এ মৌসুমে ভারতের পাঁচ রাজ্যে ঝড়বৃষ্টি ও বন্যায় ৪৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি রেসপন্স সেন্টারের (এনইআরসি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। রাজ্য পাঁচটি হলো মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, কেরালা ও গুজরাট।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রে মারা গেছে ১৩৮ জন, কেরালায় ১২৫, পশ্চিমবঙ্গে ১১৬, গুজরাটে ৫২ ও আসামে মারা ৩৪ জন। এই বন্যায় এবার মহারাষ্ট্রের ২৬টি জেলা, পশ্চিমবঙ্গের ২২, আসামের ২১, কেরালার ১৪ ও গুজরাটের ১০টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত ও প্লাবিত হয়েছে।

আসামে এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ লাখ ১৭ হাজার মানুষ। এর মধ্যে ২ লাখ ১৭ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে আসামের বিভিন্ন ত্রাণশিবিরে।

পশ্চিমবঙ্গে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ। কেরালায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার মানুষ। গুজরাটে ১৫ হাজার ৯১২ জনকে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স বা এনডিআরএফের বিভিন্ন দল এখন বন্যাদুর্গত এলাকায় উদ্ধার এবং ত্রাণকাজে নিযুক্ত রয়েছে।

বন্যার কারণে দুর্ভোগে পড়েছে কলকাতার একবালপুর এলাকার মানুষ।  এদিকে গত দুদিনের প্রবল বর্ষণ ও বন্যায় উত্তর প্রদেশে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও তিন দিন ধরে চলছে একটানা বর্ষা। এই প্রবল বর্ষায় দেখা দিয়েছে বন্যা, ডুবে গেছে কলকাতার বহু এলাকা। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়ও দেখা দিয়েছে বন্যা। কলকাতায় প্রবল বর্ষণে শহরের অধিকাংশ এলাকার সড়ক ডুবে যাওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হয়ে পড়েছে। পানি উঠেছে রেললাইনেও। ডুবে গেছে গ্রামের নিম্নাঞ্চল এবং শস্যখেত। বন্যাকবলিত সব রাজ্যেই বিপুলসংখ্যক গবাদিপশুর প্রাণহানি ও নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বন্যার কারণে দেখা দিয়েছে নানা ধরনের রোগবালাই। তবে দুর্গত ব্যক্তিদের আতঙ্কিত না হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে পরামর্শ দিয়েছে সরকার।

একটি উত্তর ত্যাগ

Please enter your comment!
Please enter your name here