় কাজ না করে ১০ কোটি টাকার বিল উত্তোলনের তথ্য ভিত্তিক খবর বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত হলে তিনি এখন নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন সরকারী ভবনের মেরামত ও বৈদ্যুতিক কাজ শুরু করেছেন।

শুক্রবার দুপুরে ঝিনাইদহের এক দল গনমাধ্যম কর্মী সরেজমিন দেখতে পান নির্বাহী প্রকৌশলী তার নিজ বাসভবনের সীমানা প্রাচীর উচু করণ কাজ করছেন। এছাড়া তিনি ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়া ডরমেটরি ভবন, নন গেজেটেড ডরমেটরি ভবন, জেলা জজের বাসা, সাবডিভিশন অফিস ও গনপুর্তের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর বাসাসহ বিভিন্ন অফিস তড়িঘড়ি করে রংচং শুরু করেছেন। গনপুর্ত বিভাগের একটি সুত্র জানায় বিভিন্ন পত্রিকায় কোটি কোটি টাকা লোপাটের খবর প্রকাশিত হলে গনপুর্ত অধিদপ্তরের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নন্দিতা রানী সাহা সাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি তদন্তের উদ্যোগ নেন। তদন্ত দল আসার আগেই দুর্নীতিবাজ নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাঈখ নিজ উদ্যোগে এসব কাজ শুরু করেছেন।

তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নন্দিতা রানী সাহা গত ২ অক্টোবর “ভুয়া কাজ ও বিল ভউচারে লোপাট ১০ কোটি টাকার বিষয়ে তদন্ত প্রসঙ্গে” শিরোনামে তার দপ্তরের ২৫.৩৬.০০০০.২১৩.২৭৫৫৯.১৯.১০৮৭ নং স্মারকে একটি চিঠি ইস্যু করেন। তদন্ত পুর্বক ৩ কর্মদিবসের মধ্যে সুস্পষ্ট মতামত প্রেরণ করার জন্য নির্দেশক্রমে তদন্ত দলকে নির্দেশ দিলে ঝিনাইদহ গনপুর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাঈখ বিপাকে পড়েন। তার সীমাহীন দুর্নীতি আড়াল করার জন্যই নিজ উদ্যোগে প্রায় ৪০টি সরকারী ভবনে মেরামত ও বৈদ্যুতিক শুরু করেছেন। এদিকে ঝিনাইদহ জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাব স্টেশনের যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও স্থাপন কাজের টেন্ডার বাতিল করে সেই কাজের আবার বিল পরিশোধ করা হয়েছে বলে নুতন করে অবিযোগ উঠেছে।

সুত্রমতে চুক্তি সম্পাদক না করায় চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি ঝিনাইদহ গনপুর্ত বিভাগের ১৭২ নং স্মারকে ঢাকার মেসার্স লিজা এন্টারপ্রাইজের টেন্ডারটি বাতিল করা হয়। কিন্তু মাসিক ক্যাশ হিসাব রেজিষ্টারে দেখা গেছে বাতিল হওয়া কাজের বিপরীতে ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।

চলতি বছরের ১৬ জুন গ-০১৯৬০৩ নং চেকের মাধ্যমে মেসার্স লিজা এন্টারপ্রাইজকে এই টাকা দিয়েছেন গনপুর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাঈখ।

অধিদপ্তর থেকে তদন্ত আসার খবরে নতুন করে কাজ শুরু করা ও বাতিল টেন্ডারে বিল দেওয়ার বিষয়ে কথা বলতে ঝিনাইদহ গনপুর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে শাঈখের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়ার তার সরকারী বাসভবনে গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি গনমাধ্যমকর্মীদের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হননি।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here