ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু
সবুজদেশ নিউজ ডেস্কঃ
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মনোয়ারা বেগম (৪৫) নামের এক নারী মারা গেছেন। আজ সকাল পৌনে ১১টায় তাঁকে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন বলে তাঁর স্বজনেরা জানান। ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
মনোয়ারা বেগমের বাড়ি কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে। তাঁর স্বামীর নাম সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই মনোয়ারার জ্বর ছিল। স্থানীয় ভাগলপুর হাসপাতালে তাঁর ডেঙ্গু ধরা পড়ে। সেখানে চিকিৎসা নেওয়ার সময় অবস্থার অবনতি হলে গত মঙ্গলবার তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। চিকিৎসারত অবস্থায় আজ সকালে তিনি মারা যান।’
বাচ্চু মিয়া জানান, মনোয়ারার স্বজনেরা বলেছেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন। পরিবারের সদস্যরা লাশ নিয়ে গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম গতকাল শুক্রবার বিকেলে জানায়, ১০টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতাল, ৩০টি বেসরকারি হাসপাতাল এবং সিভিল সার্জনদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গতকাল সারা দেশে ১ হাজার ৭১৯ জন নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর এ বছর ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্ত রোগী ৪৯ হাজার ৯৯৯ জন। এর মধ্যে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছে ৪২ হাজার ২৪৩ জন।
এদিকে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন মাগুরার কলেজছাত্র সুমন বাসার ওরফে রাজু (২০)। আজ শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে হাসপাতালের মেডিসিন পুরুষ ওয়ার্ডে মারা যান তিনি।
সুমন মাগুরার সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মো. মিজানুর রহমানের ছেলে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সুমন সবার বড় ছিলেন। তিনি মাগুরা সদরের সত্যজিৎপুর কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির মানবিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
সুমনের বাবা মিজানুর রহমান বলেন, ৭ আগস্ট বাড়িতে জ্বরে আক্রান্ত হন সুমন। স্থানীয় পর্যায়ে চিকিৎসা চলার একপর্যায়ে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন বলে জানা যায়। ১২ আগস্ট তাঁকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে পাঁচ দিন চিকিৎসা চলার পর আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক কামদা প্রসাদ সাহা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৬ জন এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মোট ৩৩১ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত ২০ জুলাই থেকে আজকে পর্যন্ত এ হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মোট ৬৯০ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সুমনসহ চারজন মারা গেছেন।