ঝিনাইদহ-১ শৈলকুপা আসনের বি এনপির প্রাথী হতে চাই ওসমান আলীর এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ
শিপলু জামান ঝিনাইদহ ঃ
১৯৭১-এর রণাঙ্গনে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রথম দিকেই খান সেনাদের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলে ঝিনাইদহের শৈলকূপা এলাকার মুক্তিকামী মানুষ। ফলে এ উপজেলার কয়েকশ’ বীর মুক্তিযোদ্ধার রক্তে লেখা ইতিহাস সমৃদ্ধ এ আসনটি একটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। মোট ভোটার ২ লাখ ৪৯ হাজার ২৪২ জন। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৭৭ এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৪ হাজার ৪৬৫ জন।
সামনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ঝিনাইদহ-১ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মনোনয়ন পেতে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে গণসংযোগ শুরু করেছে। প্রার্থীরা দোয়া সমর্থন পেতে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ঝুলিয়েছেন ডিজিটাল সাইনবোর্ড। ঝিনাইদহ-১ আসন ( শৈলকুপা) থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ ওসমান আলী ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেছে। তিনি শৈলকুপার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। তিনি শৈলকূপা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সস্পাদক। স্থানীয়রা জানান, তিনি সৈরাচার সরকার পতন আন্দোলনের সময় অগ্রনী ভুমিকা পালন করেন। বর্তমানে তার নামে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে একাধিক মিথ্যা মামলা রয়েছে।
বিশিষ্ট শিল্পপতি ও এক্সেল রিয়েল এষ্টেটের চেয়ারম্যান মোঃ ওসমান আলী জানান, আমি এ এলাকার সাধারন মানুষের পাশে থেকে পরাজয়ের ইতিহাস মুছে যে কোনো মূল্যে আসনটি পুনরুদ্ধার করবো। ইতি মধ্যে গণসংযোগের মাধ্যমে এলাকার সামাজিক দ্বন্দ্ব, হানাহানি, মারামারি ও প্রতিহিংসার রাজনীতি না করতে এবং এলাকায় শান্তি, নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয় করে জয়লাব করবো বলে আশা রাখি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনৈতিক ব্যানারে শৈলকুপায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমি শৈলকুপার সন্তান হিসেবে গর্বিত, সৃষ্টিকর্তা আমাকে অনেক দিয়েছেন, আমি এই এলাকার জনমানুষের জন্য কিছু করতে চাই। মামলা, হামলা মাথায় নিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এলাকার মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শৈলকূপা উপজেলার প্রতিটা ইউনিয়নে, প্রতিটি গ্রামে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। এলাকার মানুষের মাঝে ঐক্য গড়ে তুলতে চাই। ১৬ কোটি মানুষের আস্থার প্রতীক বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি লাভের পর যদি আমাকে মনোনয়ন দেন, তবে আমি আশা করি বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে বিএনপিকে হারানো আসনটি উপহার দিতে পারবো। এলাকায় কালচারাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নির্মাণ করবো, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবো, শিক্ষায় সচেতন করার জন্য চাহিদানুযায়ী যাবতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবো, শিক্ষিত ও অশিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করবো, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য যাবতীয় উন্নয়নমূলক কাজ করে এই উপজেলাকে বাংলাদেশের মধ্যে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো। দল যদি অন্য কাউকেও মনোনয়ন দেয় তাহলেও আমি তার সঙ্গেই হাতে হাত মিলিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাবো। ধানের শীষ প্রতীক যাতে এই আসনটি ধরে রাখতে পারে তার জন্য যা যা করা প্রয়োজন আমি তাই করব ।