ঢাকা ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টেকনাফ ও ময়মনসিংহে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ রোহিঙ্গাসহ ৩ জন নিহত

Reporter Name

সবুজদেশ ডেস্কঃ

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- মো. সাকের (২২) ও নুর আলম (৩০)।

বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার হোয়াইক্যং উরুবুনিয়া কাটাখাল এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।

বিজিবির দাবি, নিহত মো. সাকের ও নুর আলম মাদককারবারি। মো. সাকের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের ৭ নম্বর ক্যাম্পের সৈয়দ হোসেনের ছেলে ও নুর আলম টেকনাফ মুচনী রোহিঙ্গা শিবিরের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় তাদের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।

টেকনাফ-২ বিজিবির উপঅধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার জানান, টেকনাফের হোয়াইক্যং উলুবুনিয়া গ্রামের পূর্বপাশে নাফ নদের কাটাখাল দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান আসার গোপন খবর পাওয়া যায়।

এর ভিত্তিতে বিজিবির একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় নাফ নদে পার হয়ে একটি নৌকা কাটাখালের দিকে আসতে দেখে তাদের চ্যালেঞ্জ করে বিজিবি। এ সময় চোরাকারবারিরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি করে।

একপর্যায়ে গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থল থেকে দুজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়। পরে নিহতরা রোহিঙ্গা বলে জানা যায়।

ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও দুটি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়।

নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান বিজিবির ওই কর্মকর্তা।

এদিকে, ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম মো. এখলাছ উদ্দিন (৩০)।

পুলিশের দাবি, নিহত মো. এখলাছ উদ্দিন অটোরিকশাচালক হত্যা মামলার প্রধান আসামি। তার বিরুদ্ধে তিনটি ডাকাতি, দুটি মাদক ও একটি হত্যা মামলাসহ আরও মামলা রয়েছে।

বুধবার দিনগত রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার পাগলা এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, অটোরিকশাচালক হত্যা মামলার প্রধান আসামি এখলাসসহ বেশ কয়েকজন ডাকাত স্থানীয় চাকুয়া এলাকায় অবস্থান করছে এমন গোপন খবর আসে।

এরপর ডিবি পুলিশের একটি দল তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করলে ডাকাত দল ও মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের লক্ষ্য করে অতর্কিতভাবে গুলি করতে থাকে। পুলিশও পাল্টা গুলি করে।

পরে অন্যরা চলে গেলে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে চিহ্নিত ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ী মো. এখলাছ উদ্দিনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।

তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি ১২ বোর রিভলবার, এক রাউন্ড গুলি ও ২০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় ডিবির (এসআই) আকরাম হোসেন ও কনস্টেবল ইলিয়াস মিয়া আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

নিহত মো. এখলাছ উদ্দিনের বিরুদ্ধে তিনটি ডাকাতি, দুটি মাদক ও একটি হত্যা মামলাসহ ৬টির বেশি মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।

গত ২৭ জুলাই রাতে এখলাছ উদ্দিনের নেতৃত্বে ডাকাতরা এক অটোচালককে হত্যা করে অটোরিকশাটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

About Author Information
আপডেট সময় : ১১:৫৭:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০১৯
৫২২ Time View

টেকনাফ ও ময়মনসিংহে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ রোহিঙ্গাসহ ৩ জন নিহত

আপডেট সময় : ১১:৫৭:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০১৯

সবুজদেশ ডেস্কঃ

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- মো. সাকের (২২) ও নুর আলম (৩০)।

বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার হোয়াইক্যং উরুবুনিয়া কাটাখাল এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।

বিজিবির দাবি, নিহত মো. সাকের ও নুর আলম মাদককারবারি। মো. সাকের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের ৭ নম্বর ক্যাম্পের সৈয়দ হোসেনের ছেলে ও নুর আলম টেকনাফ মুচনী রোহিঙ্গা শিবিরের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় তাদের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।

টেকনাফ-২ বিজিবির উপঅধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার জানান, টেকনাফের হোয়াইক্যং উলুবুনিয়া গ্রামের পূর্বপাশে নাফ নদের কাটাখাল দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান আসার গোপন খবর পাওয়া যায়।

এর ভিত্তিতে বিজিবির একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় নাফ নদে পার হয়ে একটি নৌকা কাটাখালের দিকে আসতে দেখে তাদের চ্যালেঞ্জ করে বিজিবি। এ সময় চোরাকারবারিরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি করে।

একপর্যায়ে গোলাগুলি থেমে গেলে ঘটনাস্থল থেকে দুজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়। পরে নিহতরা রোহিঙ্গা বলে জানা যায়।

ঘটনাস্থল থেকে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও দুটি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়।

নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান বিজিবির ওই কর্মকর্তা।

এদিকে, ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম মো. এখলাছ উদ্দিন (৩০)।

পুলিশের দাবি, নিহত মো. এখলাছ উদ্দিন অটোরিকশাচালক হত্যা মামলার প্রধান আসামি। তার বিরুদ্ধে তিনটি ডাকাতি, দুটি মাদক ও একটি হত্যা মামলাসহ আরও মামলা রয়েছে।

বুধবার দিনগত রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার পাগলা এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, অটোরিকশাচালক হত্যা মামলার প্রধান আসামি এখলাসসহ বেশ কয়েকজন ডাকাত স্থানীয় চাকুয়া এলাকায় অবস্থান করছে এমন গোপন খবর আসে।

এরপর ডিবি পুলিশের একটি দল তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করলে ডাকাত দল ও মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের লক্ষ্য করে অতর্কিতভাবে গুলি করতে থাকে। পুলিশও পাল্টা গুলি করে।

পরে অন্যরা চলে গেলে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে চিহ্নিত ডাকাত ও মাদক ব্যবসায়ী মো. এখলাছ উদ্দিনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।

তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি ১২ বোর রিভলবার, এক রাউন্ড গুলি ও ২০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় ডিবির (এসআই) আকরাম হোসেন ও কনস্টেবল ইলিয়াস মিয়া আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

নিহত মো. এখলাছ উদ্দিনের বিরুদ্ধে তিনটি ডাকাতি, দুটি মাদক ও একটি হত্যা মামলাসহ ৬টির বেশি মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।

গত ২৭ জুলাই রাতে এখলাছ উদ্দিনের নেতৃত্বে ডাকাতরা এক অটোচালককে হত্যা করে অটোরিকশাটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়।