ডেঙ্গু নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গেছে ঈদের ছুটিতে!
কুষ্টিয়াঃ
কুষ্টিয়ায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ, মশক নিধন, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান, প্রচার-প্রচারনা ও নানা কর্মসূচি ফসকে গেছে। জেলায় চোখে পড়ছে না মশক নিধনের কোনো কর্মসূচি। তবে এর কারণ হিসাবে অনেকেই দেখচ্ছেন ঈদের লম্বা ছুটিকে। কেউ কেউ বলছেন কুষ্টিয়ার চিত্র এখন এমন হয়েছে যে, ঈদের ছুটি তাই ডেঙ্গুর বিভিন্ন কর্মসূচিও ছুটিতে গেছে।
এদিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিনিই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। জেলায় মহামানি আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু জ¦রে। এতে জেলার সচেতন মহল বলছেন ডেঙ্গু প্রতিরোধ, মশক নিধন,পরিস্কার পরিচন্নতা অভিযান, প্রচার-প্রচারনাসহ এই কর্মসূচি জেলায় বহাল রাখতে হবে। তাহলেই কেবল সম্ভব ডেঙ্গু মশার হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করা।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, আজ থেকে এটা শুরু হয়েছে। বিকেলে আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির কাজটি করে করেছি। মশক নিধন,পরিস্কার পরিচন্নতা কাজে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য জেলার সকল শ্রেণী পেশার মানুষের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে। বিভিন্ন দল ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের আমরা চিঠি দিয়েছি সচেতনতামূলক কাজ করতে বলা হয়েছে। আজ সকালেও পরিদর্শন করেছি জেলার বেশ কয়েকটি অফিস। ঈদের ছুটির জন্য কাজটি একটু সমস্যা হয়েছে। তবে আমাদের কাজ অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য,গত ২৫ জুলাই থেকে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে মশক নিধন ও পরিস্কার পরিচন্নতা অভিযান উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠান করে চলেছিলেন। সবাইকে ডেঙ্গু মশা থেকে রক্ষ পেতে সর্তক থাকার আহবানও জানিয়েছিলেন তিনি।
মশা নিয়ন্ত্রণে জন-সচেতনতামূলক কর্মসূচী বৃদ্ধির লক্ষে শহরের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে র্যালী ও আলোচনা সভা করছেন জেলা প্রশাসক। নিজেও পরিস্কার পরিছন্নতার কাজটিও করছেন শহরের বিভিন্ন স্থানে। শুধু তাই নয়, মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ও শহরের প্রায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মশক নিধন ও পরিস্কার পরিছন্নতা সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করছেন জেলা প্রশাসক।
মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের হাতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন। তবে ঈদের ছুটিতে মশক নিধন ও পরিস্কার পরিচন্নতা অভিযানের কাজটি যেনো কুষ্টিয়ার মানুষের চোখে পড়ছেন না। তাই জেলাবাসীর দাবি মশক নিধন ও পরিস্কার পরিচন্নতা অভিযানের কাজটি যেনো অব্যাহত থাকে। তাহলে কেবল সম্ভব মশার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া।
পলাশ/এসএএস